আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বভাবে অভাব নষ্ট হল দিনশেষে.....ডিজিটাল পারাপারে স্বর্গে ধান ভেনে।

কথিত আছে "অভাবে স্বভাব নষ্ট"। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি হয়তো!! দেশপ্রেমিক থেকে দেশদ্রোহী কাজেও মন বাঁধা দেয় না আজ। জীবনের অনেক স্বপ্ন,অনেক চাওয়া নিজ হাতে খুন করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিংবা সংশ্লিষ্ট কারো নামে কিংবা তাদের উদ্দেশ্য করে কিছু বলবো না, মা মানা করেছে। গল্প বলবো একটা জীবন থেকে নেয়া।

১ম অংকঃ "একটা সময় ছিল যখন আমরা অনেক সাধনা করে অনেক কস্ত করে দিনের রুজি দিনে ভোগ করতাম। অনেক অভাব আমাদের সংসারে। একদিন আমাদের একজনের চাকরী হল পুলিশে। স্বভাব তাঁর আইন রক্ষা করা। "দিনের রুজি দিনেই ভোগ"ডযায়,একদিন সে বিয়ে করল এক গরীবের মেয়েকে,যৌতুক হিসেবে ১০ টাকা নিয়ে।

সেই শুরু। এরপর ধীরে ধীরে আমাদের ঘরে টি.ভি. এলো,রেফ্রিজারেটর এলো,সেলাই মেশিন এলো,আরও কত কি!!!!!আইনের রক্ষক উপহার নেয়ার সেই আইন রক্ষা করে চলল দিনের পড় দিন। তাঁর আইন রক্ষার এই স্বভাব আমাদের অভাব নষ্ট(শেষ) করে দিল। কিন্তু সে সুখ সইল না বেশি দিন। সে চলে গেল আমাদের ছেড়ে দিয়ে গেল সেই অভাব নামক অভিশাপ।

" ২য় অংকঃ "এইবার বুঝি "দিনের রুজি দিনেই ভোগ" কর্মসূচী শেষ হবার পালা। আমাদের আরেক প্রতিনিধি তিনি বারই বানানোর সিধান্ত নিলেন। হায়!টাকা আসবে কোত্থেকে। উপায় একটাই তাসের বাড়ি নির্মাণ। যেই কথা সেই কাজ।

নির্মাণ কাজ শুরু হল। নেশায় মত্ত হয়ে বাড়ি নির্মাণ যেন নতুন স্বভাব হয়্মাতা। ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেলো। আবারও আমাদের অভাব নষ্ট(শেষ) হল। সুখের এক গভীর রাতে ৫২ তাসের সবশেষে কৌতুকঅভিনেতা হয়েই ফিরলেন আমাদের সেই নির্মাতা।

অভাবের সেই চিরচেনা রূপ আবার আমার সঙ্গী হল। " ৩য় অংকঃ "ভাবের জগত ছেড়ে সিদ্ধান্ত নিলাম বাস্তব জগতে বসবাসের। ঘর থেকে ৩২ মাইল দূরে খাল পাড়ের পীরের মুরিদ হলাম। পরিবারের বাকিদের মত কোন ভুল করা যাবে না। নতুন স্বভাব লব্ধ হবে না এই পণ তখন দিন রাত।

পীরের আদেশে এক এক কাজ করি আর দিন বদলের হাওয়া যেন চারিদিকে। ১ম আদেশে নির্মাণ করি পীরের বাড়ি যাওয়ার পথ(যা কাঁচা ছিল)। এরপর একে একে সাঁকো,পুল,কালভার্ট,সেতু আরও কত কি?নতুন স্বভাব পেয়ে বসল উন্নয়নের। একদিন বাবা খুশি হয়ে পুরুস্কার হিসেবে স্বর্গে যাওয়ার পথ তৈরির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিলেন আমার কাঁধে। আমার আবার পরৌপোকারি স্বভাব।

বাবার দেয়া দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করলাম। হায়! বিধি বাম। স্বর্গের পাহারাদার বলে আমি নাকি পথের নামে মরীচিকা দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছি। এও কি সম্ভব?গেলাম চারিত্রিক সনদের জন্য পাশের বাড়ির পরিমল কাকার কাছে। সনদ নিয়ে পাহারাদারের মুখে ছুঁড়ে দিলাম।

তাও তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলাম না। বাবা বলল "আমার মুরিদ মরীচিকা দেখাতে পারে তবে অর্থ আত্মসাতের গল্প সত্য নয় পাশাপাশি মানহানি কর। বাবার উপর কোন সত্য যেহেতু নাই আর বাবার হল সত্য বলার স্বভাব আর এই স্বভাবে আবারও আমার অভাব নষ্ট হল। তবে মরীচিকায় আটকা পরে অনেকে স্বর্গের চেহারা আর দেখা হল না। বোকা মানবেরা আমায় দুষতে লাগলো।

তবে কি আমার পরৌপোকারি স্বভাব বৃথা গেল?" শেষ অংকঃ "না,আমার পরৌপোকারি স্বভাব বৃথা গেল না। বোকা মানবের দল অবশেষে বুঝতে পারল এই সেই ডিজিটাল পারাপার" ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।