বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ শব্দতরীর প্রচ্ছদ। বেরুলো, ব্লগারস ফোরাম সাহিত্যপত্র, শব্দতরী। তো, শব্দতরী যেহেতু ব্লগারস ফোরাম সাহিত্যপত্র- তাই ওই সাহিত্যপত্রিকাটি ঘিরে ব্লগোস্ফিয়ারে খানিকটা কৌতূহল যেন ঘনিয়ে উঠেছে।
যেহেতু বিকল্প মাধ্যম হিসেবে ব্লগ- এর গুরুত্ব এবং গ্রহনযোগ্যতা এরই মধ্যে প্রশ্নাতীত, কাজেই সেই ব্লগের সাহিত্য কাঠামোয় ঠিক কতটুকু সাহিত্যিক উপাদান রয়েছে, নাকি নেই -তারই একটা হালফিল ধারনা পাওয়া যাবে বলেই হয়তো-বা ব্লগীয় পরিমন্ডলে এই কৌতূহল। ব্লগের সাহিত্য কি অচ্ছুত, অন্ত্যজ? নাকি এ অন্তর্জালিক সাহিত্য ধারাটি বাংলাদেশের মূল সাহিত্যধারারই একাংশ? এসব অমীমাংশিত প্রশ্নে না জড়িয়েও বলা যায় - লেখার মাধ্যম আলাদা হলেই সাহিত্যমানেরও অবনতি হয়েছে এমনটা ভাবতে হবে কেন? এ সময়ের প্রতিভাবান কবিসাহিত্যিকরা তো একালের প্রযুক্তিনির্ভর সমাজেরই একজন।
তো, প্রথমেই বলে রাখি, আমার এই পোস্টটি সেই অর্থে শব্দতরীর রিভিউ নয়। শব্দতরীর সম্পাদক জান্নাতুন নাহার-এর বদান্যতায় ডাকযোগে একখানা সৌজন্য কপি গতকালই পাওয়া গেল । প্রথম দর্শনে পত্রিকাটি নেড়ে চেড়ে যা মনে এল তাই লিখেছি কতটা অবিন্যাস্তভাবেই ।
তো, পত্রিকাখানা হাতে নিয়ে বেশ লাগল। একশ সাতাশ পৃষ্ঠার নরোম, কোমল বই। পত্রিকার আকার, বাঁধাই, প্রচ্ছদ, কাগজ, ছাপার অক্ষর ( ফন্ট) সবই চমৎকার। লাল রঙের প্রাধান্য দিয়ে শব্দতরীর প্রচ্ছদ নির্মাণ করেছেন শিবু কুমার শীল। লাল রঙের আধিক্যে কোনও বইয়ের প্রচ্ছদ যে এতটা আকর্ষণীয় হতে পারে তা আমার জানা ছিল না।
মাস কয়েক আগে যখন প্রচ্ছদটির ছবি ফেসবুকে আগাম প্রকাশ করা হয়েছিল তখন যে বেশ হইচই হয়েছিল -সে কথাও আমার মনে পড়ে গেল।
ছ’টি গল্প, এগারো জন কবির কবিতা, চারটি প্রবন্ধ, তিনটি বইয়ের আলোচনা, একটি মুক্তগদ্য এবং চিঠিবিষয়ক একটি নিবন্ধ নিয়েই শব্দতরীর ৩য় বর্ষের দ্বিতীয় সংখ্যাটির উপস্থাপনা। এ ছাড়া একটি শিশুতোষ বিভাগও যুক্ত হয়েছে এবং বড়দের বইয়ে ছোটরা দু’পাতা হলেও পড়ার জিনিস পাওয়াতে এই বিভাগটির জন্য সম্পাদক অবশ্যই ধন্যবাদ পাবেন। তো, শিশুতোষ বিভাগে দুটি ছড়া ছাড়াও রয়েছে একটি গল্প। প্রথম ছড়াটির শিরোনাম: ‘এই তো সময়’।
লিখেছেন সঞ্জয় মুখার্জী। ছড়াকার লিখেছেন -
জনগন বোকা
খায় শুধু ধোঁকা
ভোট চুরি যায় তার
তবু অনন্য
দেশের জন্য
নেই কোন হাহাকার।
এই কারণেই ছড়াকার বলছেন -
আর কতদিন
হয়ে বোধহীন
কাটবে সময় বলো
এই তো সময়
বসে থাকা নয়
মিছিলে সবাই চলো!
