আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ুন আহমেদ স্যারের লাশ...মেডিক্যাল কলেজেই দান করা হউক!

ভেবেছিলাম হালের এই নষ্টস্রোত থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখবো,কিন্তু তা আর হলো কই?নষ্টামীর আসর এখন এমনই তরতরিয়ে জট পাকাচ্ছে যে আর চুপ করে থাকা সম্ভব হলো না। কিছু কথা তাই না বললেই নয়। লাশ নিয়ে বিপণন,লাশ নিইয়ে বিজ্ঞাপন কিংবা লাশ নিয়ে রাজনীতি কোনোটাই আর বাকী নেই এখন। প্রথমেই আসছি হুমায়ুন আহমেদের ফ্যামিলি ও ব্যক্তি হুমায়ুনে্র ইচ্ছা প্রসঙ্গে। একদিকে হুমায়ুনের গর্ভধারিণী মা,দুই ভাই,তিন কন্যা,এক পুত্র ও সাবেক স্ত্রী বলছেন, ঢাকাতেই হোক হুমায়ুনের কবর।

আর অন্যদিকে জীবনের শেষদিনগুলোতে হুমায়ুনের সবচেয়ে কাছে থাকা ২য় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এর চাওয়া দাফন হোক নুহাশপল্লীতে। হুমায়ুন তার 'বলপয়েন্ট' উপন্যাসে বলেছেন যে,তিনি চান না যে নুহাশপল্লী কবরস্থান হয়। তাঁর মেয়েদের দাবী যে,তিনি ব্যক্তিগত জীবনে অনেকবারই নুহাশপল্লীতে সমাধিত হতে অনিচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। তাছাড়া বিডিনিউজ২৪ কেও নাকি একই কথাই বলেছিলেন। আর এই পক্ষে হুমায়ুন আহমেদের বিখ্যাত ভ্রাতা ড, মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারও আছেন।

ইতিপূর্বে হাইকোর্ট তাঁকে ঢাবি'র সংকট নিরসনের মত ব্যাপারে মতামত দিতে আহ্বান জানালেও এই ইস্যুতে তাঁর মতামত বেশ চ্যালেঞ্জের মুখেই আছে। আর শাওন বলেছেন যে,তিনি শেষ দিকে এসে মত পাল্টেছেন এবং নুহাশেই সমাহিত হতে চেয়েছেন। এ ব্যাপারে নাকি কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের কাছে বলেছিলেনও। যদিও এই দাবীর পক্ষে হুমায়ূন কোথাও কিছু লিখে গেছেন বলে জানা যায় নি। এবার আসি সরকারের পদক্ষেপে।

ইতিমধ্যেই মৃত্যুর চারদিন পেরিয়ে যাবার পর নজিরবিহীনভাবে একজন লেখকের কবরস্থান বিষয়ক জটিলতা এখন প্রধানমন্ত্রী অব্দি গড়িয়েছে। যার ফলস্বরূপ সমঝোতা করার জন্য রাত-বেরাতে বাড়ি থেকে বাড়ি পর্যন্ত ঘুরতে হচ্ছে একজন স্টেটস মিনিস্টারকে। এরকম দৃষ্টান্ত পৃথিবীর আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ! এদিকে আরেকটি শোরগোল উঠেছে,ঢাবি কে কবরস্থান বানানো নিয়ে। ঢাবি তে নাকি কবরের সংখ্যা বেশী হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যিনি এককালে ঢাবি'র ছাত্র ছিলেন,অধ্যাপক ছিলেন এবং পরবর্তীতে দেশ-বিদেশে বিখ্যাত হয়েছেন,এরকম একজন ব্যক্তি কি ঢাবি তে জায়গা পাওয়ার অন্যতম দাবিদার নন।

কিংবা ঢাবি কি তাকে ধরে রাখার দাবি করতে পারে না? শেষ প্রসঙ্গ,কলিম শরাফী'র নাম আমরা নিশ্চয়ই শুনেছি?তাঁর মৃত্যু'র পর ডেডবডী মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহোরণে'র সুবিধার্থে দান করা হয়েছিল। হুমায়ুন আহমেদের ক্ষেত্রেও এমন কিছু করা যায় কি?তাতে কবরস্থান বিতর্কেরও অবসান হবে, নাস্তিক নাস্তিক বলে যেই মোল্লাগুলা গলা ফাটাচ্ছে তাদেরও আর রাতের ঘুম হারাম করতে হবে না এই ভেবে যে,একজন নাস্তিককে কেন কবর দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে আরো একটি মহৎ দৃষ্টান্তও স্থাপিত হবে নিঃসন্দেহে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।