সাপের শরীর হয়ে আঁধারের গাছ/ কুয়াশার বন্যায় ডুবো দেবী মাছ! ১.
অথচ আমরা অনন্ত হতেই অন্ধকার চেয়েছিলাম। সমস্ত আলোর আগে সন্তানের হাত।
ধরলাম। এবং আমরা বেঁচে আছি সেই আদমের পর থেকে!
মৃত্যু আমাদের নিস্তরঙ্গ আঁধার কে উন্মন করে! আমাদের বেঁচে থাকা লাশের উপরে অবোধ শিশুর মত আত্মা খেলে যায় অদ্ভুত খেলা! প্রতি মুহূর্তে একটি নিশ্চয়তার দাবি নিয়ে...
বেঁচে থাকা এবং তারপরেও বেঁচে থাকা!
২.
এক ঝাঁক পাখি থেকে যে পাখিটিকে তুমি তুলে আনো, পৃথিবীর তাবত্ সুবিধাদী
তার নিঃস্বঙ্গতা দূর করেনা। একাকিত্বের মৃত্যুর দায় তাই বর্তায় তোমার
কাঁধেও!
ছুঁয়ে দেখো এ কাঁধেই তুমি বহন করেছো পাখিকে...
৩.
তোমাকে কিছু লিখতে চেয়েছে আমার মন! তোমাকে খুঁজতে নেমেছে ঝড় জল বৃষ্টিতে।
তোমাকে বলবে ভেবেছে দূর্বাদলের কথা। যে সব বালিকা ঘুমের ভেতর স্বপ্ন দেখে তাদের চোখ এক উজ্জ্বল দ্যুতি ধারন করে। চোখ ধারন করে সূর্য্যের ঢেউ।
৪.
কেউ ধরুন আপনাকে প্রতিদিন দিতে থাকে। দেয় আর দেয় দেয়াটা পেতে পেতে যেদিন
আপনি দেয়া পাবেন বলে ভাবেন অথচ দেখেন সে দিতে ভুলে গেছে! অথবা এখন থেকে
দিতে সে রোজ ভুলে যায়! আপনার নিশ্চয় অভিমান হয়।
অভিমান বেড়ে গিয়ে জটিল
ধাঁধাঁ!
আপনার নিশ্চয় অভিমান বাড়ে। পুরোনো দেয়া ভেবে আপনার কান্না আসে। আপনি
কাঁদেন। আপনি থামেন। আপনি ভাবেন বড্ড ছেলেমানুষি! অথচ আপনি জানেন দেয়া
টাকে পাওয়া যায়, দেয়াটাকে প্রতিদিন দিত, ততদিন ছিল উপেক্ষায় সমস্ত বাধা!
৫.
দেখলাম সেই একবারই চলে যেতে, চলে গেল প্রজাপতি! পেছনের দুটো চোখ চেয়েছিলো থাক
দুটো চোখ সাথে গেলে ডানা হয় ভারি, জল ভিজে যেমনই মেঘেরা জমাক বৃষ্টির ফুল! ঝিরঝিরে মেজাজে কতটা যে ক্ষতি!
দেখলাম উড়ে চলে গেলো প্রজাপতি!
পায়ে হাটা পথটা সেদিনের খোঁজে এসেছিলো বুকে করে নিয়ে জলছাপ, পেছনের দুটো চোখ চেয়েছিলো থাক
মানুষেরা চলে গেলে স্মৃতি ফেলে যায়, মুখ চেয়ে আঁধারে জোনাক নিভে যায়! মানুষেরা চলে গেলে সে কি যে ক্ষতি!
আপনেরা উড়ে গেলে হয় প্রজাপতি!
৬.
একটু একটু করে সরে যাচ্ছে ঘাসপোকা
নদীর জাগতিক জল
একটু করে সন্ধ্যার মেঘমালা সরে যায়
চন্দ্রালোকিত রংধনুর হাতে!
এসবের সরে যাওয়া বলে কতটা দায়ী সবুজাভ রোদ
কতটা দায়ী মরতে মরতে বেঁচে থাকা বোধ!
৭.
চাঁদে চেপে ঘুরে আসি আযানের পার
মেরাজের রাত্রি তলোয়ার ধার করে
ধর্মের ঘাড় ফেলে দেব এক কোপে,
বিদ্রোহ তারমূর্খের মত বুকে চেপে হাতিয়ার!
৮.
সাবধানে যেও পাখি আকাশের ও গায়ে থাকে গর্ত
উড়ে যেও বহু দূরে পাহাড়ের সীমান্তে
উড়ে যেও নীল পাখি উড়ায়ে আবর্ত !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।