لا إله إلا الله محمد رسول الله
হেফাজতিরা এমন মারাত্বক মানসিক গণধোলাই দিল, ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ও ছত্র ভঙ্গ শাহবাগীরা, সত্তি অবাক হলাম কোথায় গেল শাহবাগীদের জোয়ার?
আসুন দেখা যাক উত্তাল শাহবাগ আজ কেন নিরুত্তাপ শাহবাগ।
এখানে একটি বিষয় বিবেচনা করা যাক।
আপনাকে কেউ বল্ল আপনি প্রতিদিন দুপুরে ও রাতে আমার বাড়ীতে এসে খাবার খেয়ে যাবেন।
আপনি এই দাওয়াতটি গ্রগণ করলেও হয়তো লোভে পড়ে একটানা ৪/৫ মাস নিয়মিত যাবেন। কিন্তু এক পর্যায়ে দেখবেন আপনার দাওয়াতের লোভ অটোমেটিক নিস্তব্ধ হয়ে যাবে, কারণ আপনি আপনার বউ, বাচ্চা, মা, বাবা সহ পরিবারের সব সদস্যের ছেড়ে প্রতিদিন এই ভাবে একটানা দিনের পর দিন দাওয়াত খেতে যাবে না অন্যঘরে।
কারণ প্রতিটি কাজে প্রতিটি মানুষের অনিহা ও একগুয়েমি এসে যায়।
শাহবাগের ক্ষেত্রেও তায় হয়েছে, দিনের পর দিন একটানা এই ভাবে কোন মানুষ তার নিজ কাজকর্ম ফেলে শাহবাগে যেতে ক্লান্তি বোধ করেছে। বাস্তবে মানুষের মনে মনে শাহবাগের আর্দশ এখনো উত্তাল এবং চিরদিন এই উত্তাল উত্তাপ ছড়াবে মানুষের মনে মনে সুপ্ত ভাবে।
গণজাগরণের তরুণরা শাহবাগ চত্ত্বর থেকে চলে গেলেও তাদের মন থেকে শাহবাগের আদর্শ কোন দিন যাবে না।
এবার দেখা যাক শাহবাগী ও হেফাজতির মাঝে কিছু তুলনা মুলক চিত্র।
শাহবাগে শুধুমাত্র ঢাকা শহরের তরুণরা অংশ নিয়েছিল।
হেফাজতির সমাবেশে ঢাকা সহ সারা দেশের হতে লোক সমাগম করেছিল।
শাহবাগে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল স্বস্ফুত।
হেফাজতির সমাবেশে বাসে করে জোর করে টাকা দিয়ে ও রাজনৈতিক ভাবে মানুষ সংগ্রহ করা হয়েছিল।
শাহবাগীদের দ্বারা কোথায় ভাংচুর ও আক্রমণ বিশৃঙ্কলার ঘটনা গঠেনি।
হেফাজতির দ্বারা মহিলা সাংবাদিকের উপর হামলা , ভাংচুর, উৎশৃঙ্কল আচারণ, অকথ্য ভাষায় সরকারকে গালী দেওয়া হয়েছে,
শাহবাগর সমাবেশ একটানা প্রায় ২ মাস ছিল উত্তাল।
হেফাজতিরা মাত্র ১ দিনে নিস্তব্দ।
শাহবাগের সমাবেশ থেকে নবী ও র্ধমর নামে কোন ভুল ব্যাখ্যা করা হয়নি।
হেফাজতির সমাবেশে ইসলাম ও নবী নিয়ে ভুল ও বিভ্রান্তকর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
শাহবাগীরা হেফাজতির প্রতি ছিল সহনশীল ও নমনীয়,
হেফাজতিরা ছিল শাহবাগীদের প্রতি মারাত্বক আক্রমণাত্বক এমন কি শাহবাগীর আলোচনায় প্রস্তাব পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি।
উপসংহারে , সর্বশেষ বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা যায় হেফাজতির লাঠি প্রর্দশনে জয়ী হলেও পরা জয় হয়েছে তাদের নৈতিকতার ও আর্দশের।
তারপর তাদের টুপি দাড়ী ইসলামী আর্দশ ধারণকরার জন্য শ্রদ্ধ ও ধন্যবাদ।
হেফাজতির নিকট অনুরোধ শার্ট প্যান্ট পরলে ও যুদ্ধ অপরাধীর বিচার চায়লে কাউকে যেন নাস্তিক মনে না করে। দাড়ী, টুপি ও লম্বা পাঞ্জাবী পড়লে শুধূ ইসলামের হেফাজত করা য়ায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।