আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাঁচ মহিলার ইতরামি ও আমাদের জাতীয় সংসদ ।

নিজের করি নিজে খাই, বলার তেমন কিছু নাই । তার পর ও বলতে চাই যুদ্ধাপারাধীদের বিচার চাই । রাজাকারের ফাঁসি চাই । জাতীয় সংসদে গত কয়েক দিন ধরে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার পরিবরাকে নিয়ে দু’পক্ষ অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন। দু’ দলের পাঁচ জন মহিলা সাংসদ দুই নেত্রীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমন করায় সংসদে বার বার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।

এ নিয়ে সারা দেশে ছি: ছি: রব উঠেছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীও অশালীন বক্তব্য বন্ধ করতে বার বার রুলিং দিলেও কোন কাজে আসছে না সে রুলিং। বিরোধী দল ফেরার পর পুরনো চেহারায় রুপ নিয়েছে জাতীয় সংসদ। এক বছর পর বিরোধী দল সংসদে ফেরায় অশালীন কথা বলার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এ অধিবেশনের অধিকাংশ কার্যদিবসই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিরোধী দলের তিন জন মহিলা সংসদ সদস্য এবং সরকারি দলের দুই মহিলা সংসদ সদস্য ও এক জন মন্ত্রীর অশালীন ভাষায় কথা বলা ও কটুক্তি করায় বার বার উত্তাপ ছড়িয়েছে সংসদে।

এই ৬ জন গত সাড়ে চার বছরে সংসদে বার বার অশালীন বক্তব্য দিয়ে আলোচিত হয়েছেন। তাদের ব্যবহৃত অশালীন ভাষাকে পতিতালয় বা নিষিদ্ধ পল্লীর ভাষা হিসেবেও মন্তব্য করেছেন কোন কোন সংসদ সদস্য। এদের বাইরেও সরকারি ও বিরোধী দলের কয়েক জন সদস্য কথা বলার ক্ষেত্রে লংঘন করছেন কার্যপ্রনালী বিধি। বার বার শতর্ক করার পাশাপাশি মাইক বন্ধ করার পরও চলতি অধিবেশনে মন্ত্রী এমপিদের কার্যপ্রনালী বিধি লংঘন করে কথা বলা বন্ধ না হওয়ায় ক্ষুব্দ হয়েছেন নবনির্বাচিত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী । সংসদ কার্যপ্রণালী বিধির ২৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “সংসদ সদস্যরা সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময় কোনো আক্রমণাত্বক কটুক্তি বা অশালীন ভাষা ব্যবহার করতে পারবেন না।

দেশদ্রোহিতামুলক বা মানহানিকর উক্তি অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য বক্তৃতা করা যাবে না। ২৬৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো সংসদ সদস্য বক্তৃতা করার সময় কোনো ধরনের টিপ্পনী কাটা, শিস দেওয়া বা বিশৃঙ্খল আচরণ করে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ” কিন্তু সংসদ সদস্যরা এ বিধি অমান্য করে একে অপরের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করেছেন। বিরোধী দলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাবা ও মাকে নিয়ে জাতীয় সংসদে অশালীন কটুক্তি করেছেন সরকারি দল আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ অপু উকিল। বৃহস্পতিবার রাতে সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে অপু উকিল পাকিস্তানের লেখক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ সিদ্দিকীর একটি বই এর ১৪৫ পৃষ্ঠার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “একটি চা বাগানের মালিক বৃটিশ বংশভূত ইহুদি মি. বরার্ট উইলসনের চা বাগানের রেষ্ট হাউসে চাকরানীর কাজ করতেন বেগম জিয়ার প্রয়াত মা লক্ষ্মীরানী ওরফে তৈয়বা মজুমদার।

উইলসনের মদ ও নারীর প্রতি আকর্ষন ছিল। তার চাকরানী থাকা অবস্থায় লক্ষীরানী গর্ভবর্তী হয়ে পড়ায় এবং বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে উইলসনের দারোয়ান মুরলি মুহন মারমা ওরফে ইস্কাদার মজুমদারের সঙ্গে বিয়ে হয় লক্ষ্মীরানীর। এই অবস্থায় চা বাগানে খালেদা জিয়া ওরফে পুতুলরানীর ১৯৪৫ সালে ১৩ আগষ্ট জন্ম হয়। ১৯৪৭ সালে এই পরিবারটি দিনাজপুরের বাংলাবন্দ হয়ে খেতাবগঞ্জে এক কৃষক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। দিনাজপুরে তখন খানসেনাদের হেডকোয়ার্টার ছিল।

