জাদুনগরের কড়চা
করিমের কাছে দোকানদার রমিজুদ্দিন বেশ কিছু টাকা পায়। বাকিতে রেখে দিনের পর দিন চা খাওয়ার পর রমিজ নিয়মিত তাগাদা দেয়া শুরু করলো। না শোনার ভান করে কয়েকদিন কাটানোর পর করিম ঠিক করলো, নাহ, বাকি টাকার অন্তত অর্ধেকটা মেটানো দরকার।
কালা শওকতের ভয়ে ঐ পাড়াতে করিম দিনের বেলাতে আসা-যাওয়া বন্ধ করেছে, তাই নিজে না গিয়ে গনেশকে দিয়ে টাকাগুলো পাঠিয়ে দিলো। ৩০০ টাকার সাথে একটা চিরকুটও দিলো … লিখে পাঠালো কতো টাকা পাঠানো হচ্ছে।
গনেশের আবার হাতটানের অভ্যাস রয়েছে। করিম কড়কড়ে তিনটা একশো টাকার নোট দিয়েছে, ব্যস গনেশের হাত চুলকাতে শুরু করলো। এদিক ওদিক তাকিয়ে দুখানা নোট সরিয়ে ফেললো খামটা থেকে। আর করিমের চিঠিটাও ঘষামাজা করে “৩০০ টাকা” লেখাটা মুছে ১০০টাকা করে দিলো। করিমের হাতের লেখা গোল্লাগোল্লা টাইপের, নকল করা খুব সহজ, তাই “আমি আপনাকে ৩০০ টাকা পাঠালাম” কথাটাকে সহজেই “আমি আপনাকে ১০০ টাকা পাঠালাম” বানিয়ে দেয়া গেলো।
করিমের এই সমস্যা মিটবে কীভাবে? কেমন করে রমিজ চিঠিটা দেখে ধরতে পারবে, করিম এটা লিখেনি, অথবা গনেশ এটা ঘষামাজা করে পালটে ফেলেছে?
করিমের এই সমস্যার সমাধান করতে পারে সিগনেচার বা স্বাক্ষর। আর কম্পিউটারে ব্যবহৃত স্বাক্ষরব্যবস্থারই নাম হলো ডিজিটাল সিগনেচার। বিস্তারিত জানতে যন্ত্রগণক ডট কমে কম্পিউটার সিকিউরিটি ১০১ কোর্সের ৩য় লেকচারটি দেখুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।