মোল্লা বাহার সন্ধ্যার কিছু আগে তড়িঘড়ি করে ঘুম থেকে উঠে মাগরিবের নামাজ পড়ে বন্ধু আরিফকে সাথে নিয়ে গেলাম শহরের ডাকবাংলা মার্কেটে। আমার মুঠোফনে কিছু সমস্যার জন্য গেলাম মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে। আর ঘটনাটা এখানেই, আমার মুঠোফন সার্ভিসিং এ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমরা দুজন এবং গল্প করছি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে। এর মধ্য এক পঁয়তাল্লিশ ঊর্ধ্ব লোক আসলো দোকানটিতে। ভিডিও ,অডিও গান নিতে।
লোকটি দোকানিকে কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলতে পারছে না , সম্ভবত আমাদের জন্য। দোকানি ছেলেটি ২১ -২২ বছরের হবে,সে লোকটিকে নিঃসংকোচে বলতে বললেন। কিন্তু তারপর ও লোকটি পারলেন না। বাধ্য হয়ে ছেলেটি বাইরে বের হয়ে কানে কানে লোকটির কথা শুনলেন । আর বললেন , আমাদের দোকানে আমরা এগুলা আপ্লোড দেই না, দয়াকরে অন্য কোথাও যান।
ব্যাপারটা বুঝতে আর বাকি থাকলো না, ছেলেটির মুখে শুনে আরো বেশি অবাক হলাম। লোকটি যদি ঠিক সময়ে বিয়ে করে থাকে তাহলে তার ঘরে ১০-১৫ বছরের ছেলে মেয়ে থাকার কথা,আর তার এই অবস্থা। আমাদের নৈতিকতা আজ কোথায়? মোবাইল প্রজুক্তি আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে ভালো , মন্দ সব কিছু। নিশ্চয় আমি প্রজুক্তি এর দোষ দিব না, দোষ আমাদের আমরা যারা প্রজুক্তি এর অপব্যাবহার করতেছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।