নিপুণ লেখনীর শানিত গর্জন / লিখব আজ নিপুণ কথন মাত্র ৫ বছর বয়সে আমি প্রথম মঞ্চে উঠি, 'ফুলকি'-র হয়ে নাচ-গান-নাটক করি... আর মাত্র ৭ বছর বয়সে প্রথম আমার লেখা গল্প দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয় ।
দিনটি ছিল ৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ ইং (২৪ অগ্রহায়ণ ১৪০২ বাং), যখন আমি class 1 এ পড়ি । সেদিন আমার লেখা এই ছোটগল্পটি ছাপা হয়েছিল দৈনিক গণসংহতি পত্রিকায় । গতকাল পুরাতন কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে বাবার রেখে যাওয়া সংরক্ষিত কিছু কাগজপত্রের মাঝে পত্রিকার এই কাগজটি নজরে এলো ।
আমার তো খেয়ালই ছিল না এই লেখাটির কথা! ভাগ্য ভালো যে এটা পেয়েছি ।
বাবা এটাকেও যত্ন করে রেখে দিয়েছিল বলেই তো আজ পেলাম ।
যারা মোবাইলে আছেন, তারা ছবিটি থেকে গল্পটি পড়তে পারবেন না । তাদের জন্য এখানে তুলে দিচ্ছিঃ
একদিন একটা লোক বন থেকে বাঘ শিকার করে যাচ্ছিল । হঠাৎ পথে দেখা হলো এক বড় মস্তানের সাথে । মস্তান প্রথমে লোকটিকে বলল, "আমাকে তোমার ঐ মরা বাঘটা দাও ।
" লোকটি দিতে রাজি হলো না । মস্তান লোকটিকে গুলি করে ওর হাত থেকে বাঘের লাশটি কেড়ে নিয়ে লোকটিকে রাস্তায় ফেলে রেখে মোটর সাইকেলে চলে গেল । লোকটি রাস্তায় পড়ে কোঁকাতে লাগলো । হঠাৎ একজন পথিক দূর থেকে ঘটনা দেখে কাছে এসে লোকটিকে কাঁধে করে নিয়ে গেল । কাছেই ছিল রাজার বাড়ী- পথিক লোকটিকে সেই রাজার বাড়ী নিয়ে রাজার দরবারে বিচার দিল ।
রাজা মস্তানকে খবর দিল এবং তার বিচার করলো এবং লোকটিকে সুস্থ করল এবং তার বাঘের লাশ তাকে ফিরিয়ে দিল এবং তাকে বাড়ী পাঠিয়ে দিল । (ওরে "এবং" লিখতে লিখতে হাঁপাইয়া গেলাম!! :p )
গল্পটি পড়ে খুব হাসলাম । হাসার মতোই তো! ছোটবেলায় আমাদের চিন্তাভাবনা কতটা সহজ-সরলই না ছিল! গল্পগুলো পড়লে কিছুটা আন্দাজ করা যায় । যাহোক, পুরাতন স্মৃতি ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে । কেমন একটা শান্তি-শান্তি ভাব...
[ বিঃ দ্রঃ সম্পূর্ণ পৃষ্ঠার ছবি তুলেছিলাম, অস্পষ্ট আসে আর গল্পটা পড়া যায়না বিধায় শুধু গল্পটুকু তুলে দিলাম ।
পেপার কাটিং এর ছবি এই লিঙ্কেঃ Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।