আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজউককে আর জমি দেবে না তুরাগবাসী

আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত উত্তরা মডেল টাউন তৃতীয় প্রকল্পের নামে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) নতুন করে আর কোন জমি দখল করতে দেবে না তুরাগবাসী। বাস্তুভিটা রক্ষায় প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, প্রয়োজনে রক্ত দেব তবু বাপ-দাদার শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করব।

এদিকে গত ৪ দিনে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে তিন সহস্রাধিক লোককে। গ্রেফতার এড়াতে অনেকেই রাতে বাড়ি থাকতে পারছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গণরোশের মুখে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজউকের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। প্রতিদিনই এলাকায় বিক্ষোভ, সভা-সমাবেশ হচ্ছে।

উত্তরা উপশহরের জন্য রাজউক ৬৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। দ্বিতীয় পর্বের জন্য ৩৯১ একর তৃতীয় পর্বের জন্য রাজউক আরো ২১ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। এলাকাবাসী জানায়, রাজউক তৃতীয় পর্ব সমপ্রসারণের জন্য নতুন করে ৬টি মৌজায় প্রায় ৫শ’ একর জমি অধিগ্রহণ করতে চায়। তবে রাজউক চেয়ারম্যান মো. নূরুল হুদা বলেছেন, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পের জন্য নতুন করে কোন ভূমি অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা রাজউকের নেই। স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল জমি হুকুম দখলের গুজব ছড়িয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

এদিকে তুরাগবাসী গত কয়েকদিন থেকে রাজউকের জমি হুকুম দখলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করছে। গতকাল মঙ্গলবার হরিরামপুর ইউনিয়নের নয়ানগরে প্রতিবাদ সমাবেশে চালভোগ, দিয়াবাড়ী, নলভোগ, নয়ানগর, ধউর, কামারপাড়া, আশুলিয়াসহ ৩৩টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। বক্তারা তুরাগ থানায় দায়েরকৃত ৫টি মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তারা বলেন, দাবি আদায়ের জন্য সড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। রাজউকের কোন কর্মকর্তাকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

সমাবেশে হরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হাজী মো. নাছির উদ্দিন মেম্বার, হাজী লেহাজ উদ্দিন, রবিউল ইসলাম মেম্বার, কফিল উদ্দিন মেম্বার, লুত্ফর রহমান লাল মিয়া মেম্বার, আমির হোসেন মেম্বার, মো. আব্দুল বারেক, নিত্য চন্দ্র ঘোষ, হাজী নাজিম উদ্দিন সরকার, হাজী মো. জামাল উদ্দিন প্রমুখ। গত রবিবারও এলাকাবাসী বিক্ষোভ, সমাবেশ করেছে। গত শনিবার তুরাগে রাজউকের স্থানীয় কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এদিকে হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গত রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুনের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা পুলিশী হয়রানি বন্ধ এবং জমি অধিগ্রহণ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান ও পূর্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন। ১২ জুলাই বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।