যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি আগের দিনে বাচ্চাদের কোমরে কালো সুতা বেঁধে দেওয়া হতো। সেইটা একটা বিশেষ কৌশলে বাঁধা হতো। খুব টাইট করা হতো না যাতে ছিড়ে যায় - খুব লুজও করা হতো না - যাতে নীচ নেমে হারিয়ে যায়।
বাংলাদেশের খবর দেখি আর ভাবি - হয়তো এখন আর তাঁগার প্রচলন নাই। না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন মহাত্যাগ ( সন্মিলিত পদত্যাগের নাটক) করার মতো কর্মসূচী ঘোষনার আগে একটু ধৈর্য্য ধরতেন।
উনার একই বিষয়ে আগে ধর্মঘট করেছেন। কিন্তু মিডিয়ার এটেনশনান পাননি তেমন একটা। এবার মিডিয়ার পুরো স্পটলাইট উনাদের উপর। যেখানে শিক্ষমন্ত্রী বিশিষ্টজনদের সাথ বৈঠক করে একটা সমাধানের আশ্বাস দিলেন - ঠিক তার ৪০ মিনিটের মধ্যেই উনারা মহাত্যাগের ঘোষনা দিলেন।
অবাক হয়ে দেখি - সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন - তাদের আন্দোলনের মুল লক্ষ্য আভ্যন্তরীন ক্ষমতা।
কোথাও দেখলাম না শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে একটা হল বানানো বা শিক্ষার বরাদ্ধ বাড়ানো বা গবেষনার জন্যে অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে আন্দোলন হচ্ছে। কারন উনাদের এগুলো দরকার নেই। ডে- জব হিসাবে পাবলিক ভার্সিটির চাকুরী - আর সেই পরিচয় দিয়ে প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতে খেপ মারা - এছাড়া কনসালটেনসী আর নিজেদের ব্যাবসা বানিজ্য নিয়ে উনারা ভালই আছেন।
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের ধরন দেখে পরিবহন শ্রমিক সমিতি আর শিক্ষক সমিতির মাঝে কোন পার্থক্য করতে পারছিনা। একজন শিক্ষক বলছেন - উনার অধীনে কাজ করা সম্ভব নয় - তাই উনাকে পদত্যাগ করতেই হবে।
ভাল কথা। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক - উনিও সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং উভয়েই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও। কি হলো যে আপনি আপনার একজন সিনিওর কলিগের সাথে বসতেও অপারগ। ইগো জিনিসটা খুবই ধ্বংসাত্বক।
শিক্ষকদের গনপদত্যাগের কর্মসূচী ঘোষনা যে একটা অতিবিপ্লবী কাজ হয়েছে তা উনারা এখন বুঝতে পারছেন।
তাই নানান ভাবে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
গ্রামে একটা প্রবাদ চালু আছে - ঘুটে পুড়ে আর গোবর হাসে। এক সময় আজকের প্রোভিসি ভিসি তৎকালীন ভিসি শাহজাহান স্যারের পদত্যাগের সময় হেসেছিলেন - এখন অনেকেই হাসার জন্যে প্রস্তৃতি নিচ্ছেন। উনাদের অতিবিনয়ের সাথে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই - যে ক্ষত তৈরী হয়েছে তা আর বাড়তে দিয়েন না। এক সময় হয়তো ক্ষত শুকিয়ে যাবে - কিন্তু দাগটা থেকেই যাবে।
সেই দাগ দেখে অনেকেই আফসোস করবেন।
শুরুতে যে কথাটা বলেছিলাম- তাগা বেশী টাইট দিলে ছিঁড়ে যায় - আন্দোলনের ক্ষেত্রেও তাই - খুব বেশী কঠিন কর্মসূচী দিলে হয়তো সেইটা আপনাদের জন্যেই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে। ধৈর্য্য ধরে আগান - নজরুল ইসলাম স্যারের সময় শেষ - কিন্তু যাবার আগে যেন আরো বড় ক্ষত না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। আজকের যারা ছাত্র - এরা একসময় শিক্ষক হবে এবং হাবিবুর রহমানের পরিনতি দেখে আশা করি কিছুটা আঁচ করতে পারি - সেই ক্ষতের দাগগুলো কত কঠিন হয়ে মূর্ত হয়ে জ্যান্ত কৌতুক হয়ে উঠবে অনেকের জন্যেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।