দারিদ্রতা হ্রাস পেয়েছে শুনে আমরা গরীবেরা মোটেই খুশী হতে পারলাম না। বিশাল সেমিনারের মাধ্যমে আপনারা যখন দারিদ্রতা হ্রাসের বুলি আওড়াচ্ছেন তখনও এখনও অবর্ণণীয় কষ্টকর অনিশ্চয়তায় বস্তি ফুটপাত আর গ্রমের জীর্ণ শীর্ণ ঘরে গাদাগদি করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ধার্মিক দারিদ্ররা বসবাস করছে। জীবনের বাস্তবতায় আমরা অনুভব করছি দারিদ্রতা হ্রাস পায়নি বরং ধার্মিক ধনীদের ধন সম্পদ টাকা পয়সা কয়েশগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা ধার্মিক ধনীরা ছন্নছাড়া শয়তান মানবাধিকার লংঘনকারী আমেরিকা ও ভারতের মদদে আপনারা ধার্মিক ধনীদের ধন সম্পদ টাকা পয়সা কয়েশগুন বৃদ্ধি পেয়েছে তা বলছেন না বলছেন দারিদ্রতা হ্রাস পেয়েছে। কেনো এমন বলছেন ! আপনারা যারা দারিদ্রতা হ্রাসের বুলি আওড়াচ্ছেন আপনারা দারিদ্রতা বোঝেন ! আপনরা দারিদ্রতাকে ঝিামিয়ে ঘুমিয়ে রেখেছেন নগ্নতা যৌনতা দিয়ে, দারিদ্রতাকে ঝিামিয়ে ঘুমিয়ে রেখেছেন লটারী আর খয়রাতী মানসিকতা তৈরী করে।
যার লেটেষ্ট ডি আই ডি সুপার মম্ । আপনাদের পৃষ্টপোষকতায় শিশুরা দেখবে তাদের মারা সারা দুনিয়ার সামনে বুক আর পেটের কাপড় সরিয়ে স্বল্প পোশাকে দ্রুত তালে বুক আর কোমর দোলাচ্ছে। স্বীকৃত বেশ্যালয়ের নিগৃহীত শিশু আর সুপার মম্ দের আদুরে শিশুর মধ্যে পার্থক্য দাড়াচ্ছে গরীব বেশ্যা শিশু আর ধনী বেশ্যা শিশু । যার ফলাফল দারিদ্রতাকে ঝিামিয়ে ঘুমিয়ে রাখা সহজ হচ্ছে। আপনারা ধনী সরকারী আমলা,রজনীতিক কাম শিল্পপতি আপনারা ইহকালকেই বেহেস্ত বানিয়ে ভোগ করছেন।
আর বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় সভা মাহফিলের মাধ্যমে নাস্তিকতার ভয় দেখিয়ে গরীবদের একজোট হতে দিচ্ছেন না যাতে আপনাদের অধ:পতিত মূল্যবোধের ভোগ বিলাসের বাজার আরোও বিকশিত হয়। আপনারা যতদিন বেচে থাকছেন সব্বোর্চ আরাম আয়েশ ও বাদশাহী জীবন যাপন করছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারপর ্ঔরসজাত সন্তানদের জন্য রেখে যাচ্ছেন পাহাড় পরিমান সম্পদ। আপনারা যদি সত্যিই ধার্মিক হতে চান তাহলে বলুন দ্বীন দুনিয়ার মালিক আল্লাহ,সকল সম্পদের মালিক আল্লাহ । আল্লাহ প্রদত্ত সকল সম্পদের উপর সকল জনগনের সমান অধিকার এবং সকল সম্পদ আমরা সকল জনগন(ধার্মিক ধনী,ধার্মিক গরীব) ইহকালেই রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রনে সমান সমান ভোগ করবো যাতে পরকালে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা সমান সমান ও সহজ হয়। রাজনৈতিক দলগুলির গঠনতন্ত্রে অর্ন্তভূক্ত করুন যারা রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিতে চান তারা কেউই ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না।
নির্বাচনী ইশতাহারে উল্লেখ করুন আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর তত্বাবধানে ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিশু সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম লেখাপড়া,সম চিকিৎসা খরচ পাবে এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে স্বয়ং রাষ্ট্র নিজে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম যতœ ,সম চিকিৎসা পরিচালনা করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।