আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসুখ, বাল-মুসীবতে তাবীজ-কবজ তাগা, বালা, ইত্যাদি ব্যবহার শির্ক

আিম তুচ্ছ মানব

মহান আল্লাহ্ বলেনঃ বলুন! তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ আমার অনিষ্ট করতে চান তবে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাক, তারা কি সে অনিষ্ট দূর করতে পারবে ? অথবা তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করতে চান তাহলে কি তারা সে অনুগ্রহ প্রতিরোধ করতে পারবে? বলুন, আমার পে আল্লাহই যথেষ্ট। নির্ভরকারীরা তাঁরই উপর নির্ভর করে। (সূরাঃ আয্-যুমার-৩৮ আয়াত) আল্লাহ যদি তোমার উপর কোন কষ্ট দিতে চান তাহলে কেউ তা দূর করতে পারবে না তিনি ছাড়া। পান্তরে যদি তিনি তোমার কল্যাণ করতে চান তবে তার অনুগ্রহকে কেউ বাঁধা দিতে পারবে না। (সূরাঃ ইউনুস- ১০৭ আয়াত) এ ব্যপারে নবী (সঃ) এর কয়েকটি হাদীসঃ উকবাহ বিন আমির আল-জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূল (সঃ)-এর নিকট একটি দল আসলে তিনি তাদের থেকে ন’জনের বায়আত গ্রহণ করলেন এবং একজনের বায়আত গ্রহণ করলেন না।

সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি ন’জনের বায়আত নিলেন আর এক ব্যক্তির বায়আত নেয়া থেকে বিরত থাকলেন ? নবী (সঃ) বললেনঃ তার নিকট তাবীজ রয়েছে। অতঃপর লোকটি হাত ঢুকিয়ে তাবিজটি ছিড়ে ফেলে দিল। তারপর নবী (সঃ) তার নিকট থেকে বয়আত নিলেন এবং বললেন, যে ব্যক্তি তাবীজ লটকায় সে ব্যক্তি শির্ক করল। (মুসনাদে আহমাদ) আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেনঃ আমি রসূল (সঃ)-কে বলতে শুনেছি ঝাড়-ফুঁক, তাবীজ এবং যাদুটোনা করা শির্ক। (আবু দাউদ ২য় খন্ড ৫৪২ পৃষ্ঠা, আহমাদ) হুযাইফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি একজন লোককে দেখলেন তার হাতে জ্বরের কারণে তাগা রয়েছে।

অতঃপর তিনি তা কেটে ফেললেন বা খুলে ফেললেন, এবং আল্লাহর এ আয়াত পাঠ করলেনঃ “তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে এবং শির্কও করে থাকে” (ইবনু আবূ হাতিম, কিতাবুত তাওহীদ ৩৮ পৃঃ) ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (সঃ) এক ব্যক্তির হাতে একটি পিতলের বালা দেখলেন। অতঃপর বললেন, এটা কি? সে বলল, এটা দুর্বলতা রোগ থেকে মুক্তির জন্য রেখেছি। অতঃপর নবী (সঃ) বললেন, এটা খুলে ফেল। কেননা ওটা তোমার দুর্বলতা আরো বাড়িয়ে দিবে। আর যদি তুমি ওটা রাখাবস্থায় মৃত্যুবরণ কর তাহলে তুমি কখনই সফলতা অর্জ করতে পারবে না।

অর্থাৎ জান্নাতে যেতে পারবে না। (মুসনাদে আহমাদ)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।