আমার নাম কালু। আমার দুইটা টিভি চ্যানেল আছে । একটা দৈনিক পত্রিকা আছে । মালোশিয়াতে দুইটা সিরামিক কারখানা আছে । লন্ডনে আর দুবাইতে বিশাল ফ্লাট আছে ।

দেশে ১৩ টা ছয় তলা বাড়ি আছে । আর ৭ টা বাড়ির কাজ নির্মাণাধীন। শেয়ার বাজারেও আমার অনেক... আছে । আমি যে ফ্লাটে থাকি- তার সব সরঞ্জাম বিদেশী । আমি আমার সব ভাইদের বাড়ি করে দিয়েছি ।

তারা সবাই এখন মহা সুখে আছে । আমি যে কত বার হজ্ব করেছি হিসাব নাই । আর ওমরা তো প্রতি বছরই করি । হা হা হা ( হাসিটা মনে হয় শয়তানের মত হাসলাম । ) তবু সব সময় আমার মুখে হাসি লেগেই থাকে ।

নামাজ পড়তে পড়তে কপালে স্থায়ী দাগ বসিয়ে ফেলেছি । আমাদের দেশের মানুষ গুলি ভাবে- যারা নামাজ পড়ে- তারা খুব ভালো হয়, মিথ্যা বলে না, খারাপ কাজ করতে পারে না । দেশের মানুষ গুলি বোকা বলেই- এখনও খুব আরামে সহিত বেঁচে আছি । এক সময় আমার কিছুই ছিল না । রাজনীতিতে নামার পরই দিন দিন উন্নতি করলাম ।

রাতারাতি বদলে গেল আমার জীবন । এই পর্যন্ত আমি ৩৬ টা দেশে গিয়েছি কিন্তু ৭২ টা দেশের মেয়ের সাথে সেক্স করেছি । বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি- আমাদের দেশের মেয়ের মত আরাম অন্য কোনো দেশের মেয়েতে নাই । দেশের অনেক সুন্দরী মেয়েই ( অভিনেত্রী, মডেল, কলেজ ছাত্রী ) জানে আমার কোমড়ে কালো পোড়া দাগ আছে । একবার এক নামি দামী মডেল আমাকে দেখে ভ্রুর কুচকে ছিল ।

আমার গায়ে সব সময় শুয়রের গন্ধ। এত দামী সেন্ট মাখি কিন্তু শুয়রের মুতের গন্ধটা যায় না । যাই হোক, সেই মডেলকে একটা পাঁচ 'শ টাকার বান্ডিল দিতেই আমার সারা শরীর চেটে দিল । আহ !!! টাকার কত গুন । অবশ্যই ইদানিং কোনো মেয়েই আমার সাথে শুয়ে আরাম পায় না ।

দেশ বিদেশের কত ঔষধ যে খেলাম । উফফ আল্লাহ !!! শক্তি দাও । ১/১১ তে খুব ঝামেলায় পড়ে গেলাম হঠাৎ করে । আমার ঘরে সব সময় ১৫/২০ টা টাকার বস্তা থাকত । এই বস্তা সরাতে গিয়ে পড়লাম নানান ঝালেমায় ।

ব্যাংকের টাকা গুলো গুলো নিয়ে পড়লাম ব্যাপক বিপাকে । উফফ আল্লাহ এখন মনে পড়লেও পশম দাঁড়িয়ে যায় । আমার তো গাড়ি সাত টা । এর মধ্যে পাজারো তিন টা । এক একটা গাড়ি এক একটা গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ।

খড় দিয়ে ডেকে রেখে ছিলাম, তারপরও পাজারো গাড়িটা ধরা খেয়ে যায় । সব কিছু ছেড়ে পালিয়ে ছিলাম- তবু পুলিশ আমাকে ধরে ফেলে । বেশী দিন আটকে রাখতে পারে নাই । আমি কি খারাপ ? আমাকে কেন আটকে রাখবে ? আমি খুব ভালো করেই জানি- অন্য অনেকের তুলনায় আমার টাকা পয়সা অনেক কম । আমি মাদ্রাসা বানিয়েছি- এতিমখানা বানিয়েছি।

প্রতি বছর মসজিদে লক্ষ লক্ষ টাকা দেই । এবছর আমার এলাকা থেকে ১৩ জনকে হজ্ব করতে পাঠিয়েছি । সাগর রুমি- ইলিয়াস হা হা হা ( শয়তানের হাসি ) গুম হত্যা বাসে আগুন কারা করে ? এগুলা আমরাই করি । সন্তাস আমরাই সৃষ্টি করি নিজেদের প্রয়োজনে । আমাদের চলার পথে কিছু হিংস্র মানুষ প্রয়োজন হয়- তাদের কে আমরা নিজের মনের মতন বানিয়ে নেই ।

সেই হিংস্র মানুষ গুলি হয় রোবটের মতন যা বলি তাই করি । আমরা যারা দেশের দায়িত্ব নিয়ে দেশের কাজ করি না- সরকারি দল বা বিরোধী দল। কিন্তু আমর ভাই ভাই - সবাই মিলে মিশে আরাম আয়েশ করি- বাগ বাটোয়ারা করে খাই । কানের আগায় কলম গুজে বাইজি নাচাই । আহ হা...কী সুখ !! কী সুখ !! এজন্য আমাদের বেশীর ভাগ সময় পরিবার ছাড়া থাকতে হয়।

