আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Ticfa এবং আমার ধারণা

তরুণদের ভাল কিছু করার আকাঙ্খা যখন তারনা দেয়, একটা দেশ তখনই অগ্রসর হয়। কথায় আছে বামন হইয়া চাঁদে হাত বাড়ানো ভালো না। পোলার বিয়া দেয়ার সময় নিজের থেকে একটু নিচে তাকাইয়ে হয়, আর মাইয়ার সময় উপরের দিকে। TICFA র আন্ডারে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি বা Bilateral Trade Agreement এর আওতায় আমরা আমাদের সার্ভিস সেক্টরকে এমেরিকান ইনভেস্টরদের জন্য উন্মুক্ত করবো। যার মানে, আমার গরীবের ঘরে আমি আমার আরেক পোলারে Chevron এর মতো আরেক মাইয়ার লগে বিয়া দিলাম।

যাকে বলে শান্তির মায়েরে বাপ অবস্থা। সমুদ্র জয়ের সময়ই বলছিলাম, এমেরিকানরা ১৮বছর মায়ানমারে ধুঁকতে পারে নাই, তাহলে গ্যাসের বাজার দখল করতে সমুদ্র বাংলাদেশকে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায়ই নাই। WTO এর সাথে চুক্তির জন্য আমরা ২০২১ পর্যন্ত Trade-Related Aspects of Intellectual Property Rights (TRIPS) এর আওতার বাহিরে থাকবো। TICFA বাস্তবায়নে যেটা হতে পারে, আমাদের ওই চুক্তি বাতিল হয়ে যেতে পারে। ফলশ্রুতিতে আমাদের পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক, কপিরাইটস, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট লেআউট ডিজাইন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন সহ আরও অনেক Intellectual Property টাকা দিয়ে কিনতে হবে।

৩০,০০০/- টাকা দিয়ে কম্পিউটার কিনে ২০টাকার সফটওয়্যার কিনাটা আমাদের জন্য বিলাসিতা। ILO এর মানদণ্ড মেনে আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পকে ধেলে সাজানো অন্তত বর্তমানে সম্ভব না। একটা মানুস সিঁড়ি দিয়ে অনেক উপরে উঠে আসার পর, তাকে দাড় করিয়ে নিয়ম শিখাতে গেলে, হাত ফোঁসকে ইন্ডিয়ার কোলে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। যারা এখানে কাজ করতে আসতেছে, তারা তাদের পূর্ববর্তী ইন্ডাস্ট্রি[এগ্রিকালচার] থেকে পাওয়া শ্রমের মূল্য থেকে বেশী পাচ্ছে বলেই এখানে আসতেছে। খরচ বাড়িয়ে এই মার্কেট টাকে ইন্দিয়ার হাতে তুলে দেয়ার পক্ষে আমি না।

খরচ যতক্ষণ কম থাকবে ততোক্ষণ এইটা আমাদের হাতেই আছে। চায়না তৈরি পোশাকে আসবে না। এমেরিকান ইনভেস্টমেন্ট কে স্বাগত না জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের Equity and Entrepreneurship Fund বা এগ্রিকালচারাল একটা ফান্ডও আছে যার সঠিক প্রচার নাই, এই ফান্ড গুলোর যথাযথ ব্যাবহার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। Walton তো ভালোই মোটরসাইকেল বানাচ্ছে, ইন্ডিয়া থেকে আমদানি করা গুলোতে ট্যাক্স বাড়িয়ে আমাদের উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে সমস্যা কথায়? Hero-Honda ই তো Hero MotoCorp হইছে। বাংলাদেশীরা বহুত চালাইছে ইন্ডিয়ান বাইক।

আমরা যখন টিউশনি করি, তখন কতো টাকা পাই তা ফ্যাক্টর না, কারণ তার অফার এক্সেপ্ট করেই আমি যাচ্ছি। ফ্যাক্টর হচ্ছে, মাসের ৫তারিখ আমি গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ডেটিঙ্গে যাবো [আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নহে] আমার হাতে তখন টাকাটা থাকে কিনা। শ্রমিকের ন্যায্য পাওনাটা সময় মতো দেয়ার জন্য ILO লাগে না BGMEA ই যথেষ্ট। ওর বিল্ডিঙের পিছে না লাইগা ওর এক্টিভিটি শক্তিশালী করেন। লিখতে লিখতে টায়ার্ড পরে আবার লিখবো।

ইহা সংগৃহীত পোস্ট না, এবং এর কোন কপিরাইটস ও নাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।