জিয়াউর রহমানের জন্ম হয় পাকিস্তানে। করাচিতে তিনি বড় হন। ভালো উর্দু জানায় সেনাবাহিনীতে তার চাকরি হয়। তিনি ১৯৬০ সালে ফুর্তি করতে এসে ফেসে গিয়ে খালেদা ওরফে পুতুল রানীকে বিয়ে করেন। এবং তার নাম দেওয়া হয় বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন খালেদা জিয়ার প্রকৃত হুইদি পিতার সঙ্গে তার চুলের রঙ্গ, গায়ের রঙ্গ পুরোপুরি মিল রয়েছে। তিনি ইহুদির ঔরসজাত সস্তান। ১৯৭৫ সালে বেগম খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে জানজুয়ার পরকিয়ায় মেতে উঠেছিলেন। মেজর জিয়া বিষয়টি জানার পর খালেদা জিয়াকে মুক্ত এলাকায় যেতে বললেও তিনি যাননি। লোকে বলে জান জুয়ার হুবহু চেহারা পেয়েছে কোকো।

” অপু উকিলের বক্তব্য চলার সময় বিরোধী দলের সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ ও হই চই করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রাত ৯ টায় ওয়াক আউট করেন তারা। ওয়াক আউটের সময় বিরোধী দলের সদস্যরা বলতে থাকেন “হরে কৃঞ্চ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাপের নাম। ” এসময় সরকারি দলের সদস্যরাও প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। চলতি অধিবেশনে বাজেট আলেঅচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি’র সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নানা রকম কটুক্তি করে বক্তব্য দেন।

শাম্মী আক্তার তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, আমি জানতে চাই, সরকারি দলের সংরক্ষিত মহিলা আসনের কতজন সদস্য তারেক রহমানের কাছে গিয়েছিলেন। যে তারা শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন? এছাড়া এক পর্যায়ে কবিতার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন “ —মারানী গাল দিতে পারি”। এর বাইরেও তিনি নানা আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেন। বিএনপি’র আরেক সদস্য রেহানা আখতার রানুও অশালিন ভাষায় বক্তব্য দেন বাজেট আলোচনার সময়। তিনি বলেন, “ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোন চুদুর বুদুর চলতো ন”।

“আমাদের নেতা তারেক রহমানের কথাটি বলার সাথে সাথে আইন প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভয়ে পেট খারাপ করে কাপড়-চোপড় নষ্ট করে ফেলেছে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা হবে এটা সরকারের রাজনৈতিক শয়তানী। আইন প্রতিমন্ত্রীর ডিজিটাল পাগলামী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে রানু বলেন, এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন- ওয়ান ইলেভেনের সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে — গরম ডিম ঢুকিয়ে নির্যাতন করেছিল। তিনি আরো বলেন, “ম-তে মখা আলমগীর, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।

এটা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কথা। স-তে সুরঞ্জিত, তুই চোর তুই চোর। এটাও বলেছে আওয়ামী সমর্থক সিনিয়র সাংবাদিক এবিএম মুসা। ” তার বক্তব্যেও পর ঐ দিন সংসদের হুইপ আসম ফিরোজ বলেন, এটা সংসদীয় ভাষা নয়। এ ধরণের ভাষা আমাদের জানা নেই।

নিষিদ্ধপল্লীতে কিছু ভাষা ব্যবহার হয়। রেহানা আক্তার রানুর ভাষা আমার কাছে সেরকমই মনে হয়েছে। তিনি ওই বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি জানান। এর এক দিন পরে সোমবার রেহানা আখতার রানু সংসদে বলেন, “আমার বক্তব্য সম্পর্কে হুইপ বলেছেন এটা নাকি নিষিদ্ধ পল্লীর ভাষা। আমি বলতে চাই উনি কি নিষিদ্ধ পল্লীতে যাতায়াত করেন নাকি যে বুঝলেন এটা পতিতালয়ের ভাষা।

” অন্যদিকে পাট মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ৪ জুন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে কটুক্তি করে বক্তব্য দেওয়ায় বিরোধী দল ওয়াক আউট করে। বিএনপি’র এই দুই মহিলা সাংসদ এবং সরকারের পাট মন্ত্রী এর আগেও একাধিক বার সংসদে অসংসদীয় ভাষায় বক্তব্য দেওয়ায় তা নিয়ে চৈ চৈ হয়েছে। সরকারি দলের মহিলা সংসদ সদস্য নাজমা আকতার বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে। আওয়ামী লীগের নাজমা আক্তার তারেক রহমানকে দুর্নীতিবাজ, মাতাল ও অর্ধ শিক্ষিত বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মা ও বাবাকে নিয়ে কটুক্তি করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মার আগের নাম ছিলো লক্ষী রানী মারমা এবং বাবার নাম ছিল ইসকান্দার মজুমদার।

গত বছর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ‘কালনাগিনী, ডাইনী’, প্রধান বিচারপতিকে ‘পাগল’ ইত্যাদি ‘অশালীন’ ভাষা ব্যবহার করে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আমেরিকার সাদা চামড়ার এক বুড়ি শয়তানী, ডাইনী, বান্দরনীকে এনে সাক্ষী বানানো হয়েছে। আমাদের নেত্রী বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান চলে যেতে বলেছেন। কিন্তু মানুষ বলে, ‘চশমা ওয়ালা বুবুজান নৌকা নিয়ে ভারত যান। ’ তিনি বলেন, গানে বলে তু তু তু তুতুতারা, মর্জিনার মা মার্কা মারা।

