uব্লগিং করলে নাকি জাতে উঠা যায় !জাতে ওঠার তীব্র আকুলতায় একটা ফ্লপ জোকস -আপনি কি সাতার জানেন? -সাতার শেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনি স্যার। -তাহলে কিভাবে আপনি নেীবাহিনীতে সাক্ষাতকার দিতে এসেছেন? -মাফ করবেন স্যার তাহলে কি আমি মনে করব যে বিমানবাহীর আবেদনকারীরা উড়তে শেখার পর সাক্ষাতকার দিতে আসে ? ::: মোরাল : ঘটে হয়ত কিছু নাই তাই বলে কি লিখতে নেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করি শেখ হাসিনার ভন্ডামী নয় । বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের দেশ প্রেম আমাকে মুগ্ধ করে তবে বেগম জিয়া আর তারেক রহমানের একগুয়েমি,দ্বিমুখীতা,আর সন্দেহজনক দেশপ্রেম আমাকে ক্ষুদ্ধ করে । ব্লগ আর ফেসবুকের দুনিয়াটা এখন ভাদা,পাদা,ছাগু,আস্তিক,নাস্তিক আলোচনায় সীমাবদ্ধ । পাঠক হিসাবে আমি আদর্শ বলতে পারেন ।

হাতের কাছে যা পাই তাই পরি । ব্লগের দুনিয়ায় এসে যেন আলাদিনের চেরাগ পেলাম । কত জ্ঞানিগুনি জন । আমি আসিফ মহিউদ্দিন এর ভাবশিষ্য নই তবে দর্শনের একজন ছাত্র হিসাবে তার যুক্তিবাদিতাকে শ্রদ্ধা করি। অমি রহমান পিয়াল এর স্টাটাস দ্বারা পরিচালিত নই তবে তার ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধতাকে স্যালুট করি।

বেইমান আমি,দেশী পোলা,সবাক এর কমেন্ট দেখে নির্ভেজাল আনন্দ পাই । মনে প্রানে ঘৃনা করি রাজাকার তথা জামায়াত শিবির। ব্লগের বিভিন্ন পোস্টে যখন দেখি ছাগু গুলান দেীড়ের উপ্রে আছে আনন্দিত হই । অলিগলি পথে অনেক হাটা হয়েছে এবার মেইন রাস্তায় আসি মানে মুল প্রসংগে। ফেয়ার এন্ড লাভলী বিজ্ঞাপনের কথা স্বরন করুন ।

কি দেখলেন ? একটা কালো মেয়ে অচ্ছুত । কোন কাজেই সফলতা নেই । সে গাইকা হতে পারছে না, নাইকা হতে পারছে না,পরীক্ষায় ফাস্ট হতে পারছে না । বান্ধবী কিংবা খালা ধরনের কেউ হাতে ধরিয়ে দিল ফেয়ার এন্ড লাভলী আয়ুর্বেদিক এর একটি মিনিপ্যাক । ব্যাস কেল্লা ফতে মাত্র তিন সপ্তাহে কাক হয়ে গেল ময়ুর ।

চামড়া সাদা হতে হতে ফ্যাকাসে হয়ে গেল এবং তিনি হয়ে গেলেন চ্যানেল আই সুপার স্টার কিংবা ক্লোজ আপ ওয়ান । কি বুঝলেন । দুনিয়াটা কালো মানুষের জায়গা না । চারিদিকে সাদার জয়জয়কার। না তেমন ঠিক না ।

উসাইন বোল্ট একটা শেতাঙ্গ মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হলেন। জ্যামাইকান কালো সুন্দরীরা বেকে বসলেন । সাথে যোগ দিলেন দেশপ্রেমে আপ্লুত কালো রাজনীতিবিদরা । সমালোচনায় ধুয়ে দিলেন বোল্টকে । দেশে যেখানে এত কালো সুন্দরীরা বোল্টের জন্য দিওয়ানা সেখানে তিনি কিনা একজন সাদা চামড়ার স্পানিস মডেল পছন্দ করলেন ! ছি ছি ছি ।

