এখন আমি আগের চেয়ে অনেক বেশী উজ্জীবিত। তরুন ব্লগারদের আহবানে সারা দেশের মানুষ ৭১ এর ঘাতক ও তার সহযোগীদের ফাসির দাবীতে যে গনআন্দোলন গড়ে তুলেছে তার সাথে সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করেছি প্রথম দিন থেকেই, সংহতি প্রকাশ করেছি আন্তরিকভাবে, সুদুর টরন্টো থেকে, নিজেকে নিজের কাছে, লোক দেখানোর জন্য নয়। কিছুটা সংশয় ছিল, অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব খুজছিলাম, উত্তর জানা ছিল না, তবে ভরসা ছিল ওদের উপর, গনমানুষের সম্পৃক্ততা দেখে, আজ ৮ম দিনেও আন্দোলনের নিরপেক্ষ চরিত্র বজায় থাকার কারনে। তবে আজ এ মুহুর্ত থেকে সব সংশয় দুর করে দিলেন চ্যানেল আই এর তৃতীয় মাত্রা । আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ, শীর্ষ ছয়জন ব্লগারকে নিয়ে আয়োজিত তৃতীয় মাত্রার অনুষ্ঠানটি দেখছিলাম, মনযোগ দিয়ে ওদের কথাগুলো শুনছিলাম।
সঞ্চালক জিল্লুর রহমান মাঝে মাঝে খেই হারিয়ে ফেললেও শেষ করতে পেরেছেন অত্যন্ত সফলতার সাথে, ক্লিয়ার করতে পেরেছেন জনগনের অনেকগুলো ঘুরপাক খাওয়া প্রশ্নের। ঘুরে ফিরে শেষ পর্যন্ত সবগুলো বার্নিং ইস্যুগুলোর জবাব বের করে আনতে পেরেছেন। ধন্যবাদ জিল্লুর। আসুন আমরা একটু রি-ভিজিট করি জিল্লুরের প্রশ্ন ও ব্লগারদের দেয়া উত্তরগুলোঃ
১) দলমত নির্বিশেষে সকল দলের ভিতর লুক্কায়িত সকল যুদ্ধাপরাধি/ঘাতকদের বিচার দাবী করে এ প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধারা
২) বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতাকারী, লক্ষ লক্ষ মানুষের হত্যার সাথে জড়িত কোন দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না, তাই জামাত নিষিদ্ধ করতে হবে, তবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা তারা বলছে না।
৩) ট্রাইবুনালের প্রতি আস্হা রয়েছে
৪) দল নিরপেক্ষভাবে আন্দোলন চলবে, কোনভাবেই কোন রাজনৈতিক দলের স্বার্থে নয়
৫) রাজাকার/ঘাতকদের কারনেই গত ৪২ বছর দেশের রাজনীতিতে বিভাজন ছিল, ওদের বিচার শেষ করে জামাতকে নিষিদ্ধ করা হলে দেশের স্বার্থে রাজনীতিতে সকলের একটা সমঝোতার/ঐক্যমতের জায়গা তৈরী হবে
৬) এ বিচার শেষ হলে, দেশের মানুষ যদি তাদের উপর আস্হা রাখতে পারে, তারা পরবর্তীতে অবশ্যই অন্যান্য ইস্যুগুলো সামনে নিয়ে আসবে এবং সেগুলোর সমাধানের জন্য আজকের মতই রাজপথের আন্দোলন গড়ে তুলবে
অর্থাত আমি আগের স্টাটাসে যেটা বলেছিলাম, এখন বাংলা পরীক্ষা চলছে, বাংলার উপরই প্রস্তুতিটা চলবে।
বাংলা শেষ হলেই, শুরু হবে 'হিসাব বিজ্ঞান' এর পরীক্ষা। ওদের উপর আস্হা রাখতে হবে। বিতর্কিত বিষয়গুলো এড়িয়ে গিয়ে ওদের কাজটাকে সহজ করতে সকলের অব্যাহত সহযোগীতা বজায় রাখতে হবে। অতীতের বস্তাপচা রাজনীতির কবর দেয়ার সময় বোধহয় এসেই গেছে। এটা শুধু আওয়ামী লীগ, বিএনপি নয়, তথাকথিত সকল প্রচলিত রাজনৈতিক দলের জন্যই একটা চরম 'অশনি সংকেত' বলেই মনে হচ্ছে।
একই ভাংগা রেকর্ডের বক্তৃতাবাজির দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে কোন এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের সাময়িক ফায়দা হচ্ছে বলে মনে হলেও এটা তাদের জন্যেও চরম অস্বস্তিকর হয়ে দেখা দিবে খুব শিঘ্রই এতে কোন সন্দেহ নেই। কেননা কারো গলাবাজিতে নয়, এখন লক্ষ লোক জমায়েত হয়ে যায় শুধু ফেসবুক আর ব্লগের কল্যানে। ৭১ এর ঘাতকদের সাথে সাথে লুটেরাদের দিনও শেষ বলেই মনে হচ্ছে, হুর রে...। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।