আসুন সত্য ইসলামকে জানি এবং অন্যদেরকে জানাই ...
শিয়া মাযহাবের শেষ ইমাম এবং রাসূল (সা.)-এর বারতম উত্তরাধিকারী ২২৫ হিজরীর ১৫ই শাবান শুক্রবার প্রভাতে (৮৬৮ খ্রীষ্টাব্দে) ইরাকের সামের্রা শহরে জন্মগ্রহণ করেন৷
শিয়া মাযহাবের একাদশ ইমাম হযরত হাসান আসকারী (আ.) তাঁর মহান পিতা৷ মাতা হযরত নারজিস খাতুন৷ নারজিস খাতুনের পিতা হলেন রোমের যুবরাজ, আর মাতা আশ্ শামউন সাফার বংশধর হযরত ঈসা (আ.)-এর ওয়াসি এবং নবীগণের বন্ধু হিসাবে পরিচিত৷ নারজিস খাতুন স্বপ্নের মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর নির্দেশ অনুযায়ী যুদ্ধের ময়দানে যান এবং সেখানে অন্যান্য মুসলমানদের সাথে বন্দি হন৷ ইমাম হাদী আন্ নাকী (আ.) একজনকে প্রেরণ করেন এবং সে নারজিস খাতুনকে কিনে সার্মেরায় ইমামের বাড়িতে নিয়ে আসে (কামালুদ্ দ্বীন খণ্ড- ২, বাব ৪১, হাদীস ১, পৃষ্ঠা ১৩২)৷
এসম্পর্কে আরও কয়েকটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে (বিহারুল আনওয়ার খণ্ড- ৫, হাদীস ২৯, পৃ.-২২, এবং হাদীস ১৪ পৃ.-১১) তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল হযরত নারজিস কিছুদিন যাবৎ ইমাম হাদী (আ.)-এর বোন হযরত হাকিমা খাতুনের বাড়িতে ছিলেন এবং তিনি তাকে অনেক কিছু শিক্ষা-দীক্ষা দিয়েছিলেন৷ হযরত হাকিমা খাতুন নারজিস খাতুনকে অধিক সম্মান করতেন৷ নারজিস খাতুন হলেন সেই রমনী যার প্রশংসা করে পূর্বেই রাসূল (সা.) (বিহারুল আনওয়ার খণ্ড- ৫, হাদীস ২৯, পৃ.-২২, এবং হাদীস ১৪ পৃ.-১১), আলী (আ.) (গাইবাতে শেখ তুসী হাদীস ৪৭৮, পৃ.-৪৭) ও ইমাম জাফর সাদিক (আ.) (কামালুদ্ দ্বীন খণ্ড- ২, বাব ৩৩, হাদীস ৩১, পৃষ্ঠা ২১) হতে হাদীস বর্ণিত হয়েছে৷ তাকে সর্বোত্তম দাসী এবং তাদের নেত্রী হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে৷
উল্লেখ্য যে ইমাম মাহদী (আ.)-এর মাতা আরও কয়েকটি নামে যেমন: সুসান, রেহানা, মালিকা এবং সাইকাল (সাকিল) নামে পরিচিত৷
নাম, কুনিয়া ও উপাধি
ইমাম মাহদী (আ.)-এর নাম ও কুনিয়া (যে নাম "আব" অথবা "উম" দিয়ে শুরু হয়ে থাকে যেমনঃ আবা আবদিল্লাহ ও উম্মুল বানিন) রাসূল (সা.)-এর নাম ও কুনিয়ার অনুরূপ৷ কিছু সংখ্যক হাদীসে তাঁর আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত তাকে নাম ধরে ডাকতে নিষেধ করা হয়েছে৷
ইমাম যামানার প্রসিদ্ধ উপাধিসমূহ হচেছ: মাহ্দী, কায়েম, মুনতাযার, বাকিয়াতুল্লাহ, হুজ্জাত, খালাফে সালেহ, মানসুর, সাহেবুল আমর, সাহেবুয্ যামান এবং ওলী আসর আর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ হল মাহ্দী৷
প্রতিটি উপাধিই মহান ইমাম সম্পর্কে এক বিশেষ বাণীর বার্তাবাহক৷
