পুনরায় জ্বলিল ভাইকে নিয়ে একটা পোস্টের কাজ হাতে নিয়েছি... আই উইল বি ভ্যাক... ইয়ো...
রিফুর ব্লগ অনেক দিন ধরে শীতনিদ্রায় ছিল। ভাবলাম এই নিদ্রা ভাঙ্গাইতে যেন তেন পোস্টে হপে না, লাগবে খাই দাই পোস্ট। যেই ভাবা সেই কাম। এসে গেল সেই আল্টিমেট খাই দাই পোস্ট। [পোস্টের প্রথম দুই তিন প্যারা পোস্টের আর রিফুর বিজ্ঞাপন দিয়া ভর্তি , এইগুলা পইড়া টাইম লস না কৈরা নিচের খাবার দাবারের দিকে ভইলা যান]
ঢাকায় ক্লাসের ফাঁকে চান্স পাইলেই সারাদিন ঘুরাঘুরি আর খাই দাই করি।
দেইখা নেন সেই সব মহৎ খাবার, যাহার দর্শন না হইলে মন ভালো থাকা কষ্টকর।
ঢাকার ফাস্টফুডের রেস্টুরেন্ট গুলায় গেলে মনে রাখবেন "অ্যাঁ লা কার্টে" বা মেনু থেকে খুচরা খাবার অর্ডার দেওয়া লস, এক্ষেত্রে ওদের মেনুতে দুই তিন রকম খাবার পেঁচাইয়া কম্বো নামক যে খিচুড়ি মেনু দেওয়া থাকে উহাই লাভজনক। এইবার দেইখা নেন রিফুর মতে ঢাকার সবথেকে সাশ্রয়ী এবং মজাদার কিছু কম্বো মিল এবং তাদের ঠিকানা...
০১.ক্যাপ্রিকর্ণ ওয়ার্ল্ড
বসুন্ধরা সিটির মাথার উপ্রের এই রেস্টুরেন্টটা আমার সবথিক্কা ফ্রিয়। এখানকার পরিবেশ+বড় পর্দায় গান+ভিডিও গেম আরকেড সবকিছুই একে আপনার বন্ধুদের সাথে যেকোনো সেলিব্রেশনে পারফেক্ট লোকেশন করে তুলবে। এই ছবিতে দেখানো ফ্রাইড রাইস + চিকেন+ ভেজিটেবল+ড্রিংক্স সহ কম্বো পাবেন ২০০টাকার ভিতর।
সাথে সুপ নিলে এক্সট্রা পড়বে ৫০টাকা করে।
যদি ডাবল চিকেনের অফার নেন ৬০-৭০টাকা বেশি পড়বে
এইখানকার ডোনাট আমার হেব্বি লাগে, কুপারস বেকারস ফেইল...
০২. সল্ট গ্রিল
ইনার অবস্থান উপরিউক্ত রেস্টুরেন্টখানের পাশেই। তবে খাবারের টেস্ট আমার কাছে আকাশ পাতাল লেগেছে। তাও লিস্টে দিয়ে দিলাম...
এদের কম্বোটাও ২০০এর মধ্যেই পাবেন। তবে একখানকার খাবারের থেকে ম্যাসকটগুলার নাচ দেইখা বেশি মজা পাইবেন, গ্যারান্টি...
০৩. লুসিয়াস পিজ্জা
ইনিও বসুন্ধরা সিটিতেই থাকেন।
ক্যাপ্রিকর্ণ এর আগে এই কম্বোটা আমার প্রিয় ছিল। তখন দাম নিত মাত্র দেড়শ করে... এখানকার পিজ্জা আর জুসটাও মজা।
০৪. বিএফসি
বিএফসি এর শাখা সারা ঢাকাতেই পাবেন, এটা নিয়ে নতুন কিছুই বলার নাই। অনেকেই বলে এরা নাকি দাম বেশি রাখে। পুরাই ভুয়া কথা।
মাত্র ৫০০-৫৫০টাকার ভিতর দুইজন ভালমত খেয়ে আসতে পারবেন।
এইবার ক্লোজআপ দেখেন
০৫. কেএফসি
পকেটে ভালো টাকাপয়সা থাকলে, অথবা খাওয়ানোর জন্য কোনও স্পন্সর পটাইতে পারলে এর থেকে ভালো জায়গা নাই। উপরের বিএফসিএর সমান খানাপিনা করতে এখানে প্রায় ১২-১৩শ খইসা যাইব
ইহা হইতেছে কেএফসি এর বিখ্যাত ক্রাশারস। নামের সার্থকতা দেখানোর জন্যেই মনে হয় এর ৯০%ই ক্র্যাশড বরফ দিয়া ভর্তি থাকে।
০৬. পিজ্জা হাট
কেএফসি কইছি, পিজ্জা হাট না কইলে হয়? এখানে কোনও কম্বো নাই... পিজ্জা পাস্তা দিয়া ভর্তি... প্রতিজনের এভারেজে বাজেট ৫০০ প্রয়োজন।
০৬. পিজ্জা ইন
পিজ্জা হাটের ভাই কইতে পারেন। দামও প্রায় একই...
