ভালো কে ভালো বলি, খারাপ কে ঘৃণা করি!
হুমায়ুন স্যার এর মেয়ে নোভা একটু আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে ঃ সাধারন জনগনের সুবিধার্থে হুমায়ুনের কবর মিরপুরের শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান বা ঢাকার অন্য কোথাও হবে।
অন্যদিকে হুমায়ুন স্যার এর ২য় স্ত্রী শাওন বলেছেনঃ হুমায়ুনের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তার কবর নুহাশ পল্লীতেই হোক।
তাই আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছেঃ তার কবর ঢাকাতেই হচ্ছে। তবে ঢাকা ভার্সিটিতে যে হচ্ছে না, এটা মোটা মুটি নিশ্চিত। কারন সাংসদ তহুরা আলী মানে হুমায়ুন স্যার এর শাশুড়ি আওয়ামীলীগ এর নেতা।
তিনি তা হতে দিবে কেন?
আর শাওন, হুমায়ুন স্যার এর মোটামুটি সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি যেমন ধান্মন্ডির বাড়ি দখিনা আগেই দখল করে বসে আছে। এখন তো আর তাকে কেউ ওখান থেকে সরাতে পারবে না। বাকি রইল নুহাশ পল্লী, এখানে যদি হুমায়ুন স্যার কে সমায়িত করা হয়, তাহলে সেটাও তার দখলেই থাকল। কিন্তু স্যার কে যদি ঢাকায় কোথাও সমায়ীত করা হয়, তাহলে সেটা শাওনের হাত ছাড়া হয়েও যেতে পারে, যেহেতু ওটা নুহাশের নামে।
আর হা স্যার এর বই এর মেধাসত্ব নিয়েও শুরু হবে টানা হেঁচড়া।
এখন অপেক্ষা মাত্র। গুলতেকিনের সাথে ৩২ বছরের সংসারের কোনই মুল্য নেই কি? কিংবা ৬/৭ বছরের শাওনের সংসারের ই বা মুল্য কি? জানতে হলে আমাদের সাধারন মানুষের হয়তো আরো অপেক্ষা করতে হবে।
কিন্তু আমরা তার ভক্ত ও পাঠক কি এমনটিই চেয়েছিলাম?
জানিনা আসলে কি রাজনীতি হচ্ছে। তবে আমার যা মনে হয় হুমায়ুন স্যার অত্যন্ত সম্ব্রান্ত পরিবারের মানুষ, টার পরিবারের সবাই অন্যরকম। তাদের এ ধরনের লোভ নেই বলেই আমি ও সাধারন জনগন বিশ্বাস করে।
এমনকি স্যার নাকি বলেছিল তাকে যেন সেখানে কবর দেয়া না হয়। এবং নুহাশ পল্লী নিয়ে যেন টানাটানি না করা হয়। কিন্তু বাস্তবে কি আদৌ তা হচ্ছে?
যাই হোক আমি আম জনতা হিসেবে এটাই মনে করি যে স্যার কে নুহাশ পল্লীতেই সমাহিত করা হোক। কারন ওটাই তার সবচেয়ে আপন যায়গা প্রিয় স্থান । যদি তা না করা হয় অন্তত একবার হলেও স্যার কে যেন সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
সবশেষে যেখানেই তাকে সমাহিত করা হোক না কেন তার বিদেহী আত্তা যেন চির শান্তিতে থাকে এই কামনা ও দোয়া রইল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।