Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience ছড়িয়ে পড়ছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াতেও
এশিয়ার অন্যতম বড় পর্যটন শহর সিঙ্গাপুর। ঝকঝকে-চকচকে অনিন্দ্যসুন্দর এ শহরটি গত কদিন ধরেই ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন । বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র কাঠ পোড়ার গন্ধ। শহরবাসীদের অনেকেই শ্বাসকষ্টসহ চোখ জ্বালা-পোড়া, কাশি, হাঁচি, মাথাব্যথায় আক্রান্ত।
সিঙ্গাপুরে এই ধোঁয়ার উৎস ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ।
দ্বীপটিতে বসতবাড়ি ও চাষের জমি বাড়ানোর জন্য অবৈধভাবে আগুন দিয়ে বন উজাড় করতে গিয়ে গত ১৭ জুন লেগে গেছে দাবানল। আর এই দাবানল ক্রমশ বাড়ছে। ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ধোঁয়া। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের খুব কাছেই সিঙ্গাপুর। তাই ধোঁয়ার ধাক্কা প্রায় পুরোটাই এসে লেগেছে এই দ্বীপনগরীটিতে।
গতকাল শুক্রবার সিঙ্গাপুরের ধোঁয়াশা পরিবেশ আরও গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গতকাল বিবিসি অনলাইনের খবরে প্রকাশ, সিঙ্গাপুরে স্থানীয় সময় গতকাল রাত ১০টায় পরিবেশদূষণ সূচকের মাত্রা (পিএসআই) ৪০১ পয়েন্টে পৌঁছে। দেশটির ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ মাত্রার দূষণের সূচক। দেশটির জাতীয় পরিবেশ সংস্থা জানায়, বায়ুদূষণের সূচকে ২০০ পয়েন্ট পেরোলেই ওই পরিস্থিতিকে ‘অতি অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। বর্তমান সূচক ৪০১ পয়েন্টে পৌঁছানোয় তা ‘মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ও ছাড়িয়ে গেছে।
এ পরিস্থিতিতে সিঙ্গাপুরের মানুষের জীবন এখন হুমকির মুখে, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য চরম হুমকিতে। এছাড়া সুমাত্রা দ্বীপের এই ধোঁয়া ক্রমশ ইন্দোনেশিয়ার মুলভুমি ও মালয়েশিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের কারণে মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে শতাধিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর সরকার পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে নিয়েছে বাড়তি সতর্কতা। বৃহস্পতিবার অনেক অফিস-আদালত, ফ্যাক্টরি, কনস্ট্রাকশন সাইট তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যথাসম্ভব সবাইকে ঘরের মধ্যে থাকতে বলা হয়েছে এবং যারা বাইরে কাজ করবেন তাদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাতে জানিয়েছেন, কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন সরকার তাদের সব দায়-দায়িত্ব নেবে। এছাড়া সরকার জানিয়েছে, এ অবস্থা কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে। এজন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
এদিকে সিঙ্গাপুরের প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে বনের ভেতর বেআইনিভাবে আগুন দেওয়ায় সৃষ্ট এই ধোঁয়া নিয়ে ২ দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের পরিবেশ এবং পানিসম্পদমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণ তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, তিনি জার্কাতার কাছ থেকে এ দূষণ রোধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা চান। সিঙ্গাপুরের জনস্বাস্থ্যহানিকর বায়ুদূষণ ঘটানোর কোনও অধিকার কোনও দেশ কিংবা করপোরেশনের নেই, বলেন তিনি।
ওদিকে, ইন্দোনেশিয়ার জনকল্যাণমন্ত্রী অগাং লাকসোনো এক বিবৃতিতে বলেছেন, সিঙ্গাপুর শিশুর মতো আচরণ করছে। এ দূষণ ইন্দোনেশিয়ার কাম্য নয়, এটি প্রকৃতিগত কারণেই ঘটেছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিঙ্গাপুরের কয়েকটি কোম্পানিসহ বিদেশি পাম অয়েল বিনিয়োগকারীদের এ ধোঁয়া সৃষ্টির জন্য দায়ী করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।