আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্ধুত্ব ও মৈত্রীর মুখোশে ইন্ডিয়ান ঔদ্ধত্য ও দুর্বৃত্তপনার খণ্ডচিত্র।

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয় বন্ধুবেশী লুটেরা, আধিপত্যকামী ও বশ্যতা আরোপকারী ব্রাহ্মণ্যবাদী ইন্ডিয়া বাংলাদেশকে নিয়ে যা করছে তাতে সেদিন আর বেশী দূরে নয় যখন দেখা যাবে বেনিয়া ব্রিটিশরা উপনিবেশিক ইন্ডিয়ার যতোটা ক্ষতি করেনি তার চেয়েও বেশী ক্ষতির শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা আজ আগ্রাসী ইন্ডিয়ার পদলেহীদের স্পর্ধায় ম্রিয়মান। স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর না পেরুতেই মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও জাতীয় স্বাতন্ত্র্যবোধ কীভাবে যেন ছিনতাই হয়ে গেল! তৈরী হলো বিদেশী প্রভূদের সেবাদাস SHOE-SEALED শ্রেণী, ফরমায়েশখাটা অধিকার কর্মীদের দল, বাগাড়ম্বর-স্তাবক-স্বার্থান্বষী নেতৃবৃন্দ ও পারিতোষিক গণমাধ্যম। সর্বগ্রাসী দূর্ণীতি আমাদের অস্থিমজ্জা ও দেহকোষে যেন ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। নামসর্বস্ব চেতনাধারী দেশপ্রেমিকদের মেকি আস্ফালন সর্বত্র।

এই বিশৃঙ্খলার সুযোগে সাম্রাজ্যবাদী শকুনের শ্যেনদৃষ্টি ও শাণিত নখর আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষত বিক্ষত করছে তা কারো বিবেককে ছুঁয়ে যায় না – প্রতিবাদ তো অকল্পনীয় ব্যাপার। আর আমাদের বিভেদ, অবিশ্বাস ও ভাতৃঘাতী মনোভাবের সুযোগে দানবরূপী বিদেশী শত্রুরা আজ ক্রুর হাসি হাসে আর আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন এই বাংলাদেশকে নিয়ে চক্রান্তের খেলায় মেতে ওঠে। এই ব্লগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান রাষ্ট্রীয় দুশ্চরিত্রের কিছু দিক তুলে ধরা হলো। এটা সামান্য একটা প্রয়াস মাত্র। নিঃসন্দেহে ওদের ষড়যন্ত্রের পরিধি এতো ব্যাপক যে, তা ব্যক্তি তো দূরের কথা আমাদের সরকার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাও তা অনুধাবন করতে বরাবরের মতোই ব্যর্থ।

ঠিক আমরা যে সময়ে এই ব্লগটি পড়ছি, ঠিক এই সময়ে জানি না ওরা বাংলাদেশকে নিয়ে কোন চক্রান্তের নীলনকশা আঁকছে। বাংলাদেশ নামক এই ভূখণ্ডটির প্রতি যাদের এতোটুকু ভালোবাসা বা মনের টান রয়েছে তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আধিপত্যকামী ওই দেশটির স্বরূপ উম্মোচনে কষ্ট করে হলেও একটু অবদান রাখবেন। “হুব্বুল ওয়াতান মিনাল ঈমান” অথবা “জননী জন্মভুমিশ্চ স্বর্গাদপী গরিয়সী” – এ কথা গুলো যাদের জন্য প্রযোজ্য তারা দয়া করে একবার ভেবে দেখবেন যে বলদর্পী ইন্ডিয়া পর্যায়ক্রমে আমাদের কোথায় ঠেলে দিচ্ছে। পরিশেষে এই আশাবাদ জানাতে চাই, যারা এই মাটির প্রকৃত সন্তান তারা শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত দেশবিরোধী যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। বাংলা ও বাংলাদেশের ইতিহাস তো তেমনটাই বলে! বন্ধুত্ব ও মৈত্রীর মুখোশে ইন্ডিয়ান ঔদ্ধত্য ও দুর্বৃত্তপনার খণ্ডচিত্র - 1. ৪৭-এর মানচিত্রে ফেরার স্বপ্নে বিভোর সম্পাদক ও SHOE-SEALED দালাল।

2. RAW-এর এজেন্টদের মাসোহারা ও বহুবিধ পারিতোষিক। 3. অখণ্ড মহাভারতের ধারণা - যার ব্যাপ্তি আফগানিস্তান থেকে কম্বোডিয়া পর্যন্ত। 4. অধীনতামূলক মিত্রতা। 5. অপহরণ – বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে। 6. অব্যহতভাবে অনুপ্রবেশের অপবাদ।

