আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু কিছু ভাললাগা ব্যক্ত করা যায়না… ব্লগ আমার ডায়রী, তাই এখানেই ভাললাগার কথা লিখে রাখলাম…

যে বিশ্বাস নিয়ে একটা ছোট্ট শিশু হেসে ওঠে তাকে পরে ছুড়ে দেয়া হলে, তেমনি বিশ্বাস আমি করি তোমাকে। আমি জানি তুমি দুঃখ কখনও দেবেনা আমাকে। অনলাইনের এই ভার্চুয়াল জগতে আমি ঘুরে ফিরে বেড়াই বলে কত না কথা শুনতে হয়, হয়েছে। কেউ বোঝে না অনলাইনের এই মানুষগুলোও সত্যিকারের মানুষ। এই ব্লগটাই কি অনলাইন না? তবু কি আমরা একে অপরের জন্য সহানুভুতিশীল নই? যদি তাই না হবে, কালকের সন্ধ্যাটা আমার এত সুন্দর হবে কেন? অতীত হাতরানোর স্বভাব আমার নেই।

কিন্তু, ফেলে আসা অতীতের যে প্রিয় মুখগুলোকে আজও মিস করি, তাদের খুজে বের করার এক অদ্ভুত ইচ্ছা আমার। প্রিয় মানুষগুলোর হারিয়ে যাওয়া কখনই ভাল লাগেনা আমার। সবাইকে খুজে পাবনা জানি, চেষ্টা করতে দোষ কোথায়? এই যে যেমন, শফিক ভাইকে আমি ঠিক পেয়ে গেছি, এমনি করে যদি সবাইকে ফিরে পাওয়া যায়!! এই ১০ বছরে কম করে ৫০ বারের বেশি মনে করেছি উনার কথা। (খুব কম মনে হচ্ছে?) কেন, কখন, কোন মুহূর্তগুলোতে জানিনা, কিন্তু মনে পরেছে। দেখা হবার পর যে ভাল লাগা ছিল, সেটা ব্যক্ত করার মত না, ব্যর্থ প্রয়াশও চালাইনি।

আমি জানি তিনি বুদ্ধিমান মানুষ, ঠিক বুঝে নিয়েছেন। কাল যখন উনার সন্ধান পেলাম, তখনই ফোন করে এক ছোট ভাইকে বললাম, ভাইয়া, একজনের সাথে দেখা করতে যাব। ঠিক দেখা করতে না, খুজে বের করতে। কিছুই জানিনা, শুধু জানি বনানীতে পূবালী ব্যাংকে চাকরী করে। ও শুনেই হেসে ফেলল।

আমি অসম্ভব ভাগ্যবতীদের একজন, যাকে বিনা কারনে অনেক মানুষ অকৃত্তিম ভাবে ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে। আমার এই ছোট ভাইটাও তেমনি। যাহোক, কিছুক্ষনের মধ্যেই রেজা ভাই (যদিও আমি খুব, খুউব লজ্জিত যে আমি উনাকে একদম মনে করতে পারছিনা, তবে ইচ্ছা আছে উনার ছেলেকে দেখে আসার উছিলায় নতুন করে চিনে আসব মানুষটাকে, যিনি আমার অতীতের সাথে আমার যোগ সূত্র তৈরী করে দিলেন) ফোন নম্বরটাও দিলেন। আমি সাথে সাথে ফোন করে বললাম আমি দেখা করব, আজকেই। আমার এক বন্ধু বলে, সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিজেকে বলবি, আজই তোর জীবনের শেষ দিন।

যা করবি আজই করবি, নিজের ইচ্ছাগুলো অপূর্ন রাখবি না। সেদিন থেকেই অস্থির আমি। কোন কিছুর জন্য দেরি ভাল লাগেনা। তার উপর ১০ বছর পর খুজে পাওয়া কাউকে আর ১০ দিন কি করে অজানা থাকতে দেই? আমি তো পারিনা, কখনো পারব বলেও মনে হয়না। তিনি বিজ্ঞান বোঝালেন।

যে পেরেক আস্তে আস্তে ঢোকে, যেটা বের করতেও সময় লাগে। আমি আবার লক্ষী মেয়ে। যে জিনিস আমার পছন্দ হয়, সেটা নেই, যেটা হয়না, একদম মানিনা … উনার বিদ্যা মেনে নিলে যে আমাকে রবিবার অবদি অপেক্ষা করতে হত। তাছাড়া, ১০ বছরের অপেক্ষাই কি যথেষ্ট ছিল না? আরও তিন দিন? কেন? যাহোক, আমরা তিন জনে মিলে গল্প করলাম। অতীতের আলোচনা।

কে কোথায় আছে। মনে মনে এক অদ্ভূত ভাল লাগা নিয়ে আমি আবার অফিসের পথে। আশা করি, এবার আবার হারিয়ে যেতে দেব না। আর হারিয়ে গেলে আমার বাকি বন্ধুরা তো আছেই ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।