দৈনিকটির নাম
প্রথম আলো
কেন হলো
জানি না।
আলো তো অন্ধকার দুর করে।
যেখানে আলো থাকবে সেখানে অন্ধকার থাকবে না। সে আলো প্রথমে এসে প্রথম আলো হোক বা শেষে এসে শেষ আলো হোক না কেন। আমাদের দেশের “দৈনিক প্রথম আলো” কি প্রকৃত অর্থেই আলো কিনা যেখানে কোন অন্ধকার বাসা বাঁধতে পারে না ? এ প্রশ্ন আমার মনে উদয় হচ্ছে বিশেষ একটি কারনেই।
তাহলো - “টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি ” - গতকাল যে খবরটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তার জন্য।
এই খবরটি ছাপানোর পর তুমুল সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত লেজ গুটিয়ে নিতে হয়েছে প্রথম আলোকে। তারা ক্ষমা চেয়েছে। প্রথম আলো বলেছে খবরটি নাকি তাদের নীতি ও আদর্শের সাথে সঙ্গতিপূর্ন না । ভুলবশতঃ ছাপা হয়েছে ! তাহলে প্রথম আলোর নীতি ও আদর্শ কোনটি ?
এখানে একটি বিষয় পরিস্কার তা হলো , কোন রিপোর্টের তথ্য উপাত্ত সঠিক হলেও তা নিজেদের স্বার্থের বিপরীত হলে তা প্রকাশ করা প্রথম আলোর নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি সেটাই প্রমান হলো।
তার মানে সত্য জানা থেকে মানুষকে দুরে রাখাই প্রথম আলোর নীতি! মানুষকে অন্ধকারে রাখাই প্রথম আলোর আদর্শ !! নিজেদের অন্ধকার জগতের খবরগুলো আলোর মত বের করে দেয়া প্রথম আলোর কাজ নয়।
এই আদর্শ ও নীতি দিয়ে আর বদলিয়ে যাও বদলিয়ে দাও শ্লোগান দিয়ে মানুষকে আর কত প্রতারিত করা যাবে ? এই প্রতারনার চলার পথ শেষ হবে হয়ত বা শীঘ্রই। কারন মিথ্যার বেঁড়াজালে সত্যকে আটকিয়ে রাখা যায় না ।
ক্ষমা চেয়ে তেমন কোন লাভ হয়নি প্রথম আলোর। যা হবার তা হয়েই গেছে।
দুষ্টু লোকেরা শাহবাগ চত্ত্বর নিয়ে যে সব রসাত্বক গল্প বলতো তার সত্যতাই হাজির করেছে প্রথম আলো। এ জন্য ধন্যবাদ প্রথম আলোকে। ধন্যবাদ পাবার যোগ্য ঐ লাকী আপুও। কেননা অপ্রিয় সত্য কথাগুলো অকপটে বলে দিয়েছে। দোয়া করি মেয়েটি যেন অন্ধকারের হাতছানি থেকে মুক্ত থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।