আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের উপর গ্রীসের খামার মালিকদের গুলি চালানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য ভালোই তো, গ্রীস, তুমি না এক কালে গণতন্ত্র ও মানবিক দর্শনের পতাকা হাতে নিয়ে ইউরোপীয় সভ্যতার সূতিকাগার হিসেবে ভুমিকা রেখেছিলে? সে তুমিই আজ বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের উপর গুলি চালালে? এদেশের শ্রমিকরা দেশেও মরে, বাইরেও মরে। বিবিসি’র বরাতে জানা যায়, দক্ষিণ গ্রিসের নিয়া মানোলাদা এলাকার এক স্ট্রবেরি খামারে প্রায় দুইশ'কর্মী বকেয়া বেতনের দাবিতে জড়ো হলে তত্ত্বাবধায়করা তাদের ওপর গুলি চালালে আহত হন ৩০ জন। তুমি অভিবাসী শ্রমিকদের বেতন দিবানা ঠিক মত, বকেয়া রাখবা মাসের পর মাস, অভিবাসীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করবা অহরহ, আর শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করলেই তাদের অবৈধ শ্রমিক আখ্যা দিয়ে নির্বিচার গুলি চালাবে তাদের উপর, এইটা কি মগের মুল্লুক পাইছ? এখন কই গেল তোমাদের ইউরোপীয় মানবাধিকার আর শ্রম অধিকারের বয়ান? তোমরা তো প্রায়ই আমাদের মত অসভ্য বর্বর দেশে এসে দাতা সেজে আমাদের সবক দাও ট্রেড ইউনিয়ন করার জন্য যেন শ্রমিকরা তাদের গণতান্ত্রিক দাবি দাওয়া আদায়ে আন্দোলন করতে পারে! তো তোমরা নিজেরাই তো শ্রমিকের বিক্ষোভের অধিকার স্বীকার করতে চাওনা! ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর আম্রিকা তো হরহামেশাই এদেশের পোশাক কারখানার কাজের অমানবিক পরিবেশ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন (আমিও এক্ষেত্রে একমত), দেখি এখন গ্রীসের অমানবিক কাজের পরিস্থিতির প্রতিবাদে তারা কি বলেন, তাদের বক্তব্য শুনতে মন চায় আমার। এই যে নানান রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা আর আর্থ-সামাজিক সংকট মোকাবিলায় এদেশের রাজনৈতিক দলগুলার দেউলিয়াত্ব তারপরও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা যে এখনও ঘুরছে এর কৃতিত্ব গ্রামের হতদরিদ্র কৃষকদের, শহরের অভিবাসী গ্রামীণ শ্রমিকদের (শহুরে শ্রমিকও আছে) আর প্রবাসে মানবেতর জীবন যাপন করে রেমিট্যান্স পাঠানো অভিবাসী শ্রমিকদের! কিন্তু সরকারের কোন মাথা ব্যথা নেই বাংলাদেশের অর্থনীতির এই তিন চালিকাশক্তির ব্যাপারে, এরা দেশেও ধুঁকে ধুঁকে মরে, কৃষক ন্যায্য মূল্য না পেয়ে মরে, শ্রমিক ন্যায্য বেতন না পেয়ে মরে, আগুনে পুড়ে মরে আর অভিবাসী শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করে কম বেতনে মরে! এই অভিবাসী বাঙ্গালী শ্রমিক যখন আবার তাদের অধিকার আদায়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করে তখন আরবের দেশগুলো যেমন তাদের পুলিশে মারে তেমনি এখন দেখি মানবাধিকারের প্রবক্তা ইউরোপের গ্রীসও এদের গুলিতে মারে। এদেশের সরকারী কূটনীতিবিদরা এই অভিবাসী শ্রমিকদের এসব দমন নিপীড়ন থেকে বাঁচাতে কিছুই করে না, করার আগ্রহ আছে বলেও মনে হয় না, আর কিছু করবে কিভাবে, এরা এবং এদের বসরা নিজেরাই দেশে শ্রমিক দমনে সিদ্ধহস্ত! শ্রম শোষণ আর শ্রমিক নিপীড়নের দেশীয় আর বিদেশি সিস্টেমের মাঝে কি অদ্ভুত মিল![/sb Click This Link  

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.