ছোটদের বিভাগে সঞ্জয় মুখার্জীর এই কঠিন বাস্তবতার ছড়াটি নানা প্রশ্নের জন্ম দেয় বৈ কী। যা হোক। এ বিভাগে গল্প লিখেছেন তুহিন দাস।
গল্পের নাম: ‘সোনাই, একাপরী ও বকুল রানী-মা’ । তুহিন দাস- এর গল্পের ভাষা শিশুদের উপযোগী। শিশুতোষ বিভাগে ছড়া লিখেছেন নাদিয়া জামান। ছড়ার নাম ‘বর্ষার রূপ’। বাংলা ভাষায় তো গত দেড়শ- দুশো বছরে বর্ষার রূপ বর্ণনা করে প্রচুর ছড়া/কবিতা লেখা হয়েছে ।
তারপরও ছড়াকার বৃষ্টিকাতর বাঙালির স্মৃতি-চেতনার জন্য ভেজা ভেজা নতুন মেঘলা দৃশ্য তৈরি করেছেন। নাদিয়ার কৃতিত্ব এখানেই।
বর্ষা মানেই নরম মাটি
বগল দাবা জুতার পাটি
খালি পায়ে আঙুল টিপে
রাখাল বালক ফিরছে হাঁটি।
শব্দতরীর গল্পগুলি পড়লেই বোঝা যায় ব্লগের সাহিত্য আর বাংলাদেশের মূলধারার সাহিত্যের মধ্যে বিন্দুমাত্র প্রভেদ আসলেই নেই। প্রভেদ কেবল লেখার মাধ্যমে।
আজ থেকে ছ’শ বছর আগে কবি চন্ডীদাস ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ লিখেছেন ভোজ গাছের পাতায়। আজকের দিনের (ব্লগার) কবি- সাহিত্যিকরা লিখছেন কিবোর্ডে, অভ্রতে কিংবা বিজয়ে; লিখছেন অর্ন্তজালে। শব্দতরীর গল্পের মান এই অনিবার্য সত্যটিই যেন মনে করিয়ে দিল।
সে যাই হোক। গল্পকার ফজিলাতুন্নেসা শাপলা হৃদয়ের গহীন কোটরে পল্লীস্মৃতি বহন করে জাপানে প্রবাসজীবন কাটাচ্ছেন।
এটা ফেসবুকসূত্রে জানা গেছে। সে কারণেই কি তাঁর ‘জাল’ গল্পে উঠে এসেছে বাংলাদেশ-এর অকৃত্রিম মাটিগন্ধী জঠর? তিনি কী নিপুন দক্ষতায় শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে যে অবিকল গ্রামীন জীবনের এবং গ্রামের মানুষের ছবি এঁকেছেন তা সত্যিই তুলনারোহিত। শাপলার গল্পের আরম্ভটা এরকম:
সকাল বেলায়ই লোকমানের বউ পান্তাভাতের সঙ্গে পোনামাছের সালুন আর তিলভর্তা দিয়েছে লোকমানকে।
ওই ‘তিলভর্তা’ শব্দটি লেখার সময় জাপানের একটি তুষার ঝরা শহরের একটি বাড়িতে সমস্ত বাংলাদেশকে সহসা প্রতিভাত করে তুলেছিল এমনটি অনুমান করে বড় বিস্ময় বোধ করেছি।
গল্পকার জুলিয়ান সিদ্দিকী আর মাহবুব আলীর গল্পে জীবনের রূঢ় দিকটি উঠে এসেছে।
শাপলা ও মাহবুব আলীর গল্পে আঞ্চলিক ভাষা যেভাবে অনায়াসে উঠে এসেছে, সেটি সত্যিই ভালো লাগার মতন একটি বিষয় । বিদেশি পটভূমিতে লেখা মাহমুদ- এর অপেক্ষা গল্পটি যেমন ঝরঝরে ভাষায় লিখিত তেমনই ব্যতিক্রমী গল্পটির বুননটিও বেশ ম্যাচিউর। নৈতিক আদর্শ উপজীব্য করে লেখা হাবীবুর রহমান- এর ‘আতা মিয়া এবং এক হাজার টাকা’ গল্পটি পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবেই। এভাবে তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। মামুন ম. আজিজ সন্দেহ নেই একজন সত্যিকারের গল্পকথক বা যাকে বলে -স্টেরি টেলার; নইলে মাত্র দু/তিন পাতায় ‘চোখে শর্ষের ফুল’ গল্পে কি ভাবে তুলে ধরেন জীবনের এক মৌল প্রশ্ন?
