পীরগঞ্জে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ওই আটটি বাল্যবিয়ের ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। উপজেলার টুকরিয়া ইউনিয়নের নিভৃত পল্লীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২১ জন শিক্ষার্থীর মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে বাল্যবিয়ে হয়েছে । এর মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ২ জন, ৭ম শ্রেণীর ১৩ জন এবং ৮ম শ্রেণীর ৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের কারোরই বয়স বিয়ের যোগ্য নয়।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার টুকরিয়া ইউনিয়নের একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ,৭ম ও ৮ম শ্রেণী পড়-য়া মোট ২১ জন ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয় ৫ মাসের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে।
এর মধ্যে গত ১ মাসের মধ্যেই বিয়ে হয় ৮ জনের। এরা হলো ওই প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী বটপাড়া গ্রামের বুলু মিয়ার কন্যা হাজেরা, ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী দুধিয়াবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের কন্যা খাদিজা, আজিজ মিয়ার কন্যা আজভানু, বটপাড়া গ্রামের সাজু মিয়ার কন্যা নাজমা, বোয়ালমারী গ্রামের মকমুল হোসেনের কন্যা ছবি, ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী দুধিয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল কুদ্দসের কন্যা করছিয়া, রমজান আলীর কন্যা রওশন আরা এবং বটপাড়া গ্রামের খলিরুর রহমানের কন্যা শাপলা। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির আরো ১৩ জন ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয় অল্প সময়ের ব্যবধানে। তারা হলো প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী কাঁচদাহ মাঝিপাড়া গ্রামের শুটকার কন্যা শংকরী, ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী দুধিয়াবাড়ি বটপাড়া গ্রামের ফরিদ হোসেনের দুই কন্যা হোসনেয়ারা ও পারভীন, আনারুল মিয়ার কন্যা রতনা, সহিদুলের কন্যা শরিফা, বনশিষের কন্যা প্রভাতী রানী, কাঁচদহ গ্রামের রেশমা খাতুন, ভানুর কন্যা শুকলা, রাধাচন্দ্রের কন্যা জেনি রানী, ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী কাঁচদাহ মাঝিপাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের কন্যা আজমিরা, বেলায়েতের কন্যা নাসরিন এবং আবু হোসেনের কন্যা নাসিমা।
সরেজমিন জানা গেছে, ওই ইউনিয়নে বাল্যবিয়ের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে।
টুকুরিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই ওই সব বাল্যবিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। প্রতিষ্ঠানের নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রধান শিক্ষক বলেন, কেবল বাল্যবিয়ের কারণে ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী। ইউপি চেয়ারম্যান জানান, এসব বিয়ে সাধারণত গোপনে সম্পন্ন হয়। ফলে করার কিছুই থাকে না। তবে কন্যা দায়গ্রস্ত পরিবারের ওই অভিভাবকরা জানান, নিরাপত্তা না থাকায় যোগ্য পাত্রের কাছে কন্যা দিতে পেরে তারা খুশি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।