ভেঙ্গে গেল বোল্টের সদ্য গজিয়ে ওঠা প্রেম । সাদা কালোর এই বর্ন বৈষম্য আর কতদিন কলঙ্কিত করবে পৃথিবীকে ? ধুর ….ছাই শুধু লালায় আবর্তিত হচ্ছি কুসুমে আসতে পারছি না । এখনও যারা লেখাটাকে ইগনোর করে অন্য পোষ্টে যান নি ধরে নিলাম তাদের হাতে এই মুহুর্তে কোন কাজ নাই । নেই কাজ তো খই ভাজ । সিংহ ভাগ তরুন সমাজ যখন ফেবুর প্রোফাইলে hate politic কিংবা fuck politic লিখে রেখে গার্ল ফ্রেন্ডের কাছে নিজের স্টাটাসের গ্রাফ টা একটু উদ্র্ধমুখী করে থাকেন আমি তখন নিখাদ গাও গেরামের মুর্খ মানুষের মত বলি রাজনীতি পছন্দ করি ।

আমাদের দেশে বর্তমানে আধুনিক কিংবা মডার্ন ট্যাগ লাগানোর জন্য তিনটা কাজ করতে হয়। প্রথমত আপনাকে নাস্তিক হতে (সাজতে) হবে,বাংলা সিনেমা তথা সাকিব খানের লিপস্টিক সম্পর্কে ব্যঙ্গাত্মক বিশ্লেষন এবং যাতে প্রেয়সির হাসির উদ্রেক হয় এমন কিছু বলতে হবে তৃতীয়ত রাজনীতিকে ঘৃনা করতে হবে । দুর্ভাগ্য আমার, আমি আধুনিক হতে পারিনি। দেশের বেশীরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে দেশ সঠিক পথে পরিচালিত হচ্ছে না বা সরকার ভালো কিছু করতে পারছে না । গাধাকে দিয়ে ঘোড়ার কাজ কোনদিন হয় শুনেছেন ?যে সরকারে সাহারা খাতুন,দিপু মনি,আবুল হোসেন,শাজাহান খান মন্ত্রী হিসাবে আছেন সেই সরকারের কোন বিরোধী দল লাগে না ।

তবে কার্যত বিরোধী দল এখন মুলত হরতাল নির্ভর । গুলশান কিংবা নয়াপল্টন অফিসে বসে হরতালের ডাক দিলেন । পরের দিন অফিস পুলিশ দ্বারা অবরুদ্ধ। সংসদ ভবনে কয়েকজন মহিলা এমপির অশ্লীল আস্ফলন অবশেষে পুলিশের ডান্ডায় ঠান্ডা !!! । কোথাও কোথাও ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার (যে বাচ্চা দুধ পায না হুদাই লাফায়) মত কিছু ম্যংগো পিপল পুলিশের ঠ্যংগানী খেয়ে পিঠ ডলতে ডলতে হাজত কিংবা বাসায় গমন।

ব্যাস হরতাল সফল । আমরাও অনুধাবন করি দেশে বিরোধী দল আছে । অন্য প্রসংগে যাই । সরকার বিরোধী দল যা পারে করুক । অসুবিধা নাই সামনের রমজানে বি জে এম ই ইফতার মাহফিলে তারা একসাথেই জুসের গ্লাসে চুমুক দিবেনে ।

আসিফ মহিউদ্দিনের স্টিকি পোষ্ট টা সরিয়ে ফেলা হল । অনেক ব্লগার স্বাধীনতার স্বাদ নতুন করে পেল । আমি পেলাম না । মোটেই খুশি হতে পারলাম না । বুঝতে পারছি নাস্তিকে আমাদের এলার্জি আছে ।

কিন্তু পোষ্টের বিষয় বস্তু তো আস্তিক নাস্তিক সম্পর্কিত না । তিনি যেটা বলেছেন সেটা আপনার আমার সবার মনের কথা উনি কেবল কিবোর্ড চেপে লিখে ফেলেছেন । নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে স্টিটি পোষ্ট সরিয়ে ফেলা সত্যিই দু:খজনক । আরিফ জেবতিক,অমি রহমান পিয়াল কিংবা আসিফ মহিউদ্দিন আপনার আমার মত রাম রহিম কুতুব নন । তাদের যেকোন স্টাটাসে শত শত লাইক কমেন্টস পরে ।