শব্দতরীর গল্পগুলি তে রয়েছে শহীদুল্লা কায়সার -রশীদ করিম- মাহমুদুল হক বাহিত বাংলাদেশেরই একান্ত বাস্তববাদী সাহিত্যধারাটি অব্যাহত রাখার দৃঢ় ইঙ্গিত।
শব্দতরীর ছ’টি গল্পের একটি গল্পেও হুমায়ূন আহমেদ-এর রুটলেস, ছন্নছাড়া ও বিজাতীয় সাহিত্যভাবনার ছাপ-টাপ পড়ে নাই, এটাই আশার কথা।
কবিতা বিভাগে রয়েছে রাজনীতি ও সমাজসচেতন কবি ফকির ইলিয়াস- এর ৫টি কবিতা । ইলিয়াসের কবিতায় যে বাস্তবতার রক্তচোখ অনলদৃষ্টি হানে, এটা আমরা জানি। যেমন, ‘ওম দেবে বলে আমাদের গলা পেঁচিয়ে রেখেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। ’ এই বিষ-ভাবনার সম্পূর্ন বিপরীত অবস্থান নিয়েছে কবি মেঘ অদিতির পরাবাস্তব কবিতা।
কবি লিখেছেন, ‘কামরাঙা বনে আজ শোকসভা, অথচ বিশালাকার এক ডিম গড়িয়ে চলে অনন্তসন্ধানে। ’ এই বাস্তব আর পরাবাস্তব কাব্যচেতনার মিশেলে বাংলার কাব্যজগৎ এবং কাব্যবোধ আজ পূর্ণ- আমার এমনই বিশ্বাস। সে যা হোক। শব্দতরীর অন্য কবিরা হলেন- মলয় দাস, ফরিদুল আলম সুমন, শরৎ চৌধুরী, ছায়াবাজী, মতিউর রহমান সাগর এবং সুনয়ন । অবশ্য কবি হাজারি ও নাদিয়া জামান বিষয়ভিত্তিক ছড়া লিখেছেন।
হাজারির বিষয় বৈশাখ মাস নাদিয়ার উনিশ শ একাত্তরের ২৫ মার্চ । বাংলাদেশের একটি সাহিত্যপত্রে এই বিষয়গুলি তো অনিবার্যই ।
শব্দতরীর প্রবন্ধগুলি বেশ সমৃদ্ধ। তার কারণ আছে। আমাদের প্রতিদিনের সাহিত্যের আড্ডায় যেসব বিষয় হামেশাই উঠে আসে শব্দতরীর প্রবন্ধগুলি সেই বিষয়গুলিই নিয়েই ।
যেমন, বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য, লালন, আদিবাসী সংস্কৃতি কিংবা কোনও প্রিয় লেখকের স্মৃতিচারণ। তেমনি প্রয়াত আবদুল মান্নান সৈয়দকে নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন রেজা নুর । ফরিদুল আলম সুমন লিখেছেন পাহাড়ের বর্ষবরণ ‘বৈসাবী’ নিয়ে । ‘বাংলা নববর্ষ এবং বাংলা সন’- এই শিরোনামে অসাধারণ একটি নিবন্ধ লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী। লেখাটি যে কোনও বিচারে তাৎপর্যময়, সুলিখিত এবং গবেষনাধর্মী।
ইমন জুবায়ের লিখেছেন লালনকে নিয়ে। লেখাটির শিরোনাম-মরমী লালন। তবে বাংলার বাউলদর্শনের কেন্দ্রে রয়েছে দেহ। দেহ একটি বাস্তব বিষয়। সুতরাং, লালনকে ‘মরমী’ বলে অবহিত করার দিন ফুরিয়ে আসছে বলে মনে হয়।
সে যাই হোক। প্রবন্ধটি বেশ কটি পর্বে বিভক্ত। লালন ও বাউলদর্শনের আগ্রহী পাঠকদের কাছে প্রবন্ধের তথ্যগুলি দরকারি বলে মনে হতে পারে।
কবিতাকে উপজীব্য করে শব্দতরীর একটিমাত্র মুক্তগদ্য লিখেছেন বাবুল হোসেইন। লেখাটি পাঠের আনন্দ অনিবার্য।
শব্দতরীর কবিতা বিভাগে ফকির ইলিয়াস লিখেছেন, ‘অনেক আগেই গ্রহ থেকে মুছে গেছে চিঠির প্রচলন। ’ সেই চিঠি নিয়ে চমৎকার এক ইতিবৃত্ত রচনা করেছেন জিয়া রায়হান।