7. অবৈধ অস্ত্র। 8. অবজ্ঞাসূলভ মনোভাব। 9. অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নীতি নির্ধারণে হস্তক্ষেপ। 10. অসম্প্রদায়িকতার প্রেসক্রিপশন (যদিও নিজেরা কট্টর হিন্দুবাদী)। 11. অসম্ভব অসম ও ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি।

12. অসম বাণিজ্য চুক্তি (যদি তা ইন্ডিয়ার ব্যবসায়ীদের অনুকূলে হয়)। 13. আধিপত্যবাদী ইন্ডিয়ান মিডিয়া সিন্ডিকেট। 14. আন্তর্জাতিক ফোরামে লবিং করে স্বার্থসিদ্ধির চাপ। 15. ইন্ডিয়ান মিডিয়ায় বাংলাদেশকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপেক্ষা ও অবজ্ঞা। 16. ইন্ডিয়ান সংস্কৃতির চাপিয়ে দেয়া।

17. ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরে বাংলাদেশকে একটি ইন্ডিয়া-নির্ভর দেশ হিসেবে প্রচারণা। 18. ইসলামী সংস্কৃতি ও রীতিনীতি দমন-পীড়নে উৎসাহ। 19. উজানে পানি ছিনতাই। 20. উলফা নেতাদের ধরিয়ে দেওয়ার বাহবা। 21. একতরফা স্বার্থ সিদ্ধিতে ক্ষমতাসীনদের কোলাবরেশনের প্রশংসা।

22. ক্রুসেডার – ১০০। 23. ক্ষমতাসীনদের যোগসাজশে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ও ডঃ ইউনুসের বারোটা বাজানো। 24. কানেক্টিভিটির কাঁচকলা। 25. করিডোর। 26. কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের সামনে বঙ্গভূমিওয়ালাদের হুক্কা-হুয়ার মহড়া।

27. কাঁচামালের (পাঁট, চামড়া, জ্বালানী তেল) পাচার বিনিময়ে মাদক, অস্ত্র ও নিম্নমানের পণ্য। 28. কাঁটাতারের বিদ্যুতায়িত বেড়া। 29. খরা। 30. গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র। 31. গালভরা বুলি - মন গলে যাবার মতো (honeyed words but evil mind)।

32. গায়ের জোর, পেশী প্রদর্শন ও একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ। 33. গুপ্তচরবৃত্তি। 34. গরু, ছাগল ও খেতের ফসল লুণ্ঠন। 35. চাণক্য নীতি। 36. চোরাচালান।

37. চলচ্চিত্রে বাংলাদেশ ও পূর্ববঙ্গকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ। 38. ছল, বল, কূটকৌশল। 39. ট্রান্সশিপমেন্ট। 40. ট্রানজিট ফি না চাওয়ার মত সুসভ্য দালাল (?!)। 41. ট্রানজিট।

42. তিন বিঘা করিডর, বেরুবাড়ীসহ অন্যান্য ছিটমহল গলাধকরণ। 43. তিস্তার পানি-বন্টন চুক্তির নামে প্রতারণা ও পিঠটান। 44. দালাল, ভাদা ও ভাকুর। 45. দহগ্রাম ও অংগরপোতা অপদখল। 46. নিম্নমানের কীটনাশক ও সার।

47. নেপাল-বাংলাদেশ স্থল ট্রানজিটে আপত্তি। 48. নেহরু ডকট্রিন। 49. নৃশংসতা – আন্তর্জাতিক সীমানায়। 50. প্রাতিষ্ঠানিক মিথ্যাচার। 51. প্রতিরক্ষাবাহিনীকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দমিয়ে রাখার জন্য সার্বিক আবহ তৈরী করা।

52. প্রধানমন্ত্রীকে “মুখ্যমন্ত্রী” উপাধী। 53. পাট শিল্প ধ্বংস। 54. পানি আগ্রাসনে নাব্যতা হ্রাস। 55. পানি-বন্টনের নামে বাটপাড়ি। 56. পরাশক্তির দম্ভ।

57. পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের অযাচিত প্রভাব। 58. পহেলা বৈশাখের নামে অপসংস্কৃতির অণুপ্রবেশ। 59. ফারাক্কা বাঁধসহ অভিন্ন সব (৫৪টি) নদীতে বাঁধ ও বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প। 60. ফেনসিডিল, হেরোইন ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য। 61. ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ।

