আমি একজন সাধারন মানুষ, কিন্তু এইসব দেখে মাথা ঘুলঘুল করে সবসমই। পুরুষতন্ত্রের মাধ্যমে একটা মানুষকে নারী করে তোলার সর্বাপেক্ষা আধুনিক হাতিয়ার হলো ধর্ম।
পুরুষ খুব ভালোভাবে জানে যে, পুরুষদের তৈরি বিধান নারীরা গ্রহণ করবে না। তাই তারা নিজেদের বিধান চালিয়ে দিয়েছে ঈশ্বরের নামে। ঈশ্বরের কথা ভাবলে সর্বশক্তিমান এক সত্ত্বার কথা মানুষের মাথায় আসে।
সনাতন ধর্মসহ প্রত্যেক ধর্মেই নারীর অবস্থান পুরুষের নিচে। তুলনামূলকভাবে ইসলাম নতুন ধর্ম। তবে ইসলামে নারীজাতিকে যেভাবে 'সম্মানিত' করা হয়েছে, তা অনেক বেশি ভয়ংকর।
ইসলাম ধর্মে নারী বিষয়ে নিচের রচনাটি মূলত কোরান, হাদিস ও নির্ভরযোগ্য অন্যান্য ইসলামী সূত্র থেকে নেয়া উদ্ধৃতির সংকলন। ক্ষেত্রবিশেষে আমি মন্তব্য না করে পারিনি।
সুরা বাকারা, আয়াত ২২৩ (২:২২৩):
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শষ্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।
সুরা বাকারা, আয়াত ২২৮ (২:২২৮):
আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের ওপর অধিকার রয়েছে, তেমনিভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের ওপর, নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে।
সুরা নিসা, আয়াত ৩৪ (৪:৩৪):
পুরুষরা নারীর উপর কর্তৃত্ব শীল।
এ জন্য যে আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সেমতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগত এবং আল্লাহ যা হেফাজত যোগ্য করে দিয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাজত করে। আর যাদের মধ্যে আবাধ্যতার আশংকা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করোনা।
সুরা নাহল- আয়াত ৪৩ (১৬:৪৩), সুরা হজ্ব আয়াত ৭৫ (২২:৭৫)
নারীকে কোনদিন নবী-রসুল করা হবে না।
সুরা ইউসুফ, আয়াত ১০৯-(১২:১০৯):
আপনার পূর্বে আমি যতজনকে রসুল করে পাঠিয়েছি, তারা সবাই পুরুষই ছিল জনপদবাসীদের মধ্য থেকে, আমি তাঁদের কাছে ওহী প্রেরণ করতাম।
সুরা আল্ আনাম আয়াত ৯ (৬:৯):
যদি আমি কোন ফেরেশতাকে রসুল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হত। এতেও ঐ সন্দেহই করত, যা এখন করছে।
(বাংলা অনুবাদে "মানুষ" ব্যবহার করলেও মূল আরবিতে "পুরুষ"-এর কথা বলা আছে। আরবি ভাষায় "মানুষ" হলো ইনসান (insaan), আর "পুরুষ" হলো "রাজাল"।
কোরানের বাংলা অনুবাদে "রাজাল"-এর বাংলা "মানুষ" লিখে ধামাচাপা দিলেও প্রকৃত বাংলাটা হবে এরকম: "যদি আমি কোন ফেরেশতাকে রসুল করে পাঠাতাম, তবে সে পুরুষের আকারেই হত। ")
সহিহ্ মুসলিম, বই ৩১ হাদিস ৫৯৬৬:
আবু মূসার বর্ণনা মতে নবী (দঃ) বলেছেন: “পুরুষদের মধ্যে অনেকেই ত্রুটিমুক্ত কিন্তু নারীদের মধ্যে কেউ-ই ত্রুটিমুক্ত নয়, কেবল ইমরানের কন্যা মেরী এবং ফারাওয়ের স্ত্রী আয়েশা ছাড়া”।
সুনান আবু দাউদ হাদিস থেকে; বই ১১ হাদিস নম্বর ২১৩৫:
কায়েস ইবনে সা’দ বলছেন, ‘‘নবী (দঃ) বললেন: “আমি যদি কাউকে কারো সামনে সেজদা করতে বলতাম, তবে মেয়েদের বলতাম তাদের স্বামীদের সেজদা করতে। কারণ আল্লাহ স্বামীদের বিশেষ অধিকার দিয়েছেন তাদের স্ত্রীদের ওপরে”।
সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৪২:
ওমর বিন খাত্তাব বলেছেন: নবী (দঃ) বলেছেন, “কোন স্বামীকে (পরকালে) প্রশ্ন করা হবে না কেন সে বৌকে পিটিয়েছিল”।
(সুবহানাল্লাহ! আসুন, আমরা সবাই মিলে বউ পেটানো শুরু করি)
(আমি একজন সাধারন প্রকৃতির মানুষ। অযথা আমাকে গালি না দিয়ে সঠিক তথ্য দিন)
যারা প্রথম লেখাটা পড়তে পারেন নি তাদের জন্য
Click This Link
সুত্র: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।