আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শান্তিরক্ষীদের বিদায় এবং কূটনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশঃ মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে জাতিসংঘ তদন্ত দল আসছে!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন UNHRC শীঘ্রই বাংলাদেশে গুম, গুপ্ত হত্যা এবং ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য একটি তদন্ত দল পাঠাবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গণ বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে ১৩ টি ক্ষেত্রে ৩৩টি দেশে ২০০টি গুরুতর বিষয় যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্তর্ভূক্ত। জাতিসংঘের সংবাদ সংস্থার সুত্রে জানা গেছে জেনেভাতে ৯ হতে ১৩ই জুলাই এ তার ৯৭তম সেশনে পূর্বের বিভিন্ন সহ নতুন কেস পর্যবেক্ষণ করেছে। এখানে বাংলাদেশ শীর্ষে এসে গেছে যখন সৌদি কর্মকর্তা খুন, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী সহ অনেক লোক গুম হয়েছে। সৌদি কর্মকর্তাকে গুলি করে লাশ তার বাসভবনের ৩০ মিটার দূরে ফেলে রাখে খুনীরা।

যদিও পুলিশ এটাকে পূর্ব পরিকল্পিত এবং পেশাদার ঘাতকদের কাজ বলছে তাতে বিষয়টি যথাযথ তদন্ত পূর্বক দোষীদের ধরার কোন চেষ্টাই করেনি সরকারী গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। UNHRC এর ৫জন সদস্য আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে আসবেন। ইলিয়াস আলী, সৌদিয়ান খালাফ, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনী হত্যাকান্ড বিষয় সমূহে এই টিম প্রমাণ পেলে(যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও সরকারের প্রভাব) তারা জাতিসংঘে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে তখন এর পরিণাম স্বরুপ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীবাহিনীকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণমাধ্যমের উপর খড়গের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থাও নিতে পারে জাতিসংঘ। সরকার এই আসন্ন কূটনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে থাকলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনি ও তার দল পুরোপুরি বিষয়টাকে অবহেলা করছে অথচ যেখানে এটা অতি সত্ত্বর সুরাহার উদ্যোগ নেওয়ার কথা।

এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রী এই আসন্ন সমস্যা তথা জাতিসংঘের তদন্ত টিম ও পরিণতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোন রিপোর্ট অথবা তাকে অবহিতও করেননি। ২০০৯ সালের আলীগের নেতৃত্বে মহাজোট ক্ষমতা গ্রহণের পর স্রেফ দিল্লীর সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়া ও আশীর্বাদ ছাড়া বাকী বিশ্বের গুরুত্ব ও চাপকে সম্পূর্ণ রুপে অবহেলা করা হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে দিপু মনির ব্যার্থতায় বহু সংকটের সৃষ্টি হয়েছে যার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানী এবং আমিনুল হত্যাকান্ডে মার্কিন গার্মেন্টস পণ্য ক্রেতাদের বাংলাদেশের বদলে অন্য দেশের দিকে ঝুকে পড়া। অতি সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডন ম্যাজিনা হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন যদি আমিনুল হত্যাকান্ডের সুরাহা না হয় তবে তার দেশের ক্রেতারা বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য কেনাকে ঝুকিপূর্ণ হওয়ার জন্য আমদানী করা হতে বিরত থাকবে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস রপ্তানীকারকদের সাম্প্রতিক তথ্যে জানা গেছে যে ইউরোপ ও মার্কিন বাজারে আমাদের পণ্য বিক্রি কমে গেছে।

এই আশংকাজনক বিষয়ের জন্য গার্মেন্টস কারখানার মালিকগণ তাদের উৎপাদন বাতিল ও কর্মী হ্রাস করতে পারেন। এটা হলে দেশে বহু বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাবে যা বিদেশে জনশক্তি রপ্তানীর মত ব্যার্থতা বলেই পরিগণিত হবে। এখানে উল্লেখ্য যে কোটি কোটি মহিলা শ্রমিক রেডীমেড পোশাক তৈরিতে নিয়োজিত এবং এই কারণে বাংলাদেশ গার্মেন্টস রপ্তানীতে পৃথিবীর শীর্ষ দেশ সমূহের একটি। ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ তার পরিবারকে এই বিষয়ে সব ধরণের সহযোগীতা ও তাকে খুজে পেতে সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দেয়। বহু এই রকম আশ্বাস দেওয়ার পর সেটা এখন নিরাশায় পরিণত হয়েছে।

পত্রিকার রিপোর্ট মতে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাই ইলিয়াস আলীকে ধরে নিয়ে যায়। একই ভাবে সৌদি কর্মকর্তা খালাফ বিন মোহাম্মাদ সালেম আলীর হত্যাকান্ডেও স্রেফ আশ্বাস দান ছাড়া ক্ষমতাসীন দল আর কিছুই করেনি। ক্ষমতাসীন দল আলীগ যেভাবে খালাফের হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত ও পদক্ষেপ নিয়েছে তা সৌদি সরকারের নীতি নির্ধারকদের অসন্তুষ্টি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি। ক্ষমতাসীন দল আলীগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে উগ্র-ইসলামী সদস্য ও শক্তি আছে বলে যে বিবৃতি ও প্রচার করা হয় তা জাতিসংঘ ও শান্তিরক্ষী বাহিনীকে ভাবিয়ে তুলেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জার্নালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মাদ্রাসা হতে আগত উগ্র জিহাদী আছে বলে উল্লেখ করা হয়।

অতি সম্প্রতি একটি ব্যার্থ সেনা ক্যুর পেছনে উগ্র ইসলামী দল আছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই ধরণের গুরুতর অভিযোগের পর জাতিসংঘকে খুব ভাবিয়ে তুলেছে যে আদৌ কি উগ্র ইসলামী জিহাদীদের শান্তিরক্ষীবাহিনীতে নিয়োগ করা ঠিক হচ্ছে! Click This Link ************************** আবারও প্রমাণিত হল আলীগের পৃথিবী হল ভারত। তাই সারা বিশ্বের সাথে যাই ঘটুক দিল্লীর সন্তষ্টি ব্যাতীত ভিন্ন চিন্তা করেনি হাসিনার আলীগ। ভারতে যত না বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানী হয় তার চেয়ে আমরা বেশী পণ্য আমদানী করি। ঘাটতি ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

স্রেফ দালালরাই এর পরেও ভারত তোষণ করতে পারে। জাতিসংঘের দল যদি সত্যিই ন্যায্য ভিত্তিতে বর্তমান কুশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয় সেটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভাল হবে। এই হাসিনার হয় লুটপাট-কুশাসন ও ভারতের দালালী বাদ দিতে হবে নতুবা ক্ষমতা হতে বিদায় নিতে হবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।