জীবনের ঘানি টানছি........
সদর দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই চমকে উঠতে পারেন। ঢাকা শহরেই আছি তো! পায়ের নিচে বালি-পাথরের মিশেল। সাগরপারের গাছগাছালি চারপাশে। একদিকের দেয়ালে বিশাল এক আয়না। তার সামনে বিশাল এক গাছের গুঁড়ি খোদাই করে বানানো জোড়াবিহীন নৌকায় ভাসছে মোমবাতি।
সব মিলিয়ে স্বপ্ন স্বপ্ন একটা পরিবেশ। ২০০৫ সালে কক্সবাজারের কলাতলীতে প্রথম মারমেউড ক্যাফে চালু হয়। ২০০৯ সাল থেকে প্যাঁচার দ্বীপে তারা শুরু করে মারমেইড ইকো রিসোর্ট। বারিধারার কূটনীতিক এলাকার ৯ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাড়িতে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয় এটি।
জুস বার
মূল রেস্তোরাঁর বাইরে খোলা বারান্দায় আছে জুস বার।
এখানে পৌঁছাতেই আপনাকে স্বাগত জানানো হবে লেমোনেড দিয়ে। ঘাস, লতাপাতার ওপর কাচঘেরা অথবা মাছ আকৃতির টেবিলে বসে চেখে দেখতে পারেন হরেক পদের জুস, চা, কফি, আইসক্রিম। জুস বারের ওপরটা খড়ের গাদা দেওয়া। আর পায়ের নিচে কক্সবাজার এলাকার আবহ।
তিনতলার ছাদের ওপরেও আছে আরেকটি জুস বার।
এই জায়গাটি মূলত পার্টির জন্য। তবে এমনিতেও বসতে পারবেন।
অন্দরমহল
মূল রেস্তোরাঁর ভেতরে আস্ত একটা গাছের শিকড় রাখা। বাঁশের চিকের পর্দা দেওয়া প্রতিটি জানালায়। আছে কাগজের খেলনাও।
কাঠের সিঁড়িতে আয়েশী পা ফেলে দোতলায় উঠলেই চোখে পড়বে দুটি কনফারেন্স রুম।
আসবাবপত্রের ধাঁচটা সামুদ্রিক। জাহাজের পুরোনো আসবাব জায়গা পেয়েছে প্রচুর।
খাবার দাবার
এখানকার মূল ক্রেতা হচ্ছেন বারিধারার কূটনীতিকেরা। খাবারের পদটাও তাই মিশ্রিত।
কন্টিনেন্টালের সঙ্গে এশিয়ান খাবারের পাঁচমিশালি করা হয়েছে। সামুদ্রিক খাবারই বেশি। গরুর মাংস, পনির ইত্যাদি কাঁচা খাবার আসে অস্ট্রেলিয়া থেকে।
এখানকার জুসবারের পানীয়র দাম পড়বে ৬০ থেকে ৩০০ টাকা। চা, কফি পাওয়া যাবে ৮০-২৫০ টাকায়।
ইতালিয়ান পাস্তা পাবেন চার পদের, দাম ৬০০-৭০০ টাকা। স্যুপ আছে দুই ধরনের। দাম ৩৯০-৬৫০ টাকা। থাই বিফ সালাদ, বার-বি-কিউ চিকেন সালাদসহ পাঁচ পদের সালাদ পাবেন। দাম ৫০০-৬৫০ টাকা।
চিংড়ি ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছের প্ল্যাটারের দাম পড়বে ৪০০-৭০০ টাকা।
মুরগির বিভিন্ন পদের দাম পড়বে ৪৫০-৮০০ টাকা। গরুর বিভিন্ন পদের দাম ৬০০-১২০০ টাকা। গ্রিলড চিংড়ির দাম প্রতি ১০০ গ্রাম ৯০০ টাকা। এ ছাড়া টুনা, স্যামন, রেড স্ন্যাপার ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছের বিভিন্ন পদ পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন ডেজার্টের দাম পড়বে ২০০-৪৫০ টাকা। এ ছাড়া মুভেনপিকের আইসক্রিম তো আছেই।
সকাল থেকে গভীর রাত অবধি খোলা থাকে মারমেইড।
(আমি নিজের টাকায় মারমেইডে খাবার যোগ্যতা রাখিনা, তবে এক বন্ধুর সাথে ওখানে খেতে যাবার সৌভাগ্য হয়েছিল)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।