চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তা নিয়ে কথা বলবোই ! মহারাজা রাজবললভ সেন ছিলেন এক সময় বাংলার খুব শক্তিশালী রাজা। জন্ম: ১৬৯৮-১৭০৭ সালের মধ্যে। বর্তমান বিক্রমপুরের লৌজং থানায় বেজগাঁও গ্রামে। রাজবল্লভের সেই জন্মস্থান এখনো রয়েছে, তবে সেখানে এখন অন্যের বাড়ি। রাজবল্লভের পিতা কৃষ্ণ জীবন মজুমদার জঙ্গল কেটে এখানে বাড়ি করেন।
কৃষ্ণ জীবন ছিলেন দরিদ্র মানুষ। নিজের সামান্য জমি ছিল এবং অন্যের জমি চাষ করতেন। একটি মাত্র ঘর ছিল গোলপাতার। বেড়া ছিল মুলি বাঁশের। ঘরের মেঝে ছিল বড় ইটের।
যদ্দুর শোনা যায়, রাজবল্লভ যখন শিশু, তখন তার পিতা বেজগাঁও গ্রামের বাড়ি ছেড়ে চলে যান অন্য জায়গায়। বড় হয়ে রাজবল্লভ পিতার মত কেরানির চাকরি গ্রহণ করেন। কিন্তু মুসলমান নবাবের অধীনে চাকরি করে নানাভাবে প্রচুর অর্থ সম্পত্তির মালিক হন। যা সেই আমলে কোনো রাজার ছিল না। তিনি কিছু ভাল কাজও করে গেছেন যেমন- খাল-দীঘি কাটা, হিন্দুদের বাল্যবিবাহ চালুর চেষ্টা, বিভিন্ন মন্দির সংস্কার ও মূর্তি দান।
ইংরেজরা ১৭৫৭ সালে বাংলার স্বাধীনতা কেড়ে নেয় পলাশির মাঠে। সেই যুদ্ধে তিনি ইংরেজদের পক্ষে ছিলেন। এ জন্য তিনি সকলের কাছে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।