সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের আন্দোলনের মধ্যে রোববারের হাতাহাতির ঘটনার পর এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এই ঘোষণার পাশাপাশি এটিএন বাংলার টক শোসহ সব অনুষ্ঠান বর্জনের জন্যও সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সাংবাদিকদের চারটি সংগঠনের পক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এই ঘোষণা দেন।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্য অংশ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই অংশ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের নেতারাও এই কর্মসূচিতে ছিলেন।
রোববারের কর্মসূচিতে ‘হামলা’র জন্য এটিএন বাংলার কয়েকজন সাংবাদিককে দায়ী করে ওই টেলিভিশনের নয়জন সাংবাদিক এবং দৈনিক ভোরের কাগজের একজন সাংবাদিককে দায়ী করে মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ওই ১০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাশাপাশি তাদের সাংবাদিক সমাজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হল।
এই ১০ সাংবাদিক হলেন- এটিএন বাংলার বার্তা প্রধান জ ই মামুন, প্রধান বার্তা সম্পাদক ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী, বিশেষ প্রতিনিধি শওকত মিল্টন, কেরামত উল¬াহ বিপ¬ব, মানস ঘোষ, নাদিরা কিরণ, মাহামুদুর রহমান, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এস এম বাবু, রাহাত মিনহাজ এবং ভোরের কাগজের প্রতিবেদক শামীম আহমেদ।
সাগর-রুনির খুনি গ্রেপ্তার দাবিতে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচিও ঘোষণা করেন ইকবাল সোবহান।
মানববন্ধনে প্রবীণ সাংবাদিক এ বি এম মূসা সাংবাদিকদের ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সাগর-রুনির রক্তের সঙ্গে তোমরা বিশ্বাসঘাতকতা করো না, এই আমার অনুরোধ। ”
গত ফেব্রুয়ারিতে সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের পর বিভক্ত সাংবাদিক সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালন করতে থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।