------------------------- জুন অর্থাৎ বর্তমান মাসের ২৬ তারিখ নাসা শুরু করছে নতুন মিশন । নতুন মিশনের নাম দেয়া হয়েছে: ইন্টারফেস রিজিওন ইমেজিং স্পেকটোগ্রাপ বা ইরিস (IRIS)। "ইরিস" সূর্যের বায়ুমণ্ডল অঞ্চলের সর্বনিম্নস্তরের ছবি দেখাবে যা আগের পর্যবেক্ষণের চেয়ে অনেক বেশী তথ্যবহুল ও তথ্যসমৃদ্ধ হবে । সূর্যের এই অঞ্চলে কিভাবে ও কতোটুকু শক্তি চলাচল করে সেই সাথে সূর্যের কেন্দ্র থেকে কিভাবে কয়েক মিলিয়ন ডিগ্রী তাপমাত্রা প্রবাহিত হয়ে নিয়মিত ভাবে পুরো সৌর জগতের গ্রহ গুলোকে সৌর শক্তি সঞ্চালন করে তা এই মিশনকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারবে ।
প্রথমে "অরবিটাল স্টার-গেজার এল-১০১১" বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ রকেট বহনের উপযোগী করে নিয়ে যাওয়া হবে , এর পর সেখান থেকে পেগাসাস এক্স-এল রকেট আকাশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইরিস স্যাটেলাইটকে বহন করে নিয়ে যাবে কক্ষপথে ।
ছবিঃ সানভ্যালি , লকহেড মার্টিন স্পেস সিস্টেমস-এ স্যাটেলাইটটি পরীক্ষা হচ্ছে ।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই মিশনের মাধ্যমে সূর্যের রশ্মি ও শক্তি প্রবাহ সেই সাথে সৌর ঝড় নির্ণয়ের মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে । উন্নত প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে "ইরিস" ত্রিমাত্রিক পরিষ্কার ছবি ও আগের চেয়ে বেশী তথ্য পাঠাতে পারবে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে । "ইরিস" বাস্তবায়নের মিশনে রয়েছে ২০ টি ইঞ্জিনিয়ারিং টিম যার মধ্যে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি , ইন্সটিটিউট অব থিওরেটিকাল অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (ইউনিভার্সিটি অব অসলো ) , ইউনিভার্সিটি অফ সিডনি , ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব লিউভেন , ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেন রয়েছে ।
ধারণা করা হয় সূর্যের ম্যাগনেটিক ফিল্ড হচ্ছে সূর্যের শক্তির উৎস যা সূর্যের করোনাকে সূর্যের পৃষ্ট থেকে কয়েকশ এবং মাঝে মাঝে কয়েক হাজার গুন বেশী উত্তপ্ত করে ।
ইরিস স্যাটেলাইট আল্ট্রাভায়োলেট টেলিস্কোপের মাধ্যমে হাই রেজুলেশন সূর্যের ছবি ধারণ করবে এবং কিভাবে সৌর কিংবা নক্ষত্র থেকে কিভাবে শক্তি নির্গত হয় তা পর্যবেক্ষণ করবে ।
পুরো মিশনের অ্যানিমেটেড ভিডিও দেখতে চাইলেঃ ক্লিক করুন ।
মূল লিখাঃ মহাকাশ::.(Space) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।