আমি অধির আগ্রহ নিয়ে বসে থাকি এরা কখন কি লিখে। নুতন কি জানব আজ । সমাজের প্রতি এদের দ্বায়বদ্ধতা অনেক বেশী । হুমায়ুন আহমেদ এর “দেয়ালে” চাপা পড়ে গেছে “জোসনা জননীর গল্প”। হুমায়ুন আহমেদ নিজের মেয়ের বয়সী একটা মেয়েকে বিয়ে করেছেন,তিনি লুচ্চা,বদমাস,খাটাস সব ।

অথচ তিনিইত “নন্দিত নরকে” লিখেছেন । দার্শনিক Thomase Moore তার সারা জীবন ব্যায় করেছেন একটি প্রশ্নের উত্তর খুজতে। what is good ? শেষমেষ তিনি ব্যক্ষা দিলেন এইভাবে যা কিছু খারাপ নয় তাই ভালো । কিন্তু এটাত আপেক্ষিক । আপনার জন্য যেটা ভালো সেটা অন্যের জন্য ভালো নাও হতে পারে।

মনমত নাও হতে পারে । একটু ব্যাক্ষা করা যাক । ধরুন আপনি লটারিতে আপনি এক লক্ষ টাকা পেয়েছেণ এটা নিশ্চয়ই আপনার জন্য ভালো কিন্তু ঐ একই ব্যাপার অন্য অনেকের জন্য ভালো নয় যারা লটারীতে জয়ী হতে পারে নি । মুল কথা হল সবকিছু আপনার আমার মন হবে এটা ঠিক না । ব্যতিক্রম বিভেদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক ।

খাচার পাখি মুক্ত করে আপনি হয়ত কিছু সওয়াব কামাবেন কিন্তু এর পিছনে কিন্তু অন্য একজন মানুষ প্রয়োজন যে কিনা পাখি গুলোকে বন্দী করে পাপ করবেন । মনে করুন না সেই দ্বিতীয় মানুষটা আসিফ মহিউদ্দিন । কিন্তু তাই বলে তার যোগ্যতাকে খাটো করবেন না । এই আসিফ মহিউদ্দিনকে মুক্ত করতেই কিন্তু একদিন পুরো বাংলা ব্লগ দুনিয়া রাস্তায় নেমেছিল । কেউ কেউ আমাকে ইতিমধ্যে আসিফের ভাব শিষ্য মনে করে দিয়েছেন ।

তাদের জ্ঞতার্থে বলি আমি পুরো মাত্রায় একজন আস্তিক মানুষ। ৫ ওয়াক্ত নামায না পড়লেও দিনে ২/৩ ওয়াক্ত পড়া হয় । ধর্মীয় ব্যাপারে তার সাথে আমার বিস্তর ফারাক। কিন্তু সাম্প্রতিক তার স্টিকি হওয়া পোষ্টটির বিষয়বস্তুর সাথে পুরোপুরি একমত । নারীদেরকে পন্য হিসাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন এবং তাদের নগ্ন ছবি পেইজে আপলোড করে হিট এডমিন সাজার প্রবনতা সত্যিই আতংকজনক ।

একটা হিট জোকস !! একটা ইদুরের লেজে দড়ি বেধে বাবা তার সন্তানের হাতে দিলেন । বাচ্চাটা ইদুরটা ছেড়ে দেয় আর ইদুরটা ছুটে কিছুদুর যায়। বাচ্চাটা এবার টান দিয়ে ছ্যচারাতে ছ্যাচরাতে ইদুরটাকে কাছে নিয়ে আসে । আবার ছেড়ে দেয় আবার টান দেয় । সন্তানের কাজে বাবা মুগ্ধ আর বাচ্চাটি আনন্দিত।

অথচ । ইদুরের বুক পেট রক্তাত্ব হয় । যে কাজটি তোমার জন্য আনন্দদায়ক সেটি হতে পারে অন্য কারো জন্য মৃত্যুর কারন । রাত জেগে ওড়না পেজে নগ্ন মেয়েদের ছবি দেখে উত্তেজিত হয়ে শান্ত হবার উপায় খুজতে পারি কিন্তু যার ছবিটি দেখছেন তার জন্য বিষয়টি নিশ্চয়ই সুখকর নয় । সবাই ভালো থাকবেন ।

 ।