আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক...

........................... আমাদের বাস্তব জীবনে আমরা এমন অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, যার সাথে বিখ্যাত অনেক গানের মূল ভাব মিলে যায়। সেই সময় যদি সেইসব গান সত্যি সত্যি ব্যাকগ্রউন্ড মিউজিক হয়ে বেজে উঠে, তাহলে কেমন হবে?? বাস্তবে তো আর এমন হবে না, চলুন আমরা এমন কিছু মূহুর্ত কল্পনা করে নেই.. দৃশ্য-১: একটি গ্রাম্য বাড়ি। গভীর রাতে কর্তার ঘুম ভেঙ্গে গেছে প্রকৃতির ডাকে। অন্ধকারে বদনাটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এইদিকে কর্তার অবস্থা বেগতিক! অবশেষে মান-সম্মান হারানোর ভয়ে বদনা ছাড়াই কর্তা ছুটলো বাঁশঝাড়ের পাশের টয়লেটে। কর্তা ছুটছে.... ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজবে--- “এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বল তো...” দৃশ্য-২: একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

বিশিষ্ট নেতা ক্লাসরুমে একটি মেয়ে কে উত্ত্যক্ত করায় জনৈক ‘বেকুব’ শিক্ষক ক্লাস থেকে বহিষ্কার করেছেন নেতাকে। শিক্ষকের এমন ‘অবিচার’ মেনে নিতে পারেনি নেতার চামচারা। শিক্ষকের বিচারের দাবীতে শুরু হলো রুম ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজবে—“আমরা শক্তি, আমরা বল, আমরা ছাত্রদল। মোদের চরণতলায়...” দৃশ্য-৩: মোল্লাবাড়ির নারিকেল গাছ থেকে ডাব চুরি করতে গিয়ে পাবলিকের ধাওয়া খেয়েছে ‘মাইনকা চোরা’।

আজ ধরতে পারলে জ্যান্ত পুঁতে ফেলবে তাকে গ্রামবাসী, কারণ এলাকার দাগী চোর সে, অনেকবার বোঝানো হয়েছে, সবার সামনে কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে, কিন্তু স্বভাব তার পাল্টায়নি। জানের ভয়ে মেঠো পথ ধরে অন্য গ্রামের দিকে আশ্রয়ের জন্য ছুঁটছে সে.... ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজবে— “গ্রাম ছাড়া ওই রাঙামাটির পথ, আমার মন ভোলায় রে...” দৃশ্য-৪: বেতনের টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ছিনতাইকারীর হাতে পড়লেন রফিক সাহেব। জং ধরা ক্ষুর পেটের কাছে ধরে ছিনতাইকারী বললো, ‘টাকা দিবেন, না জান টাকা দুইটাই?’ বিচক্ষণ রফিক সাহেব দ্রুত পকেটের সব টাকা বের করে দিলেন। টাকা দিয়ে রফিক সাহেব বিরস বদনে মাথা নিচু করে চিপা গলি থেকে বের হয়ে আসছেন, অন্যদিকে ছিনতাইকারী হাসিমুখে কচকচা নতুন নোটগুলো একটা একটা করে গুনছে.... ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজবে—“সবাই তো সুখী হতে চায়, কেউ সুখী হয়, কেউ হয় না....” দৃশ্য-৫: বড়সাহেবের ঝাড়ি খেয়ে ফাইলওয়ার্ক শেষ করে বাড়ি ফিরতে দেরী হয়ে যাওয়ায় বউকে স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘মনের মানুষ’ দেখতে নিয়ে যাওয়া হয়নি ফরিদ সাহেবের। তাই মিষ্টি বধূ রণাঙ্গিনী মূর্তি ধারণ করে মনের মানুষকে মনের সুখে ঝাড়ুপেটা করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন।

রাত ১২ টা পর্যন্ত কাকুতি মিনতি করেও লাভ না হওয়ায় হতাশ ফরিদ সাহেব সদর দরজার বাইরে বসে মশার কামড় খেতে খেতে ঝিমুচ্ছেন আর বউয়ের হাতের রান্না খাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন.... ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজবে—“এখন অনেক রাত, খোলা আকাশের নীচে/ জীবনের অনেক আয়োজন(!) আমায় ডেকেছে..” ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.