মস্তিস্কবন্দী দৃশ্যের পাখি
মাথার ভেতর অজস্র পোকামাকড়ের ঘরবসতি। অনবরত তারা খুটে খুটে খেয়ে যাচ্ছে আমার ভেতরের মগজ। মাথার ভেতর দিনমান অকথ্য যন্ত্রণার কোলাহল। তবুও স্বস্তি—একেকটা পোকা যতটুকু খাচ্ছে মগজ, ছড়াচ্ছে যতটুকু যন্ত্রণার বিষ, রতিক্রিয়ার পর তারও অধিক তারা নির্মাণ করছে একেকটা দৃশ্যের পাখি। অজস্র যন্ত্রণার সঙ্গে এখন মস্তিস্কবন্দী দৃশ্যের পাখিদের ডানা ওড়াওড়ি।
যেন-বা এইমাত্র মস্তিস্ক ফুঁড়ে তারা উড়ে গিয়ে রচনা করবে নিজস্ব দৃশ্যের নগর। যন্ত্রণাকাতর আমি ওইসব পাখি ভালোবাসি-ভালোবাসি দৃশ্যের নগর।
ভয় হয়, যদি পথ ভুলে তারা চলে যায় অন্য কোনো অচেনা নগরে। আমি যে পরম মমতায় আমার অশ্রুসকল জমা রেখেছি ওইসব দৃশ্যের পাখিদের চোখে। এমন নয় যে, কখনও নিস্ফল রোদনে হারিয়ে ফেলিনি আমার অশ্রু।
তবু ভয়, ফের যদি হারিয়ে ফেলি পাখিদের চোখে সযতনে জমিয়ে রাখা আমার সকল অশ্রু। এই লোভে মস্তিস্কে জারি করেছি জোরালো কারফিউ। দৃশ্যের পাখি আর জমানো অশ্রুর লোভে তাই পুড়িয়ে ফেলার বদলে মমতায় বাঁচিয়ে রেখেছি মাথার ভেতর পোকাদের পইপই গ্রাম-আর মাথার ভেতর চিরস্থায়ী লিখে নিয়েছি অকথ্য যন্ত্রণার নাম।
এইসব দৃশ্যের পাখিদের নিয়ে অধীর অপেক্ষায় আছি-কখন বাজবে রাত্রির সেই অলৌকিক হুইসেল। তখন কারফিউ তুলে খুলে দেওয়া হবে মস্তিস্কের কপাট।
আর আমি সেইসব পাখিদের নিয়ে রাত্রির শেষ ট্রেনে চেপে চলে যাবো দুরে-বহুদূরে, আমার ব্যক্তিগত দৃশ্যের নগরে।
........................
সুজন সুপান্থ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।