প্রবাসী
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ক্রমশই ঘোলাটে হচ্ছে। আরব বসন্ত বা আরবে গন অভ্যুত্থানে তিউনিসিয়া দিয়ে শুরু হয়েছিল, বছর খানেক আগে। তিউনিসিয়ার বেন আলী, মিশরের হুসনি মুবারক, লিবিয়ার গাদ্দাফী, ইয়েমেনের সালেহ , সব একনায়কদের পতন ঘটার পর এখন গৃহযুদ্ধ চলছে সিরিয়াতে। প্রেসিডেন্ট বাশার এখনো খমতা আকড়ে আছেন। তবে খুব বেশী দিন টিকে থাকবেন মনে হচ্ছে না।
নিরাপত্তা পরিষদে বাশারের বিরুদ্ধে যে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব উঠেছিল তা রাশিয়া এবং চীনের বিরোধিতার মুখে থেমে গেলেও বিদ্রোহ কিন্তু ছড়িয়ে পড়ছে। সিরিয়ার হোমস নগরী এখন কার্যতঃ ধংশপ্রাপ্ত এক। বিদ্রোহী এবং সরকারী সৈন্যদের যুদ্ধের মধ্যে পড়ে বেসামরিক নাগরিকরা দেশ ছাড়ছে। আরব লীগ যে শান্তির উদ্যোগ নিয়েছিল তা ভেস্তে যাওয়ার পথে। জাতি সঙ্ঘের প্রাক্তন মহাসচিব কফি আনানের উদ্যোগে যে পর্য্যবেক্ষকেরা গেছিলেন তারাও নিরাপত্তাহীনতায় কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছেন।
ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শরনার্থী আশ্রয় নিয়েছেন পার্শবর্তী দেশ তুরস্কে।
গতকাল একজন স্বপক্ষ ত্যাগী সিরিয়ান পাইলট তার মিগ-২১ যুদ্ধ বিমান নিয়ে অবতরন করেছেন জর্ডানে। সর্বশেষ তুরস্কের সামরিক বিমান গুলি করে নামিয়েছে সিরিয়া। তুরস্ক সরকার জরুরী বৈঠক ডেকেছে সম্ভাব্য করনীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে।
প্রেসিডেন্ট বাশারের পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে।
শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে যতশীঘ্র তিনি সরে দাড়ান ততই মঙ্গল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।