আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয়পুরহাটের গণহত্যার নায়ক জামায়াতের আলীম!!!!

মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধে আটক বিএনপি নেতা আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম সাক্ষী হিসেবে ক্ষেতলাল থানার তারাকুল গ্রামের আবদুল মোমেন অভিযুক্ত আলীমের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের বিবরণ ট্রাইব্যুনাল-২-এর সামনে হাজির করেন। তার দাবি, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আবদুল আলীমের নির্দেশেই জয়পুরহাট এলাকায় গণহত্যাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর লুটসহ অগ্নিসংযোগ ও নানা নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এদিকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনা ও আলবদর সদস্যরা শেরপুরের একটি গ্রামে পালিয়ে থাকা বদিউজ্জামানকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জানিয়েছেন চতুর্থ সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা ফকির আবদুল মান্নান। গতকাল দিনের দ্বিতীয়ভাগে তিনি সাক্ষ্যদানকালে প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতিতে বদিউজ্জামান হত্যা ঘটনার বর্ণনা দেন।

আজ আবারও তাকে জেরা করা হবে। কামারুজ্জামান এ সময় আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে সাক্ষী আবদুল মোমেন বলেন, তত্কালীন জয়পুরহাট মহকুমা শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান আবদুল আলীমের নির্দেশে পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার বাহিনী ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জয়পুরহাটের অসংখ্য বাঙালিকেও হত্যা করেছে। এমনকি আলীম নিজেও কয়েকটি হত্যা ও গণহত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেন। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ আলীমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দানকালে আবদুল মোমেন আরও জানান, ওই হত্যাকাণ্ডের আগে আলীম ক্ষেতলালে এসে জনসভা করে হিন্দুদের মালামাল লুট করার নির্দেশ দিয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

সাক্ষ্যদান শেষে সাক্ষীকে জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এবিএম খলিলুর রহমান। ২৭ আগস্ট পর্যন্ত জেরা মুলতবি করা হয়েছে। এর আগে সাক্ষী জবানবন্দিতে জানান, ১৯৫৪ সালে বগুড়ার আযিযুল হক কলেজ ছাত্রলীগের তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। রাজনৈতিক কারণে ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতার হন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে একাত্তরের ২২ এপ্রিল কারামুক্ত হন। তিনি বলেন, ক্ষেতলাল থানার তারাকুল গ্রাম থেকে ধরে আনা কয়েক হিন্দুকে গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন প্রথম সাক্ষী আবদুল মোমেন।

ওই হিন্দুদের ধরে আনার পর থেকে তিনি পাকিস্তানি সেনা, শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকারদের অনুসরণ করে মহকুমা সদরের কুঠিবাড়িতে নদীর পাড়ে গণহত্যা ও মাটিচাপা দেওয়ার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। সাক্ষী আরও জানান, ১৯৭১ সালের রোজার ঈদের কিছুদিন আগে একটি জিপগাড়িতে করে আলীম ও মেজর আবজাল ক্ষেতলাল থানার হাটশহরে বেলা ৩টার দিকে উপস্থিত হয়ে বক্তৃতা করেন। সেখানে মেজর সাহেবের উর্দুতে দেওয়া বক্তৃতা বাংলায় তরজমা করে দেন আবদুল আলীম। তিনি আরও জানান, আবদুল আলীম জনসভায় বলেন, আগামী ঈদের জামাত আমরা কলকাতার গড়ের মাঠে পড়ব। হিন্দুদের মালামাল লুটপাট করে নাও।

সাক্ষ্য শেষে আলীমকে শনাক্ত করেন সাক্ষী মোমেন। কাদের মোল্লা : মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সপ্তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ আগামীকাল। রাষ্ট্রপক্ষের ষষ্ঠ সাক্ষী সফিউদ্দিন মোল্লার জেরা শেষে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই দিন নির্ধারণ করে দেন। সাঈদী : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে জেরা অব্যাহত রেখেছেন আসামিপক্ষ। তদন্তকারী কর্মকর্তার এ জেরা আগামীকালের মধ্যে শেষ করার জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।