তবে এখানকার আনলিমিতেড বুফ্যে পিজ্জা ট্রাই কৈরা দেখতে পারেন। কাহিতে পারেন আর না পারেন মজা পাইবেন। ভ্যাট আর আনলিমিটেড পেপসি সহ ৮০০মতন পড়বে।
০৭. মল্লিকা স্ন্যাকস
গুলশান ১এর একটি ঐতিহ্যবাহী দোকান।
ছবির বার্গারটা খাইলেই আপনার দেড়বেলার খিদা গায়েব হইয়া যাবে। দাম দেড়শ টাকা। ছবিতে পিছনে ফ্রাইড চিকেন উকি দিতে দেখা যাচ্ছে। উনার দামও দেড়শ টাকা। আর সব মেনুর সাথেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ফ্রি...
০৮. নিউ মার্কেট
এই এরিয়ার কোনও দোকানের কথা আলাদা করে বলে লাভ নাই।
সব দোকানেরই মেনু আর দাম একই। ছবিতে আপনার দেখতে পাচ্ছেন মেগা বার্গার। দাম ৬০-৮০টাকা। একাই প্রায় একটা বুফের সমান।
এগুলো এখানকার সরকারী মেনু।
যে যায়, সেই খায়... শর্মা, ফুচকা, দই ফুচকা এভারেজে সবই ৪০-৬০টাকা পড়বে
০৯. ক্যাফে হলিউড
আমার বনানীর সবথেকে প্রিয় রেস্টুরেন্ট। গেলেই বুঝবেন কেন। সুপারহিরোদের থিমে সাজানো রেস্টুরেনটার যা খাবেন তাই মজার। এছাড়া গেলেই পাবেন কমপ্লিমেন্টারি ড্রিংক্স এবং স্টুডেন্ট হইলে পাবেন ১০% ছাড়। ইহা বনানী ১১নম্বর রোডে অবস্থিত।
এখানেও জনপ্রতি ৪০০-৫০০ পড়বে। এছাড়া প্রতিদিন প্রজেক্টরে ব্লকবাস্টার মুভি দেখানো হয়। ফ্রি মুভির মজাও নিতে পারবেন এখানে।
১০.লগ ইন ক্যাফে
লালমাটিয়া ব্লক এফ এর কুটূমবাড়ীর আশেপাশেই অবস্থিত। ক্যাফেটা কিছুটা ছোট হলেও আমার সবথেকে পছন্দের বার্গার এখানেই পাওয়া যায়।
এখানকার চিকেন রাইস উইথ অরেঞ্জ সস ট্রাই করে দেখতে পারেন। ৩০০এর ভিতরেই হয়ে যাবে সব।
১১.অ্যাঁপোলো হসপিটাল
নাম শুইনা আর ছবি দেইখা লাফাইয়া উঠার কিছু নাই... ইহা এখানকার ক্যাফেটেরিয়ার খাবার। এখানকার ডেকোরেশন আর টেস্ট যেকোনো সুস্থসবল মানুষকে টেনে আনতে যথেষ্ট।
ডিম আমার অনেক প্রিয়, এই অমু রাইস প্রিয় হবে না কেন? তবে দাম কত পড়বে বলতে পারি না, নিজের টাকায় খাওয়া লাগেনি কখনও
১২. মা বিরিয়ানি
মানুষ লিস্টের সব শেষে সব থেকে ভালো জিনিস রাখে।
আমিও রেখেছি। উত্তর ঢাকার লোকেরা বিরিয়ানি টাইপের জিনিস থেকে ফ্রাইড রাইস টাইপের জিনিস পছন্দ করে, তবে এই দোকান সব প্রথা ভাংতে সক্ষম। সারা দুনিয়ার সবথেকে উত্তম তেহারি পাবেন এইখানে। ২০০টাকায় বুফে স্টাইলে খেয়ে আসা সম্ভব।
এর লোকেশন গুলশান বাড্ডা লিঙ্ক রোডের পাশে।
এই জিনিস একবার খেয়ে ফিরে আসে না এইরকম লোক দুনিয়ায় নেই। এই কারনে ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টের ভিতরে বিরিয়ানির দোকানও ঢুকাইয়া দিলাম।
পোস্ট শেষ... এইবার একটা বোনাস কম্বো দেখেন... এইডা আমার আবিষ্কৃতঃ
ইহা হইতাছে আপেলের উপ্রে অরেঞ্জ জেলি। খাইতে সেইরকম লাগে, নিজে নিজের বানানো যায়। আমি প্রায়ই খাই, খালি খালি লোকে আমারে পাগল কয় নাকি?
☻ বহুত খাবার দাবার দেখলেন এবার প্লাস দিয়ে ফুটেন।
প্লাস না দিয়ে ফুটলে পেট ব্যাথা হবে। পোস্টে অনেক ইমেজ থাকায় প্লাস বার লোড হইতে সময় লাগতে পারে। দরকার পড়লে পেজ রিলোড দিতে দিতে প্লাস বার আইনা প্লাস দিয়া যাইবেন...
♠ কারও কোনও ব্লগ ছাইড়া দিছি ডায়লগ শুনতে চাই না, শুধুমাত্র এই পোস্টে কমেন্ট করার জন্যে হলেও পুরান নিকে লগইন করতে হইব... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।