নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে।
হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু নিয়ে মিড়িয়ার প্রচারণা দেখে আমার আনন্দ ও বিষাদের সংমিশ্রণে এক উদ্ভূত অনুভূতি তৈরি হয়েছে। যে দেশে লেখক হওয়া থেকে মুদিদোকানি হওয়ার সমাজিক মর্জাদা অনেক বেশি সে দেশে একজন হুমায়ুন আহমেদ নিয়ে এত কিছু? তবে লেখকের সম্মান বাড়ল বুঝি! কই, এর আগে ইলিয়াস, ছফা, রশীদ করীম কিংবা মাহামুদুল হক নিয়েতো এত কিছু হয়নি। তবে এইসব লক্ষ লক্ষ তরুণ কারা যারা শোখে বুক ভাসাচ্ছে। এই তরুণ তার নয়তো যারা বাঙলাদেশ দল ক্রিকেটে হারলে তালেবান হয়ে যায়।
আর দেশের কোন রকম সংকট দেখলে দ্রুত ভোল পাল্টে হিমু সেজে যায়। এই সঙ্কার পাশাপাশি বাবার মতো আরেকটা বিষয়ও আছে, পৃথিবীতে যক জনপ্রিয় ব্যক্তি আছে তাদের সব ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক প্রবণতাই পরবর্তীতে অবিবেচক মানুষের কাছে অনুকরণিয় হয়ে উঠেছে। উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি, শেখ মুজিবের মুজিব কোট। কি শীত কি গরম তার অনুসারিরা এটা শরীরে চাপিয়ে রাখেন নিজেকে খঁাটি মুজিববাদী প্রমাণের জন্য, আবার দরুণ মোহাম্মদ আলী জিন্নার কথা, এটা টুপির নামেই( জিন্না টুপি) যে হয়ে গেল তার নামে। হুমায়ুন আহমেদ জনপ্রিয় লেখক ছিলেন, এই নিয়ে আমাদের কারো কোন সন্দেহর অবকাশ নেই।
এমন যেন না হয়, হুমায়ুন আহমেদ কণ্যার বান্ধুবিকে বিয়ে করেছেন বলে আমাদেরও এমন একটা ইচ্ছা ভিতরে ভিতরে পোষণ করছি। হুমায়ুন আহমেদের কি নিব, আর কি বর্জন করবো এই বিবেচনা বোধ যেন আমাদের থাকে। আমেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।