এসব মিলিয়ে শব্দতরীর সম্পাদক জান্নাতুন নাহার চমৎকার একটি সাহিত্যপত্রিকা ব্লগ-পরিমন্ডলে উপাহার দিয়েছেন এই ঝমঝমে বর্ষায়। জান্নাতুন নাহার নিজেও লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত । আনন্দময়ী নামে বইপত্র বিভাগে সুমন সুপান্থ- এর ‘ভ্রমান্ধ দৃশ্যের বায়োস্কোপ’ নিয়ে চমৎকার আলোচনা করেছেন।
আলোচনার শেষে আনন্দময়ী (জান্নাতুন নাহার) সুমন সুপান্থ সম্বন্ধে তাঁর মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘সব লেখক গল্প ‘বলেন’ আর শুধু কোনো কোনো লেখক পাঠককে গল্প দিয়ে যান। সুমন সুপান্থ বড় লেখক; মানে মানী লেখক হলেন কি-না তা সময়ই বলবে, কিন্তু ‘ভ্রমান্ধ দৃশ্যের বায়োস্কোপের মতো গল্প জাগানিয়া গল্পের জাদুকর হবেন হয়তো। ’
লীনা দিলরুবাকে এতকাল একজন ঋদ্ধ কবিই হিসেবেই অন্তত আমি জানতাম। বছর দুয়েক আগেও তিনি সামহোয়্যারইন- এ নিয়মিত কবিতা পোস্ট করতেন। তখন মুগ্ধ হয়ে লীনার কবিতা পড়তাম।
সেই কবি কে শব্দতরী তে পরম বিস্ময়ে সঙ্গে একজন ঋদ্ধ গ্রন্থ সমালোচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখলাম। লীনা আহমাদ মোস্তফা কামাল- এর উপন্যাস ‘কান্নাপর্ব’ নিয়ে একজন পেশাদার সমালোচকের মতোই একটি নিবন্ধ লিখেছেন। লেখাটা নিশ্চয়ই আহমাদ মোস্তফা কামাল কে চমকে দেবে। মুগ্ধ করবে।
লুনা রুশদী বেছে নিয়েছেন শারমিন তানিয়ার ‘অলস দিন খয়েরি পাতা-বাউকুড়ানি’-এই বইটি ।
লুনার লেখাটি পড়ে মনে হল লেখাটিতে তিনি তানিয়ার লেখার সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছেন। লেখার এরকম স্টাইল সত্যিই অনুজ লেখকদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত হয়ে রইল অবশ্যই । তার মানে, বই রিভিউর গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসার একটি ইঙ্গিত লুনার লেখায় পাওয়া গেল ।
এসব মিলিয়ে বলতেই হয় যে শব্দতরীর সম্পাদনায় জান্নাতুন নাহার কৃতিত্বের সঙ্গেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। চাকরিজীবনের ব্যস্ততার পাশাপাশি যাবতীয় ঝক্কিঝামেলা মোকাবেলা করে কেবলমাত্র বাংলা ভাষার টানে বাংলা শব্দের টানে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবাংলার সাহিত্যমোদী পাঠকের হাতে নিঃসঙ্কোচে তুলে দেবার মতো অত্যন্ত সুচারুভাবে মনোরম একটি সহিত্যপত্রিকার প্রকাশ সম্পন্ন করার জন্য আমারা তাঁকে অভিবাদন, কৃতজ্ঞতা এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
শব্দতরীর বিনিময় মূল্য একশ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে আজিজ মার্কেটে । তবে শব্দতরী বেরুতে খানিকটা বিলম্বই হল যেন। কেননা, সাহিত্যপত্রটি বেরুনোর কথা ছিল গেল বৈশাখে। পরিশেষে বেরুলো এই ঘনঘোর আষাঢ়ে।
তা এই তো অনেক -যখন শহরের একনিষ্ট সংস্কৃতিকর্মীদের শাহবাগ থেকে কল্যাণপুর যেতেই যানজটে অর্ধবেলা কেটে যায়। তা যাক। এ দেশের শব্দসৈনিকেরা তো সততই অপ্রতিরোধ্য। না, কোনও আফসোস নেই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।