। । ..জানে না তো কেউ পৃথিবী উঠছে কেঁপে,ধরেছে মিথ্যা সত্যের টুঁটি চেপে.। ।
১ম পর্ব
ইমাম মেহেদী আসার আলামতঃ ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ।
নিম্নোক্ত হাদীসগুলো দিয়ে এটা প্রমাণিত হয় যে, শেষ সময়ে বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ নির্যাতন এবং গোলযোগের শিকার হবে এবং প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হবে যা ইমাম মেহেদী আসার লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বিচার দিবস ততক্ষন আসবে না যতক্ষন না এইসমস্ত জিনিস প্রকাশিত হয়............ মৃত্যু এবং গণহত্যা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে.........(জালালুদ্দিন আস-সুয়ুতি, আল জামি আস সগির, ৩:২১১, আহমাদ ইবনে হানবাল , মুসনাদ, ২:৪৯২, ৪:৩৯১,৩৯২)
শাওয়াল মাসে যুদ্ধের ঘোষণা আসবে, জিলহাজ্জ মাসে যুদ্ধ ও ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হবে। আবার জিলহাজ্জ মাসে তীর্থযাত্রীরা (হজ্জযাত্রী) লুণ্ঠনের শিকার হবে এবং রাস্তাসমূহ রক্তস্নাত হবে...... রক্তপাত চলতে থাকবে এবং বাড়তে থাকবে। (আল-মুত্তাকী আল হিন্দি, আল বুরহান ফি আলামাত আল মেহদী আখির আল জামানা, পৃঃ৩৭)
মানুষ তীর্থযাত্রায় যাবে কিন্তু তাদের কোন পথপ্রদর্শক(ইমাম) থাকবে না। যখন তারা মিনাতে আসবে তখন সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়বে এবং যে ভাবে কুকুর বেধে রাখা হয় তাদেরকে সেভাবে বেধে রাখা হবে এবং গোত্রসমূহ একে অপরের উপর চড়াও হবে।
এই দ্বন্দ্ব এত পরিব্যাপ্ত হবে যে পা রক্তের নদীতে ডুবে যাবে।
(আল-মুত্তাকী আল হিন্দি, আল বুরহান ফি আলামাত আল মেহদী আখির আল জামানা, পৃঃ৩৫)
ব্যাপক যুদ্ধ শুরু হবে এবং মনে হবে তা চিরদিন চলবে............ (ইবনে হাযার আল হাইতামী, আল- কাওয়াল আল মুখতাসার ফি আলামাত আল মেহদী আল মুন্তাধার, পৃঃ ৫৫)
এমন যুদ্ধ শুরু হবে যা থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। কোন স্থানে শেষ হলে তৎক্ষণাৎ আরেকটি স্থানে শুরু হবে...... (ইবনে হাযার আল হাইতামী, আল- কাওয়াল আল মুখতাসার ফি আলামাত আল মেহদী আল মুন্তাধার, পৃঃ ২১-২২)
শেষযুগে প্রযুক্তির সহায়তায় এসব ধ্বংসযজ্ঞ এবং অনাচার সম্পর্কে সবাই জানতে পারবে। যদিও দৃশ্যপটে অল্প সংখ্যক লোক থাকবে কিন্তু ঘরে বসে প্রযুক্তির কল্যাণে সবাই সেতা সম্পর্কে মুহূর্তেই জানতে পারবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।