এটা একটা ভার্চুয়াল ডায়রী। এর মূল এলিমেন্ট রোজরাত্রিনামচা। যেখানে থাকার সেখানেই ছিলাম। ব্যস্ততা অবসর দেয় নি হয়ত। হয়তবা অবসর আমিই নিই নি।
যাই হোক....এখন থেকে নিয়মিত আবজাব লিখন চলবে।
গত পোস্ট আর এই পোস্টের মধ্যবর্তী সময়ে অনেক কিছুই ঘটেছে। সেগুলো বলে টাইম নষ্ট করতে চাই না। অবশ্য মনেও নাই। আমার মেমরি খারাপ।
তবে একটা জিনিস মনে আছে। রিসেন্ট।
গতকাল আমার এই সেমিস্টারের শেষ ক্লাস ছিল। ৪-২ এর ভাইরা একেবারে চলে গেছেন ভার্সিটি ছেড়ে। নিনাদ নামের এক ভাই আমাকে বেশ পছন্দ করেন।
পছন্দের সূত্র লেখালেখি।
লিফটের সামনে ভাইয়ের সাথে দেখা। আরো অনেকেই ছিল। নিনাদ ভাই বললেন, 'তোর সাথে কথা আছে। দাঁড়া।
'
দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে নিয়ে করিডরের দিকে গেলেন।
'..... , হুমায়ুন স্যার মারা গেছেন। তাই না? কিন্তু দুঃখের ব্যাপার তিনি আমাদের মাঝে তাঁর কোন রিপ্লেসমেন্ট রেখে যান নি।
তোর মধ্যে তাঁর ছায়া দেখি আমি।
তুই পারবি। ' তিনি থামলেন।
আমি কিছু একটা বলতে গিয়েছিলাম।
'আমাকে শেষ করতে দে। অনেকেই তোকে অনেক উপরে তুলবে।
নিজের জায়গাটা নিজেই বিচার করবি। অতৃপ্ত থাকিস। '
জীবনে দুটা ঘটনা কিভাবে ফেস করব তা নিয়ে আগে থেকেই ভাবনা ছিল। একটা ফেস করে ফেলেছি এর মধ্যে। চোখভরা অশ্রু ছিল ফেস করার পর।
হুমায়ুন আহমেদ চলে গেছেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় কষ্টকর একটা ব্যাপার। আমার জগতের একটা বড় অংশ খালি হয়ে গেছে।
- বইমেলা নিয়ে আগের সেই উত্তেজনাটা আর থাকবে না। যদিও আমি এক বইয়ের পাঠক না।
- ইচ্ছা ছিল আমার প্রথম বইটা তাকে উৎসর্গ করব।
- বাংলাদেশ একজন মানুষকে হারায় নি। হারিয়েছে একজন নাট্যকার, একজন লেখক, একজন পরিচালককে।
- আমার পাঠকজীবনের শৈশব কাটে তিন গোয়েন্দা নিয়ে। এরপরের পরিচর্যার ভার হুমায়ুনই নিয়েছিলেন।
হিমুতে হাসিয়েছেন, কবিতে কাঁদিয়েছেন....। লেখকজীবন শুরুর সাহস ও সামনে যাবার উৎসাহও তাঁর কাছ থেকেই পাওয়া।
- অনেক অনেক পয়েন্ট আছে। বলতে ইচ্ছা করছে না।
সাতদিন হয়ে গেছে।
শোক অনেকটাই কেটে গেছে। একটা ব্যাপার বোঝা গেছে- 'চলে গেলেই শেষ। মৃত্যুর পরও হয়ত বেঁচে থাকা যায়। কিন্তু তা আগের মত সজীব থাকে না। তাই বাঁচো- যতদিন বেঁচে থাকো।
' ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।