[ কাজল আর কেয়া (ছদ্মনাম) চাচাতো ভাইবোন। সেই ছোটবেলা থেকে নাওয়া-খাওয়া, খেলা-ধুলা, স্কুলে যাওয়া, দাদীর কাছে গল্প শোনা সবই একসাথে হয়েছে। একদিন শৈশব গড়িয়ে কৈশোরে এসে পড়ে দুজন; মনের কোণে যৌবনের একটু-আধটু আঁকিবুকি। জীবনের অন্যরকম ভাললাগা কড়া নাড়ে মনের দুয়ারে; কেয়া আর কাজলের প্রথম ভাললাগাও তাই একে অপরকে ঘিরে। কাজল-কেয়া এক প্রাণ, এক আত্মা।
একদিন সম্পর্কের কথা জানাজানি হয় পরিবারে। প্রথমে পারিবারিক বাধা-বিপত্তি কিছু যে ছিল না তা নয়, কিন্তু কেয়ার আপোষহীন অবস্থানের কাছে হার মানেন তার বাবা। তাই পিতৃহীন, বড় ভাইয়ের ছেলে কাজলের সাথে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেন কেয়ার বাবা আব্দুল হামিদ (ছদ্মনাম)। বিযের সময় কাজল ২৩ বছরের যুবক, আর কেয়া মাত্র ১৬ বছর বয়সী।
বিয়ের প্রথম দিনগুলো সুখেই কাটে কাজল-কেয়ার।
তবে দিন পেরিয়ে রাত আসে, আসে নিরবতা। সারা দিনের কিছু কর্কশ বাস্তবতা নিশুতি রাতের প্রহরে কেয়াকে ভাবায়। দিন যত যায় কাজলের সাংসারিক খামখেয়ালিপনা কেয়ার কাছে অসহ্য হয়ে উঠে। কচি বয়সের রঙ্গিন প্রেম একসময় ফিকে হতে শুরু করে। সূত্রপাত ঘটে দাম্পত্য কলহের।
একদিন কাজলকে সুস্থ মস্তিষ্কে বিদায় জানান কেয়া। পাঠিয়ে দেন তালাকের চিঠি। চট্টগ্রাম আদালতের সদ্য বিদায়ী বিচারক ও সালিশি পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানের আদেশে তালাক কার্যকর করা হলো। সালিশি পরিষদে উভয়পক্ষের অভিভাবক একঘরেরই সদস্য। কাজলের পক্ষে তার বড় বোনেরা আর কেয়ার পক্ষে বাবা আব্দুল হামিদ ও মা জুলেখা (ছদ্মনাম)
চলবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।