আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত বাদীর নারাজি নাকচ করে চার্জশিট গ্রহণ : খুনিদের বাদ দিয়ে চার্জশিটের প্রতিবাদে নরসিংদীতে বিক্ষোভ সংঘর্ষ আহত ২০
নরসিংদীর পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুর ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুসহ ১১ জন আসামিকে বাদ দিয়ে চার্জশিটৈর বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের দেয়া নারাজি গ্রহণ করেননি আদালত।
গতকাল সকালে নরসিংদীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট নিতাই চন্দ্র সাহা এ মামলার চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের নারাজি আবেদন গ্রহণ না করে তা বহাল রেখেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়ে লোকমান সমর্থকরা।
পরে সার্কিট হাউজের সামনে পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ফলে ডিসি রোডে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে পুলিশের দেয়া চার্জশিটে নরসিংদী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন সরকারের নাম থাকলেও আদালত তার জামিন বহাল রেখেছেন।
মামলার বাদী নরসিংদীর পৌর মেয়র ও নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান মঙ্গলবার মুখ্য বিচারিক হাকিম নিতাই চন্দ্র সাহার আদালতে মামলার চার্জশিটের বিরুদ্ধে ওই নারাজির আবেদন করেন। গতকাল সকালে শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
একই সঙ্গে আজ ওই মামলার আসামিদের নিয়মিত হাজিরার তারিখ ছিল।
শুনানির পর মামালার চার্জশিটের বিরুদ্ধে দায়ের করা বাদীর নারাজি আদালত নাকচ করে দিলে লোকমান সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা আদালত থেকে বেরিয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় অবস্থান নিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হন।
পরে উত্তেজিত জনতা নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন। এ সময় তারা পুলিশকে মন্ত্রী রাজুর পক্ষ হয়ে কাজ না করার অনুরোধ করেন। তারা পুলিশের সার্কেল (সদর) এএসপি মো. এনায়েত হোসেন মান্নানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বক্তারা বলেন, অনেক অঘটনের পরও শুধু মন্ত্রী রাজুর হয়ে কাজ করার জন্য তাকে বদলি করা হচ্ছে না।
তারা বলেন, চার্জশিটে মামলার প্রধান আসামি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুর ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুসহ এজাহারভুক্ত ১১ আসামির নাম নেই।
ওই চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে তা বাতিল এবং নতুন করে তদন্তের মাধ্যমে এজাহারভুক্ত সব আসামিকে অন্তর্ভুক্তের দাবি জানানো হয়।
সভায় বক্তৃতা করেন নিহত মেয়র লোকমান হোসেনের মা মাজেদা বেগম, ছোট ভাই ও মামলার বাদী মেয়র কামরুজ্জামান, লোকমান হোসেনের স্ত্রী নুসরাত জাহান বুবলী, লোকমান সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি পীরজাদা মোহাম্মদ আলী, মহিষাশুরা ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, যুবলীগ নেতা ওয়ালীউর রহমান আজিম, জাপা নেতা ফররুখ আহমেদ, কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম, নরসিংদী সরকারি কলেজের ভিপি ও জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ প্রমুখ। বক্তারা আরও বলেন, খুনিদের বিচার হতেই হবে। দাবি পূরণ না হলে ঈদুল ফিতরের পরে গণঅনশন, ডিসি অফিস ঘেরাও ও হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গত বছরের ১ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন লোকমান হোসেন।
এ ঘটনায় তার ছোট ভাই কামরুজ্জামান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ছোট ভাই সালাউদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে নরসিংদী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন সরকারসহ ১২ জনকে অভিযুক্ত করে গত ২৪ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মণ্ডল।
প্রথম পাতা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।