ঐ মহান ইমামকে "মাহ্দী" বলা হয়েছে৷ কারণ তিনি নিজে হেদায়াত প্রাপ্ত এবং অন্যদেরকে সঠিক পথে হেদায়াত করবেন৷ তাঁকে "কায়েম" বলা হয়েছে৷ কেননা তিনি সত্যের জন্য সংগ্রাম করবেন৷ তাঁকে "মুনতাযার" বলা হয়েছে৷ কেননা সকলেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করে আছে৷ তাঁকে "বাকিয়াতুল্লাহ" বলা হয়েছে৷ কেননা তিনি হচেছন আল্লাহর হুজ্জাত এবং গচিছত শেষ সম্পদ৷
"হুজ্জাত" অর্থাৎ সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর স্পষ্ট দলিল এবং "খালাফে সালেহ"-এর অর্থ হচেছ আল্লাহর ওয়ালিগণের উত্তরাধিকারী৷ তিনি "মানসুর" কেননা আল্লাহ তাঁকে সাহায্য করবেন৷ তিনি "সাহেবুল আমর" কেননা ঐশী ন্যায়পরায়ণ সরকার গঠনের দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যান্ত হয়েছে৷ তিনি "সাহেবুয্ যামান" এবং "ওয়ালি আসর" কেননা তিনি হচেছন তাঁর সময়ের একছত্র অধিপতি৷
জন্মের ঘটনা
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) হতে বহুসংখ্যক হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে তাঁর বংশ হতে মাহ্দী নামক একজন ব্যক্তি অদ্ভুথ্যান করবেন এবং তিনি অত্যাচারের ভিতকে সমূলে উৎপাটন করবেন৷ অত্যাচারী আববাসীয় শাসকরা এঘটনা জানতে পেরে ইমাম মাহদী (আ.)-কে তাঁর জন্মলগ্নেই হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ সুতরাং ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর সময় থেকে মাসুম ইমামগণের জীবন-যাপন কড়া সীমাবদ্ধতার মধ্যে চলে আসে এবং ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর সময়ে এ পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌছায়৷ এমনকি ইমাম (আ.)-এর গৃহের অতি সামান্য আসা যাওয়ার বিষয়ও শাসকবর্গের নখদর্পনে থাকত৷ অতএব এমতাবস্থায় শেষ ইমাম তথা ঐশী নবজাতকের জন্ম গোপনে বা লোকচক্ষুর আড়ালে হওয়াটাই বাঞ্চনীয়৷ ঠিক একারণেই ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর অতি নিকট আত্মীয়রাও ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্মের ঘটনা সম্পর্কে জানতেন না৷ এমনকি জন্মের কয়েক ঘন্টা পূর্বেও হযরত নারজিস খাতুনের গর্ভবতী অবস্থা পরিদৃষ্ট ছিল না৷
হযরত ইমাম মুহাম্মদ তকী আল জাওয়াদ (আ.)-এর কন্যা হাকিমাহ বলেন যে, ইমাম হাসান আসকারী (আ.) তাকে বললেন:
"ফুপি আম্মা আজকে ১৫ই শাবান, আমাদের সাথে ইফতার করুন৷ কেননা, আজ রাতে (রাতের শেষ ভাগে) আল্লাহ তার বরকতময় হুজ্জাতকে দুনিয়াতে প্রেরণ করবেন৷"
আমি বললাম: "এই বরকতময় নবজাতকের জননী কে?"
ইমাম হাসান আসকারী (আ.) বললেন: "নারজিস৷"
আমি বললাম: "কিন্তু আমি তো তার কোন আলামত দেখছি না!"