আর মানুষ বলে, তু তু তু তুতুতারা, শেখ হাসিনার মুখ মার্কা মারা। একই অধিবেশনে আসিফা আশরাফি তার বক্তব্যে বলেন, “আওয়ামী লীগের মেরুদন্ডহীন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানাতে পারছি না। নিষিদ্ধ পল্লীর ভাষা নিয়ে যারা কথা বলেন, তারা নিষিদ্ধ পল্লীর সদস্য। তাই নিষিদ্ধ পল্লীর ভাষা তারা বুঝতে পারেন। ” তার এ বক্তব্যের সময় সরকারি দলের সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানান।

এছাড়া গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষনের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় সরকারি দলের সদস্য মোস্তাকআহমেদ রুহী বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যাবাদী ও অসভ্য’ বলে মন্তব্য করেন। ১ মার্চ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু খালেদা জিয়াকে শারিরীক ও মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মন্তব্য করেন। একই দিন আওয়ামী লীগের মঞ্জুর কাদের কোরাইশি বিরোধী দলীয় নেতাকে ল্যাংরা লুলা আখ্যায়িত করে তিনি খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটেন বলে মন্তব্য করেন। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ বিএনপির সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েক জন মন্ত্রীকে কটুক্তি করে বক্তৃতা করেন। বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে আর কোনো কটূক্তি করা হলে জিভ কেটে ঝুলিয়ে দেয়ারও হুমকি দেন তিনি।

অন্যদিকে এর জবাবে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অপু উকিলও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে পাগল ও খাই খাই খালেদা আখ্যা দিয়ে অশালীন ভাষায় বক্তব্য দেন। পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে ‘ওরা খুনির বংশধর’ এ মন্তব্য করায় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল হৈ চৈ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কঠোর হুশিয়ারি দেন তৎকালিন স্পিকার এডভোকেট আবদুল হামিদ। এসময় সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে হুমকি ধামকি, হট্টগোল, চিৎকার-চেচামেচি আর ফাইল ছোড়াছুড়ির কারনে ১০ মিনিট অধিবেশন অচল হয়ে পড়ে। এ সময় স্পিকার বারবার রুলিং দিয়েও পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন।

এক পর্যায়ে স্পিকার সংসদ সদস্যদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। গত সাড়ে চার বছরে সংসদ অধিবেশনে অনেক দিনই সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা একে অপরের বিরুদ্ধে এ রকম অনেক বিষেদাগার করেছেন। তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার পাশাপাশি একজনের বক্তৃতার সময় অন্য পক্ষের লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করছেন। এ ব্যাপারে বিরোধী দলীয় সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সরকারি দলের সদস্যরা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ঢালাও ভাবে বিষেদগার করার কারনেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কার্যপ্রনালী বিধি মেনে সংসদে কথা বলার ক্ষেত্রে দুই দলের সিনিয়র নেতারা একমত হলেও সরকারের দু এক জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য উস্কানীমুলক বক্তব্য দেওয়ার পর বিরোধী দলেরও কেউ কেউ বক্তব্য দিচ্ছেন।

এটা বন্ধ করতে দু দলের সিনিয়র নেতাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেছেন, সংসদে অশালীন বক্তব্য না দেওয়ার ব্যাপারে সরকারি ও বিরোধী দল এক মত রয়েছে। স্পিকারের পক্ষ থেকেও সংসদে বিষয়টি বার বার বলে দেওয়া হয়েছে। তার পরও মাঝে মধ্যে কোন কোন সদস্য অশালীন ভাষায় কথা বলছেন যা কাম্য নয়। তবে স্পিকার অশালীন বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করে দেন বলে জানান চিফ হুইপ।

চিফ হুইপ বলেন, সংসদ কার্যপ্রনালী বিধিতেই সংসদ সদস্যদের আচরন কি হবে তা পরিস্কার উল্লেখ রয়েছে। সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের সদস্যরা এটা মেনে চললেই সংসদ ভাল ভাবে পরিচালতি হবে। এ ব্যাপারে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কারো বিরুদ্ধে আক্রমনাত্বক বক্তব্য দেওয়া ঠিক নয়। সংসদ সদস্যদের বক্তব্যে প্রদানকালে সংসদীয় ভাষা প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি বিধি ২৭০ সংসদ সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সকলেই এ বিধি মেনে চলবেন বলে আশাবাদী তিনি।

এ ব্যাপারে সরকারি ও বিরোধী দলের সিনিয়র নেতারা একমত হয়েছেন। কেউ অশালীন বক্তব্য দিলে তা এক্সপাঞ্জ করা হয় বলে জানান তিনি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।