ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের বিভিন্ন জায়গায় গতকাল সোমবার হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় চারটি মামলা হয়েছে। গতকাল গভীর রাতে মামলাগুলো করা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলার বাদী পুলিশ ও একটির বাদী পরিবহন মালিকপক্ষ।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ জানায়, পুলিশের ওপর হামলা, মারধর, জখম, খুন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল ইমতিয়াজ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা বহু মানুষকে আসামি করা হয়।
আরেকটি মামলা করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হাবিলদার জুলহাস মিয়া। এ মামলায় কাঁচপুর বালুরমাঠে ডিএমপির ডাম্পিং করে রাখা অবৈধ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। তবে এ মামলায় কোনো আসামির নাম সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।
চতুর্থ মামলাটি করা হয় বাস পোড়ানোর ঘটনায়। পরিবহন মালিকের পক্ষে জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা বহু লোককে আসামি করে মামলাটি করেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি আতিকুর রহমান খান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গতকালের সহিংস ঘটনায় মামলাগুলো করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
গতকাল ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ ও সাইনবোর্ড থেকে সানারপাড়-শিমরাইল হয়ে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম।
তারা গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে এবং হাইওয়ে পুলিশের ফাঁড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়কে আগুন দেয়। এ সময় পুলিশ-র্যাব-বিজিবির সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে ২০ জন নিহত হন। আহত হন দেড় শতাধিক। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পুলিশের দুজন ও বিজিবির একজন সদস্য রয়েছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।