কবঠ নবীজি হযরত মোহাম্মদ সা: কে সেই আমলে সবাই আল আমিন আর্থাৎ বিশ্বাসি বলেই জানতেন। কথা ও কাজের এমন মিল পৃথিবীর আর কারো মধ্যে খুব একটা দেখা যায়নি বলেই, পৃথিবীর বিখ্যাত একশত জনের মধ্যে তার নামটাই সবার আগে। মুসলমানদের আতিথিয়তায পরম শত্রুও মুগ্ধ ও হতচকিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতো। কবি উচু গলায় বলতেন "কেবলি মুসলমানের জন্য আসেনি কো ইসলাম" কিন্তু আজ কি হচ্ছে। মুসলমানদের যোগ্যতা নামতে নামতে এতটাই নীচে নেমে গেছে যে, নিজেকে মুসলমান বলতেও লজ্জা বোধ হয়।
ইহুদিরা যা যা বর্জন করে বর্তমান বিশ্বে একটি শক্ত অবস্থান র্নিমাণ করে, তার উপর নিজেদেরকে বসাতে সক্ষম হয়েছে। মুসলিমানরা ইহুদিদের সেই সকল ফেলে দেয়া আকাম কুকাম গুলিই বেশ সাচ্ছন্দে করে যাচ্ছে, র্নিদ্বীধায়। মওলানা মওদুদির ইসলাম যে সত্যকারের ইসলাম না, সেটা আমরা না বুঝে শুনেই প্রতিপক্ষ বানিয়ে যুদ্ধে নামতেও দ্বীধা করছি না। জামাতি ইসলাম মওলানা মওদুদির আধুনিক ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতেই মুলত জন্মেছিল। ভাগ্য বিরম্বনায় তারা বার বার দালালী করে করেই বৃটিশ, পাকিস্তান হয়ে আজ বাংলাদেশে।
শহীদ জিয়া ও শেখ হাসিনার বদান্যতায় জামাত এখন বিষ বৃক্ষে পরিনত হয়েছে। আমাদের সমাজ জীবনে স্লো পয়জনের মতো ধীরে ধীরে আমাদের সবাইকে এরা গ্রাস করছে।
চট্টগ্রামের ফটিক ছরিতে শুধু মাত্র দাঙ্গা বাধানোর জন্যে ছাত্রশিবির যে প্রতারনার আশ্রয় নিল সেটা কোন ইসলাম। ধর্মপ্রান সাধারন মুসলমানদের বিপথগামী করে তাদের সাথে নিয়ে মিছিলকারীদের উপর আক্রমন চালায় শিবির। মাইকে গ্রামবাসীকে বোঝানো হলো ওরা আসছে মাদ্রাসা গুড়িয়ে দিতে।
ব্যাস আর যায় কোথায় বেকুব মুসলমানের দল ঝাপিয়ে পড়লো যুদ্ধে, ঘটনা স্থলে তিনজনের মৃত্যু, পঞ্চাশ জন গুলিবিদ্ধ হয় ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই সমস্তকিছুই শেখ হাসিনার অপরিনাম দর্শিতার ফসল। তার একটি সৎ ইচ্ছার অভাবে বাঙ্গালীর জীবনে নেমে এসেছে একটি অনিশ্চয়তা। মুফতি সাফি যদি সত্যসত্যই র্ধামিক বা কামেল মানুষ হতেন তিনি কেন অযথাই এই বৃদ্ধ বয়সে ঢাকায় আসতে গেলেন। দুই হাত তুলে আল্লার দরবারে একটি মোনাজাত করলেই নাস্তিকরা সবাই ভস্ব্য হয়ে যেত।
লৌকিক পৃথিবীতে এই জাতীয় অলৌকিকতার কোন স্থান নেই বলেই মাদ্রাসার সহজ সরল ছাত্রদের সাথে প্রতারনা করে তাদের যুদ্ধে নামিয়ে দিয়ে ছিলেন। মহামান্য প্রধানমন্ত্রী ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার একমাত্র উদ্দ্যেশ ছিল আওয়ামী লীগকে নেত্রীত্ব শুন্য করা। বেগম খালেজা জিয়া অযথাই কেন এত বড় একটি কলঙ্কের বোঝা কাধে নিতে গেলেন তার কারনও একটাই লৌকিক পৃথিবীতে অলৌককতার কোন অবকাশ নেই বলে।
এই যে তিনি হরতাল দিচ্ছেন। লাশ চাচ্ছেন।
কেন? কারন একটাই গনতান্ত্রীক নিয়মে সংসদে গিয়ে সরকারী দলের সাথে বাহাস করে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। যা খুবই কষ্টকর ও এত অল্প শক্তির জন্যে সুখকর নয়। আর তিনি যদি ধার্মিকই হতেন তাহলে অযথা হরতাল দিয়ে বা লাশ চেয়ে ক্ষমতায় ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন না। তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যায় দলিও কার্যালয়ে এসে জামাতের হুজুরদের নিয়ে কোরান খতম দিয়ে শেখ হাসিনার অন্যায় কর্মসুচীর উপর উৎসর্গ করলেই কাজের কাজটি হয়ে যেত। গত রোজায় এটা অবশ্য করেও দেখেছেন কিন্তু এতে করে কোন ফল পাওয়া যায়নি, তাই এই সব লৌকিক কুর্কমের আশ্রয় নিয়ে জনসাধারনের বিপক্ষে গিয়ে দাড়িয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।