বউ পোলাপান সব বিদেশে পাঠিয়ে দেই । আমার এক রাজনীতিবিদ ভাই আছেন উনিতে উনার ছেলের জন্য প্রতিরাতে নিজে বেছে মেয়ে নিয়ে আসেন । ছেলেকে কষ্ট করে বাইরে যেতে দেন না । অবশ্য তার পছন্দ বিমানবালা । আমার আসল নাম কিন্তু কা্লু না ।

এখন আমি একটা ভালো নাম নিয়েছি । সবাই এখন আমাকে সেই নামেই চিনে সম্মান করে ভালোবাসে । আমার এলাকার মসজিদের ইমামকে কিনে ফেলেছি। তাকে বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশনের নেতা বানিয়ে দিয়েছি । এবং তার মাদ্রাসার জন্য বিশ লক্ষ টাকা দিয়েছি ।

আমার একটু জ্বর হলেই সেই ইমাম- প্রতি শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর আমার জন্য বিশেষ দোয়ার ব্যবস্থা করে । ভোটের সময় জুম্মার খুতবা থামিয়ে আমাকে ভোট দিতে বলে । আমার রাজাকার ভাইয়েরা এখন মহা বিপদে আছে । তাই আমি বলে দিয়েছি- প্রতি শুক্রবার যেন আমার রাজাকার ভাইদের জন্য স্পেশাল দোয়া করা হয় । ইমাম সাহেব দোয়া করতে করতে গলা শুকিয়ে ফেলেন ।

অবশ্য এই রাজাকার মসজিদের জন্য ৫০টা বিদেশী সিলিং ফ্যান দিয়েছে । আমি দিয়েছি নগদ টাকা আর বিদেশী মোলায়েম কার্পেট । ৪০ টা দুই টনি এসি দিবো বলেছি । এটা অবশ্য ভোটের আগে আগে দিবো । মসজিদের জন্য টাকা দেই- আল্লাহর ঘরে দেই ।

কিন্তু আমার এলাকার আশে পাশে কত পরিবার না খেয়ে থাকে- সেদিকে ফিরেও তাকাই না । মসজিদে রাজাকারদের জন্য দোয়ার ব্যবস্থা করার পর থেকে অনেক ছেলে পেলে ইদানিং মসজিদে জুম্মা নামাজ পড়তে যায় না । এই বদমাশ গুলোর মধ্যে একটা হলো "রাজীব নূর" । এইটা খুব বাড়ছে । এটা কে একটা শিক্ষা দিতে হবে ।

সব চেয়ে ভালো হয় দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে পালে । যাই হোক ব্যাস্থা একটা নিবই। তাড়াহুড়ার কিছু নাই । হাতে অনেক সময় আছে আর সবচেয়ে বেশী যেটা আছে সেটা হলো- ক্ষমতা । কেউ কোনো দিন আমাকে প্রশ্ন করে নাই- এত অল্প সময়ে আমি কিভাবে এত টাকা - গাড়ি- বাড়ি করলাম ।

টিভি চ্যানেল পত্রিকা আরও কত কি !! আসলে টাকা যেভাবেই কামাই করি না ক্যান- টাকার গায়ে তো তা লেখা থাকে না । আমাগো এখনও দুই তিন জন বড় নেতা কারাগারে আটক আছে এবং বেশ কয়েকজন পলাতক তাদের নিয়ে খুব চিন্তা যুক্ত আছি । সবাই আমাকে হুজুর হুজুর করে । অবশ্যই দূর থেকে কেউ কেউ বাজে কথা বলে । সব খবরই কানে আসে ।

এক এক করে সবাইকে ধরবো । কাটবো-মারবো-গুম করবো । যাই হোক, আজ আর আমার সময় নাই। আজ আমি ইফতারী করবো- পথ শিশুদের সাথে । আগা্মীকাল ইফতারী করবো এতিমর সাথে ।

অনেক ব্যস্ত আমি । কেউ কিন্তু আমার আত্মকথা শুনে আমার মুখে থু থু দিবেন না । আমি যা বলিয়াছি সত্য বলিয়াছি । সবাইকে ঈদ মোবারক। এইবার ঈদ করবো আমেরিকাতে।

ইমাম সাহেবকে নিয়ে যেতে হবে । তার খুব সমুদ্রের পাড়ে নেংটা মেয়ে দেখবে। তাদের সাথে ডলাডলি করবে । এক সময় এই সখ আমারও খুব ছিল । মনের মত শখ মিটিয়ে নিয়েছি ।

একবার তো ভিডিও করলাম মাঝে মাঝে চুপি চুপি এই ভিডিও টা দেখি- কী যে আনন্দ পাই !! বলতে লজ্জা নেই মেয়ে দুইটা বাঙ্গালী ছিল । অবশ্য এখন আমি দেশের বাইরে গেলেই সাথে করে দুইটা দেশী মডেল নিয়ে যাই । বিদেশী মাইয়া ভালো লাগে না । মজা পাই না । ।