------ "সালিশ খানা"
বাংলার অনেক ঐতিহ্যই এখন হারিয়ে যাচ্ছে কালের পরিক্রমায়। সেরকম একটি বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যের সন্ধান পাওয়া গেছে নেত্রকোনা জেলা থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে আটপাড়া থানাধীন "শুনই" গ্রামে। বিলুপ্তপ্রায় এই ঐতিহ্যটিই হলো "সালিশ খানা" ।
স্থানীয় জনসাধারন এবং ভবনটির দেয়ালের শিলালিপি ঘেটে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা থেকে জানা যায়, ভবনটি নির্মিত হয়েছিল মুঘল আমলে ষোলশ শতকের দিকে। স্বল্প শুনই গ্রামে মোঘল আমলের এই স্থাপত্য কীর্তিটি ৪শতাংশ ভূমির উপর দাঁড়িয়ে আছে।
স্থাপনাটির দৈর্ঘ্য ২৪ হাত, প্রস্থ ১৪ হাত। তিন কক্ষ বিশিষ্ট ভবনটিতে তৎকালীন সময়ে সাপ্তাহিক বিচার কার্য বা সালিশ বসতো। এটি ছিল সামাজিক বিচারের সালিশখানা। বিচার শেষে দোষী সাব্যস্ত হলে দক্ষিন পাশের কক্ষে কয়েদীদের আটকে রাখা হতো।
আছালত খাঁ নামে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এটি নির্মান করেছিল।
এই ভবনে ব্যবহত ইট গুলো আকারে ছোট ও চেপ্টা। প্রায় পাঁচশত বছর আগে এই স্থাপনা নির্মিত হয়েছিল। আছালত খাঁ'র সপ্তম উত্তর-পুরুষ আব্দুর রহিম খাঁ'র বর্ননা মতে এ তথ্য পাওয়া যায়। জনশ্রুতি আছে, এই ভবনের সামনের দুটি পিলারের নিচে অনেক মুদ্রা ভর্তি কলসী রয়েছে। কালের পরিক্রমায়সে ভবনটি এখন নুব্জ হয়ে পড়েছে, কোন সংস্কারের উদ্যোগ নেই।
নেত্রকোনার বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য পর্ব-০১ এ আমরা তুলে ধরছি বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য "সালিশ খানা" সম্পর্কে কিছু তথ্য।
ভিডিও দেখুন-এখানে::
Click This Link
(চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।