প্যারিসের এক পাঁচ তারকা হোটেল থেকে ৫০ লাখ পাউন্ড বিল ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন সৌদি আরবের প্রিন্সেস মাহা আল-সুদাইরি। তিনি তার ৬০ সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যরাতের দিকে ওই হোটেল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই পুলিশ ডাকা হয়। কিন্তু প্রিন্সেস কূটনৈতিক মর্যাদায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় রয়েছেন বলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।
এতে বলা হয়, তিনি সঙ্গীদের নিয়ে প্যারিসের সাংগ্রিলা হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানে তাদের মোট বিল আসে ৫০ লাখ পাউন্ড। এ অর্থ হোটেল কর্তৃপক্ষকে না মিটিয়ে তিনি সবার অজান্তে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তা হোটেল কর্মচারীদের চোখে ধরা পড়ে। কারণ, তার সঙ্গে এত লোক। সঙ্গে আবার ব্যাগ, লাগেজ।
এগুলো নিয়ে কারও চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন। এ অবস্থায় পুলিশকে ডাকা হয়। প্রিন্সেসের অবস্থানে অন্য কোন লোক এ কাজ করলে তাকে বা তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হতো। কিন্তু তিনি কূটনৈতিক মর্যাদায় থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি তার বিরুদ্ধে কোন অপরাধের অভিযোগও আনতে পারেনি।
তবে ফরাসি কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় সৌদি দূতাবাসের মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে প্রিন্সেস ও তার দলকে পাশের আরেকটি বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ হোটেলটির নাম রয়েল মনসিউ। রিপোর্টে বলা হয়, প্রিন্সেস যে সাংগ্রিলা হোটেলে উঠেছিলেন তার মালিক কাতারের আমিরের পারিবারিক বন্ধু। ওই মালিক ঘটনা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রিন্সেসকে নজরদারিতে রাখার আহ্বান জানান।
রিপোর্টে বলা হয়, প্রিন্সেস মাহা আল-সুদাইরি গত বছরের ২৩শে ডিসেম্বর তার সঙ্গীদের নিয়ে প্যারিস যান। সেখানে সাংগ্রিলা হোটেলের ৪১টি রুমের একটি পুরো ফ্লোর ভাড়া নেন। ল্য প্যারিসিয়েন পত্রিকা জানায়, এতে তার বিলের অঙ্ক ফুলেফেঁপে বড় হতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি রাতের অন্ধকারে পালানোর চেষ্টা করলে তা প্রকাশ পায়। রিপোর্টে বলা হয়, সৌদি রাজপরিবারকে গরম পানিতে নামানোর এটাই তার প্রথম ঘটনা নয়।
২০০৯ সালের জুনে তিনি ফ্রান্সে ১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের কেনাকাটা করেন। কিন্তু তার কোনটির বিল দেননি। সেবার তিনি ৬০ হাজার পাউন্ড দিয়ে শুধু একটি অন্তর্বাস কিনেছিলেন। সেবারও তিনি কূটনৈতিক মর্যাদা ব্যবহার করেছিলেন। পরের বছর তিনি প্যারিসের একটি দোকান থেকে ১৮ হাজার পাউন্ডের পোশাক সংক্রান্ত জিনিসপত্র অর্ডার দেন
সূত্র:http://cbnbd.com/?p=6237
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।