সবাইকে নব বর্ষের শুভেচ্ছা ।
বাংলাদেশের বাঙালি সরকার কেন পারে না বাংলা পঞ্জিকা ব্যবহার করতে ? বাংলা ভাষা আন্দোলন নিয়ে তো এখানে কত আনুষ্ঠানিকতা, বাংলা সংস্কৃতির কথা বলতে বলতে যেখানে শহরের শিক্ষিত নাগরিকেরা মুখে ফেনা তুলে ফেলে, সেখানকার নাগরিক জীবনে বাংলা পঞ্জিকার কেন স্থান নেই ? শহরের মধ্য ও উচ্চ মধ্যবিত্তরা শুধু এক দিন ঢাক ধোল পিটিয়ে বৈশাখ বরণের নামে পান্তা ইলিশের উৎসব পালন করে ইলিশের দাম বাড়িয়ে দেন । কিন্তু তার পর ? কোথায় থাকে বাংলা পঞ্জিকা আর কোথায় থাকেন তাঁরা ?
বৈশাখ কী- তা জিজ্ঞেস করুন গিয়ে গ্রামের কোনো কৃষককে । বৈশাখের প্রথম বৃষ্টির পর কৃষক
ধান ও পাটের বীজ জমিতে বোনে । প্রতিটি বাংলা মাসের মর্ম কৃষকরা জানে ।
ঐ গ্রামের খেটে খাওয়া মাটির মানুষদের কারণেই বাংলা পঞ্জিকা বেঁচে আছে । নইলে শুধু পান্তা ইলিশ খেয়ে আর বৈশাখকে ধরে রাখা যেতো না । ইদানিং আবার মোল্লারা অপপ্রচার শুরু করেছে যে বাংলা পঞ্জিকা নাকি অমুসলিমদের তাই পহেলা বৈশাখ পালন করা হারাম ।
আমি মনে করি বাংলাকে সম্মান দিখিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সকল কর্ম-কাণ্ডে বাংলা পঞ্জিকাকে ব্যবহার করা উচিৎ । যেখানে আমরা ইতিহাসে ইংরেজদের নির্মম নীল চাষের কথা পড়ি, সূর্য সেন, হাজী শরীয়ত উল্লাহ, তিতু মীর প্রমুখদের বৃটিশ বিরোধী লড়াই নিয়ে গর্ব করি সেখানে এখনও ইংরেজি পঞ্জিকা ব্যবহার করার কি যুক্তি থাকতে পারে ? ভিন জাতির যশ না গেয়ে বাঙালিদের উচিৎ নিজের দেশ, ভাষা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।