62. ফাঁকা প্রতিশ্রুতি। 63. ব্রাহ্মণ্যবাদী ও হিন্দু সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। 64. বানরের পিঠাভাগ (১১০০ একর ভূমি ত্রিপুরাকে দিয়ে ৩০০ একর প্রাপ্তি)। 65. বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্মদান ও প্রতিপালন। (শান্তিবাহীনি, বঙ্গভূমি আন্দোলন, বাংলা লিবারেশন অর্গানাইজেশন, লিবারেশন টাইগার্স অব বেঙ্গল, এ্যাকশন ফোরাম, বঙ্গদেশ মুক্তি পরিষদ, বঙ্গসেনা, নিখিল বঙ্গ নাগরিক সংঘ, বঙ্গভূমি সংঘ, সংখ্যালঘু কল্যাণ পরিষদ)।

66. বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করা। 67. বিভিন্ন ধরণের বৃত্তির নামে মগজধোলাই। 68. বিরোধী দল নিপীড়নের বিষয়ে মুখে কুলূপ। 69. বুদ্ধিবেশ্যা। 70. বর্ষা মৌসুমে বাড়তি পানি ছেড়ে দেওয়ায় আকস্মিক বন্যা।

71. বহির্বিশ্বে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার। 72. বাংলা একাডেমীতে ইন্ডিয়ান ভূত। 73. বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার বাজারে পরিণত করা (অনেকাংশেই সফল)। 74. বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র পরিণত করা। 75. বাংলাদেশকে গ্রাস করার আর্দ্র-স্বপ্ন (এই স্বপ্ন ভাদা ও ভাকুরদের শিহরিত করে!) 76. বাংলাদেশী গণমাধ্যম ও চ্যানেলের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।

77. বাংলাদেশী স্যাটেলাইট চ্যানেল প্রচারে বাঁধা। 78. বাংলাদেশী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় ও প্রতিপালন। 79. বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান রুপি চালুর প্রস্তাব (শীঘ্রই বাস্তবায়ন হতে পারে)। 80. বাংলাদেশের উপর ইচ্ছামাফিক খবরদারী। 81. বাংলাদেশের টিকে থাকার অধিকার নেই - বলে উপহাস।

82. বাংলাদেশের ঢুকে অন্তর্ঘাতের পরিকল্পনা। 83. বাংলাদেশের প্রতি অঙ্গরাজ্যের মতো মনোভাব। 84. বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী পোষা সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমানার উভয়পার্শে মোতায়েনে সফলতা। 85. বাংলাদেশ-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। 86. মিথ্যা আশ্বাস।

87. মিথ্যা বরাভয় - বাংলাদেশের সামরিক শক্তির কোন প্রয়োজন নেই। 88. মৈত্রী আর বন্ধুত্বের নামে দাদাগিরি। 89. মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো ও হেয় প্রতিপন্ন করা। 90. মরুকরণ। 91. রুগ্ন গরু (খেয়ে হৃদরোগ, শেষে ইন্ডিয়াতেই ট্রিটমেন্ট – ডাবল ইনকাম!)।

92. রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প। 93. শাহবাগে ইন্ধন। 94. শিল্পকারখানায় স্যাবোটেজসহ সম্ভাব্য সকল প্রতিবন্ধকতার মিশন বাস্তবায়ন। 95. সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ক্ষেত্র তৈরী। 96. সার্ক-এর স্বপ্ন ছিনতাই ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সর্বসম্মতির দাপটে সার্কের অপমৃত্যু।

97. সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন (পোর্ট নির্মাণে ইন্ডিয়ান টেন্ডার)। 98. সীমান্ত লঙ্ঘন – বিএসএফ প্রায়শই এমনটি করে (মনে হয় রুটিন ওয়ার্ক)। 99. সীমান্তে পুশব্যাক ও পুশ-ইন করে প্রয়োজনমত অস্থিতিশীলতা তৈরী। 100. সীমান্তে লাশের মিছিল। 101. সীমান্তে শতভাগ বাংলাদেশমুখী ফেনসিডিল কারখানা।

102. সেবাদাস। 103. সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নামে পাচার ও ষড়যন্ত্র। 104. হাজার সাল কা বদলা। 105. হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির স্লো-পয়জনিং। 106. হুমকি।

107. হুমকীর সম্মুখীন জৈব্যবৈচিত্র্য। বাংলাদেশের আলো হাওয়ায় বেড়ে ওঠে এই দেশের বিরুদ্ধে যারা দালালী ও ষড়যন্ত্র করে তাদের মুখোশ আজ হোক বা কাল হোক উম্মোচিত হবে। ইতিহাসের কাঠগড়ায় তাদের বিচার ইহকাল ও পরকালে হবে। “গাদ্দার-এ আবরার” মীরজাফরের ও সহ-ষড়যন্ত্রীদের রক্ত যাদের ধমনীতে প্রবাহমান সেইসব বেঈমান যেন তাদের পূর্বসূরীদের পরিনাম আরেকবার স্মরণ করে। (চলবে . . . . ) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।