দরিদ্র কত জন,অতি দরিদ্র কত জন সব তথ্য আছে আপনাদের কাছে আছে। দরিদ্র মানুষ আর দারিদ্রতা গবেষণা করে আপনারা তথ্য সংগ্রহ করছেন প্রকাশ করছেন আশাবাদ ব্যক্ত করছেন যে হারে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে দরিদ্র অতি দরিদ্রদের সংখ্যা আরোও কমে আসবে। আপনারা কারা ! সকল ধন সম্পদ টাকা পয়সা সবইতো আপনাদের কাছে। আপনারা ধার্মিক ধনী সরকারী আমলা,রজনীতিক কাম শিল্পপতি,আপনাদের কাছে সঞ্চিত গচ্ছিত যা ধন সম্পদ টাকা পয়সা আছে তা দিয়ে সকল দরিদ্রদের পাকা বাড়ীঘর,স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও আগামী ১০০ বছর মাসে ১০হাজার টাকা ভাতা দেওয়া যায়,তারপরও কেনো আপনারা হোমিওপ্যাথি ওষুধের মতো ফোটা ফোটা মেপে মেপে দারিদ্রতা হ্রাস করছেন !ধনীরা কত ধনসম্পদশালী হয়েছে,আরাম আয়েশ ভোগ বিলাস কি পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে,সকল ধনীদের কাছে গচ্ছিত সঞ্চিত সম্পদের পরিমান কত সে গবেষণা তথ্য কেনো প্রকাশ করছেন না। আপনারা কেনো জনগনকে বলছেন না যে আপনাদের কাছে সঞ্চিত গচ্ছিত যা ধন সম্পদ টাকা পয়সা আছে তা দিয়ে সকল দরিদ্রদের পাকা বাড়ীঘর,স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও আগামী ১০০ বছর মাসে ১০হাজার টাকা ভাতা দেওয়া যায় !নিজেরা অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে গরীবদের শান্তনা দিচ্ছেন দুনিয়াতে সম্পদ যার যত কম আখরাতে জবাবদিহিতা তার তত কম।
ধর্মকে ব্যবহার করে সম্পদ আড়াল করছেন আর সব্বোর্চ ভোগ করছেন। সকল ধর্মেই গরীব স্বীকৃত,ধনী স্বীকৃত। গরীব কম খেয়ে ভাংগা ঘরে শুয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেবে আর ধনীরা বেশী খাবে সব্বোর্চ ভোগ করবে। ন্যায় অন্যায় এর মূল্যবোধ বিবেচনা করলে গরীব কম খেয়ে ভাংগা ঘরে শুয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেবে আর ধনীরা বেশী খাবে সব্বোর্চ ভোগ করবে তাই ন্যায় মূল্যবোধ হিসেবে স্বীকৃত। আল্লাহ প্রদত্ত সকল সম্পদ সকল মানুষ সমান সমান খাবে,সমান সমান ভোগ করবে তা অন্যায় মুল্যবোধ হিসেবে স্বীকৃত।
সকল ধর্মেই ধনীদের বেশী সুযোগ দেয়া হয়েছে। কেউ গরীব থাকবে না সকলে সমান সমান ধন সম্পদ টাকা পয়সার মালিক হবে তা যে পাপ তা ও কোন ধর্মে নেই। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা বলতে পারি ”মানুষ মানবাধিকার সভ্যতা মানে-- নামাযে পুজায় প্রার্থনায় গরীব ধার্মিক,ধনী শিক্ষিত ধার্মিক যেমন এক কাতারে দাড়িয়ে বসে নামায পুজা প্রার্থনা করেন তেমনি একই কাতারে একই রকম ঘরে থাকা, একই রকম খানা খাওয়া, একই রকম মানের লেখাপড়া, একই মানের চিকিৎসা,সকলে সমান সমান ধন সম্পদ টাকা পয়সার মালিক হবে ”। তবেই শুধু হোমিওপ্যাথি ওষুধের মতো ফোটা ফোটা মেপে মেপে দারিদ্রতা হ্রাস করার দরকার হবে না। এ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলির গঠনতন্ত্রে অর্ন্তভূক্ত করতে হবে যারা রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিতে চান তারা কেউই ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না।
যারা সংসদ নির্বাচনে প্রাথী হবেন তারা ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না । নির্বাচনী ইশতাহারে উল্লেখ করতে হবে আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর তত্বাবধানে ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিশু সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম লেখাপড়া,সম চিকিৎসা খরচ পাবে এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে স্বয়ং রাষ্ট্র নিজে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম যতœ ,সম চিকিৎসা পরিচালনা করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।