আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্রুটিকার রাষ্ট্র ভাবনা

প্রথম ব্লগ .। .। .। .। আমার নকিয়া সি-৬-০ মোবাইল হ্যান্ডসেট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মনটা খুবই খারাপ ।

হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল । ফ্রুটিকার খালি বোতলের তলায় একটি ফুটো করে হেডসেটের জ্যাক দিলাম ঢুকিয়ে । "কাজটা কি ঠিক করলা ?" , ফ্রুটিকা বলল । "ক্যান ? অসুবিধা কি ?" , আমার পাল্টা প্রশ্ন । ঃ না.....ঠিকই আছে ।

আমি আবার যেভাবে কথা বলি তাতে অন্য কারও কানে গেলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনতে পারে । কিংবা অতি উৎসাহী কেউ কেউ বিশেষ বিশেষ মহাপবিত্র স্থানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্যও বলতে পারে । তার চেয়ে এটাই ভাল হয়েছে , এলিফ্যানট কিং মশার কয়েল - তুমি আর আমি ছাড়া এইখানে কেউ নাই , কেউ নাই । ঃ আসলে গণতন্ত্রে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস । ( প্রসঙ্গ পরিবর্তনের চেষ্টা করলাম ) ঃ হ্যাঁ......তবে জঘন্যতন্ত্রে এটা নির্জলা মিথ্যা ।

ঃ মানে ? ঃ মানে হল - জঘন্যতন্ত্রে গোবরভর্তি মাথাওয়ালা বাচালেরাই সমস্ত ক্ষমতার উৎস এবং অধিকারী । সবাইতো এখন মহাউৎসবে মুরগীর বারবিকিউ করায় ব্যস্ত , ডিম খেয়ে আর পোষাচ্ছে না তাঁদের । ঃ হুম ...... গুরুগম্ভীর কথা , বুঝতে গেলে আমার মতো হাবার মাথায় ডিশ এন্টেনা লাগাতে হবে । আচ্ছা বাদ দাও ওসব । এবার আমাকে কালোকে সাদা করার মাহাত্ম্য একটু বুঝিয়ে দাও ।

ঃ এখানে বুঝানোর কিছু নাই । যে লোক মাঝে সাঝেও মদ খায় সে কখনও মদের বিপক্ষে যাবে না , বরং চাইবে মদকে যেন সহজলভ্য ও বৈধতা দেয়া হয় , তাতে যদি ট্যাক্স কিছু বেশি দিতে হয় ক্ষতি নেই । ঃ আবারও গুরুগম্ভীর কথা । তোমারে বললাম না যে এসব বুঝতে আমার কষ্ট হয় । ( আমি যথেষ্টই বিরক্ত ) ঃ না বুঝলেও আমার কিছু করার নাই ।

তোমারে বুঝাইতে গিয়া মামলা খামু নাকি আমি ! গণতন্ত্রের এই সত্যযুগে ওরফে স্বর্ণযুগে বাকস্বাধীনতার অপর নাম রাষ্ট্রদ্রোহিতা । সুতরাং , যে নিরব থাকে সে মুক্তি পায় । গণতন্ত্রের কলি যুগ আগেও ছিল না , এখন তো নাই-ই আর ভবিষ্যতেও আসবে বলে মনে হয় না । ঃ যা হোক , বাদ দাও ওসব । তবে একটা ব্যপার খুবই ইতিবাচক - সিগারেটের দাম ক্রমাগত বাড়ছে ।

এতে করে ধূমপায়ীরা অনুৎসাহিত হবে , সাথে সাথে মাদকের ব্যবহারও কমবে । ঃ ম্যালা ফেচ ফেচ করছ , এই বেলা অফ যাও । বলি তুমি কাঁঠাল পাতা খাও নাকি ! ঃ কেন , কেন ? ( আমি অপমানিত সেই সাথে বিস্মিত ) ঃ ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই - মনে কর বন্ধু নয় , আত্মীয় নয় এমন একজন তোমার বাসার সদর দরজায় করা নাড়ল । দরজা খুলে তার মিষ্টি হাসি আর মিষ্টভাষণে বিমোহিত হয়ে তাকে ঘরে জায়গা দিলে । সে তোমারি ঘরের চালডাল দিয়ে নিজেই রান্না করে তোমাকে খাওয়ালো এবং যাবার বেলায় তোমার কাছ থেকে কিছু টাকা এবং টিফিন ক্যারিয়ার ভর্তি খাবার নিয়ে গেল আর এই অর্বাচীনের তোমার বাসায় অবস্থান হেতু বাড়িওয়ালা তোমার উপর অতিরিক্ত ভাড়া আরোপ করলো ।

এবার বল , কতখানি লাভবান হলে তুমি । একের পর এক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আসছে বাংলায় আর তাঁদের মদত দিয়ে চলেছে রাজবল্লভ - জগতশেঠরা । সিরাজউদ্দৌলা - মোহনলালেরা কোথায় হারালো । রাজবল্লভ-জগতশেঠদের কারখানায় জন্ম নিচ্ছে মীরজাফরেরা জন্মাচ্ছে অগণিত !!! * * * ......... আর পারছি না আমি । মাথা ঘুরাচ্ছে প্রচণ্ড ......... হেডসেট খুলে সটান শুয়ে পড়লাম দুচোখ বন্ধ করে ........ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।