ইমাম (আ.) বললেন: "কল্যাণ এর মধ্যেই নিহিত, আমি যা বলেছি তা ঘটবেই ইনশা আল্লাহ৷"
আমি নারজিস খাতুনের ঘরে প্রবেশ করে সালাম করে বসলাম, সে আমার পায়ের থেকে জুতা খুলে বলল: শুভ রাত্র হে আমার, নেত্রী৷
আমি বললাম: "তুমি আমার এবং আমাদের পরিবারের মহারাণী৷"
নারজিস খাতুন বললেন: "না! আমি কোথায় আর এ মর্যাদা কোথায়৷"
আমি বললাম: "হে আমার কন্যা! আল্লাহপাক তোমাকে আজ রাত্রে এমন একটি সন্তান দান করবেন যে দুনিয়া ও আখেরাতের নেতা৷"
একথা শোনার পর সে বিনয় ও লাজুকতার সাথে বসে পড়ল৷ আমি নামায-কালাম পড়ে ইফতার করে শুয়ে পড়লাম৷
মধ্যরাত্রে উঠে তাহাজ্জতের নামায পড়লাম৷ নারজিস ঘুমাচিছল কিন্তু বাচচা হওয়ার কোন আলামত দেখতে পেলাম না৷ নামায শেষে পুনরায় শুয়ে পড়লাম৷
কিছুক্ষণ পর ঘুম ভেঙ্গে গেল দেখলাম নারজিস নামায পড়ছে কিন্তু বাচচা হওয়ার কোন আলামত দেখতে পেলাম না৷ তখন আমার সন্দেহ হল ইমাম হয়ত ঠিক বুঝতে পারে নি৷
এমন সময় ইমাম হাসান আসকারী (আ.) তাঁর শোয়ার ঘর থেকে উচচস্বরে বললেন,
لا تعجلي يا عمه فانّ الامر قد قرب
"ফুপি আম্মা ব্যস্ত হবেন না বাচচা হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে৷"
একথা শোনার পর আমি সুরা সাজদা এবং সুরা ইয়াছিন পড়তে লাগলাম৷ এর মধ্যে হটাৎ নারজিস লাফিয়ে উঠলে আমি কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম তোমার ব্যথা অনুভব হচেছ? বলল, "হ্যাঁ ফুপি৷"
আমি বললাম: চিন্তার কোন কারণ নেই ধৈর্য ধর, তোমাকে যে সুসংবাদ দিয়েছিলাম এটা তারই পূর্বাভাস৷
অতঃপর আমি ও নারজিস সামান্য ঘুমালাম, জেগে দেখি সেই চোখের মণি জন্মগ্রহণ করেছে এবং সেজদা করছে৷ তাকে কোলে নিয়ে দেখলাম সম্পুর্ণ পাক ও পবিত্র কোন ময়লা তার গায়ে নেই৷ এমন সময় ইমাম হাসান আসকারী (আ.) বললেন, "ফুপি আম্মা আমার সন্তানকে আমার কাছে নিয়ে আসুন৷"
আমি নবজাতককে তাঁর কাছে নিয়ে গেলাম তিনি শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে নিলেন এবং নিজের জিহবাকে তার মুখে দিলেন এবং চোখে ও কানে হাত বুলালেন এবং বললেন:
تكلم يا بنيّ
"আমার সাথে কথা বল হে আমার পুত্র৷"
পবিত্র শিশুটি বলল:
اشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له و اشهد محمد رسول الله
অতঃপর ইমাম আলী (আ.) সহ সকল ইমাম (আ.) গণের উপর দরুদ পাঠ করলেন৷
ইমাম হাসান আসকারী (আ.) বললেন: "ফুপি! তাকে তাঁর মায়ের কাছে নিয়ে যান সে মাকে সালাম করবে, তারপর আমার কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন৷"
তাকে তার মায়ের কাছে নিয়ে গেলাম, সে মাকে সালাম করল নারজিস সালামের উত্তর দিল এবং আবার তাকে তাঁর পিতার কাছে নিয়ে গেলাম৷
হাকিমা খাতুন বলেন, 'পরের দিন আমি ইমাম হাসান আসকারী (আঃ)-এর কাছে গিয়ে সালাম করলাম এবং ঘরে ঢুকে নবজাতককে দেখতে পেলাম না৷ ইমামের কাছে জানতে চাইলাম, 'ইমাম মাহ্দী কোথায়, তাঁকে দেখছিনা কেন, তাঁর কি হয়েছে? ইমাম বললেন: "ফুপি, তাকে তাঁর কাছে শপে দিয়েছি যার কাছে হযরত মুসার মাতা মুসা (আ.)-কে শপে দিয়েছিলেন৷"
হাকিমা খাতুন বলেন, 'সপ্তম দিনে আবার ইমামের বাসায় গেলাম এবং ইমাম আমাকে বললেন: "ফুপি, আমার সন্তানকে আমার কাছে নিয়ে আসুন! আমি তাঁকে ইমামের কাছে নিয়ে আসলাম৷ ইমাম বললেন: "হে আমার সন্তান! কথা বল! শিশুটি মুখ খুললেন এবং কালিমা শাহাদত পাঠ করলেন৷ অতঃপর মহানবী ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের প্রতি দরুদ পাঠ করলেন৷ অতঃপর এই আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন:
﴿بِسْمِ اللّهِ الرّحْمَنِ الرّحيمِ * وَ نُريدُ أَنْ نَمُنّ عَلَي الّذينَ اسْتُضْعِفوا فِي الْأَرْضِ وَ نَجْعَلَهُمْ أَئِمّةً وَ نَجْعَلَهُمُ الْوَرِثينَ وَ نُمَكنَ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَ نُرِيَ فِرْعَوْنَ وَ هَمَنَ وَ جُنوذَهُما مِنْهُمْ ما كانوا يَحْذَرونَ﴾
"আমি ইচছা করলাম পৃথিবীতে যাদেরকে হীনবল করা হয়েছিল, তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে, তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে, তাদেরকে নেতৃত্ব দান করতে এবং উত্তরাধিকারী করতে৷' এবং তাদেরকে পৃথিবীতে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে, আর ফিরাউন হামান ও তাদের বাহিনীকে তা দেখিয়ে দিতে যা তাদের নিকট তারা আশঙ্কা করত" (সূরা কাসাস আয়াত নং ৫,৬/ কামালুদ্দিন, খণ্ড-২, বাবে ৪২, হাদীস নং-১, পৃ.-১৪৩)৷
আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্য
রাসূল (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইত (আ.)-এর বাণীতে ইমাম মাহদী (আ.)-এর আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে তার কিছু এখানে তুলে ধরছি:
তাঁর চেহারা যুবক এবং গৌরবর্ণেও, কপাল প্রশস্ত ও উজ্বল, ভ্রু চাঁদের মত, চোখের রং কালো ও টানা টানা, টানা নাক ও সুন্দর, দাঁতগুলো চকচকে৷ ইমামের ডান চোয়ালে একটি কালো তিল আছে এবং কাধের মাঝে নবীগণের মত চিহ্ন আছে৷ তাঁর গঠন সুঠাম ও আকর্ষণীয়৷
পবিত্র ইমামদের পক্ষ থেকে তাঁর সম্পর্কে যে সকল বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে তার কিছু এখানে তুলে ধরা হল:
ইমাম মাহদী (আ.) তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন, সংযমি এবং সাধারণ, ধৈর্যশীল এবং দয়ালু, সৎকর্মশীল ও ন্যায়পরায়ন৷ তিনি সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের ধনভান্ডার৷ তাঁর সম্পূর্ণ অস্তিত্ব জুড়ে পবিত্রতা এবং বরকতের ঝর্ণাধারা৷ তিনি জিহাদী ও সংগ্রামী, বিশ্বজনীন নেতা, মহান বিপ্লবী এবং তিনি প্রতিশ্রুত শেষ সংষ্কারক ও মুক্তিদাতা৷ সেই জ্যোর্তিময় অস্তিত্ব রাসূলের বংশধর, হযরত ফাতিমাতুয্ যাহরার সন্তান এবং সাইয়্যেদুশ্ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর নবম বংশধর৷ তিনি মক্কা শরিফে আবির্ভূত হবেন এবং তাঁর হাতে থাকবে রাসূল (সা.)-এর ঝাণ্ডা৷ তিনি সংগ্রামের মাধ্যমে আল্লাহর দ্বীনকে রক্ষা করবেন ও আল্লাহর শরিয়তকে সারাবিশ্বে প্রচলিত করবেন৷ এ পৃথিবী অন্যায় অত্যাচারে পরিপূর্ণ হওয়ার পর তিনি তা ন্যায়-নীতিতে পরিপূর্ণ করবেন (মুনতাখাবুল আছার দ্বিতীয় অধ্যায় পৃ.-২৩৯-২৮৩)৷
ইমাম মাহদী (আ.)-এর জীবনি তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত:
১৷ গুপ্ত অবস্থা: জন্মের পর থেকে ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর শাহাদত পর্যন্ত তিনি গুপ্ত অবস্থায় জীবন-যাপন করেন৷
২৷ অদৃশ্যকাল: ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর শাহাদতের পর থেকে শুরু হয়েছে এবং আল্লাহর নির্দেশে আবির্ভাব হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তা চলতে থাকবে৷
৩৷ আসরে যহুর (আবির্ভাবের সময়): অদৃশ্যকাল শেষ হওয়ার পর মহান আল্লাহর ইচছায় তিনি আবির্ভূত হবেন এবং পৃথিবীকে সুখ-শান্তি ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ করবেন৷ কেউই তাঁর আবির্ভাবের সময়কে জানেন না৷ ইমাম মাহদী (আ.) নিজেই বলেছেন, 'যারা তাঁর আবির্ভাবের সময়কে নির্ধারণ করবে তারা মিথ্যাবাদী (ইহতিজাজা, খণ্ড-২, পৃ.-৫৪২)৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।