আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লজ্জাহীন মন্ত্রীসমূহ : থুক দেই গালে

যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে...যা হবে ভালোই হবে... টুকু মিয়া যথার্থ বলেছেন - খবর সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশ থেকে দূরে থাকবেন। একজন মানুষের কমন্সেন্স কি পর্যায় থাকলে এই কথা বলতে পারে! তার উপর আবার সে নাকি মন্ত্রী!! তাও আবার হোম মিনিশটার! বেশীদিন হয়নি সাহারা (লজ্জাহীন এক মরুভূমি)(মান হানীর মামলা করবেন নাকি??!!) বলেছিলো- সার্থক মানে? অবশ্যই আমি একজন সার্থক মন্ত্রী! কোন পর্যায়ের মানুষ হলে সে এমন কথা বলে?? আজকে একজন মহিলা সাংবাদিক বারবার করে বিডি নিউজ এর ব্যাপারে জানতে চাইলে এই মহিলা বলে- ঝগড়া করে তো আর কিছু হবে না। আমি এখানে কিছু বলবো না। মন্ত্রনালয়ে আসেন। বিশ্বাস করেন,এই মহিলাটাকে সম্মান করতাম।

মন্ত্রী হওয়াতে অবাক হয়েছিলাম, তার উপর বার এতো গুরুত্ত্বপুর্ণ...চরম ভাবে ব্যর্থ হলো। প্রথমে যাও ভেবেছিলাম সে দেশের জন্য কিছু করতে চায় পরে দেখলাম কিছুই না...সব ক্ষমতা খাবার লোভ। আমি নিশ্চিত দেশের মানুষ তাকে আর সহ্য করতে পারে না,যারা পারে তাদের কথা না বললেই হয়। যে ব্যাক্তি গুলা এদের ভালোমানুষি নিয়ে তর্ক করতো তারা আজ এদের কারণেই তারা বালের গীত গাইতে পারে না। যাদের জন্য পারে না তাদের মধ্যে ইনি অন্যতম।

লজ্জা সরম থাকলে অনেক আগেই তিনি পদত্যগ করতেন। ক্ষাওমতার লোভ বড় কঠি ন জিনিস। । সব ক্ষমতার পাগল। আর অন্য মন্ত্রীদের কথা কি বলবো?? একমাত্র শিক্ষামন্ত্রী বাদে আর কারো চেহারার দিকে তাকাইতেও ইচ্ছা হয় না।

জিনিসপত্রের দাম বাড়লে বলে কম খাও, আবুলীওয়ালার তো জামা-কাপড় না পড়লেও চলে - এতোটাই কম লজ্জা তার। কালো বিলাই ধরতে যাই আরেকজন কি কীর্তি দেখাইলো আর কি দেখাচ্ছে তা সবাই দেখছে। সে এখনো মন্ত্রী! আর ওইদিকে সোহেল তাজকে নিয়ে কি নাটক সাজানো হলো!! সেক্সপিয়ারও ফেল। বর্ডারে পাশের দেশ মানুষ মারে আর আশ্রাফ মিয়া বলে এটা সরকারের মাথা ব্যথার বিষয় না। বটে! আব্বারা মারতেসে, পোলা আর কি বলবে!!ইউনুস কে নি কি কথা বলল সেটার ভিডিও যদি সে নিজে পরবর্তিতে দেখে তাইলে আমি সিওর সে নিজেই লজ্জা পাবে।

আইন প্রতিমন্ত্রীকে তো রাখা হইসে বকবকানির জন্য। সে জানে না যে তার কথা শুনলে দেশের মানুষের পেইন কিলার খাইতে হয়। যদি সামর্থ থাকতো তাইলে তার মুখে ফেবিকল লাগাই দিতাম। তার মনে হয় কোনো কাজ থাকে না,তাই সারাটাক্ষন সে বকর বকর করে গোল-টেবিল গুলায়। ও!!!মুহিত মিয়ার কথা তো লেখাই হয় নি!! মিঃরাবিশ- এই নামটা তাকেই মানয়।

এমনভাবে কথা বলেন যেন তিনি ছাড়া দুনিয়ায় আর কেউ ইংরেজী জানে না। দেশের অনুষ্ঠান গুলোতেও ইংরেজিতে কথা বলা যেন এক বিরাট কীর্তি! এমনভাবে কথা বলে যেন অর্থনীতি তার চাইতে বেশী কেউ বুঝে না। পরবর্তী নোবেলের জন্য সে আবেদন না করলে আমি নিজে তার হই পত্রর জমা দিবো। নিজের মন্ত্রনালয়ে কি হয় নিজেও জানে না। পদ্মা সেতু নিয়ে পাগলের মতো একবার এককথা।

হোয়াট আ রাবিশ মিনিশটার!! ভালো খেলা খেলছে হাসিনা। কারো নামে অভিযোগ আসলে তারে এক জায়গা থেকে সরাই অন্য জায়গায় পাঠায়। মানে ভাত এমনে খামু না আরকি, ঘাড়ের পিছন দি খামু। অবাক হই গেলাম সাংবাদিকদের কর্মকান্ডে!!তাদেরকে খুন করে ফেলছে, পুলিশের লাথি খাচ্ছে, দিনের পর দিন পার হচ্ছে সাগর-রুনির খুনের কোনো খবর নাই, সরাসরি অফিসে গিয়ে কোপাচ্ছে আর তারা রাস্তার পাশে মানববন্ধন করছে!!!!তারা কি শাড়ি পরা পুরুষ?? আজকে দেখলাম এক মহিলাকে এক কুত্তার বাচ্চা পুলিশ মান হানি করতে চেষ্টা করেছে!!! আমি বুঝি না এগুলা দেখার পরেও নারী সাংবাদিকেরা ঘরে বসে থাকে কেমনে??? তাদের কি এখন ঘরে থাকা উচিত?? আর যদি এতোই হাসিনা ভক্ত হও, তার কথা শুনার জন্য বসে থাকো তাইলে তার পা চাটো আর আঙ্গুল চুষো!! অইসব রাস্তার পাশে শুই থাকা আর মানববন্ধনে কাজ হবে না। রাতের টক শো গুলায় যা বলো তা রাস্তায় করে দেখাও।

কামে আসবে। মিডিয়া যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন হতাশা অনেক বেড়ে যায়। কোথায় গেলো সুষীল সমাজ!!!! এতো কিছু তাদের চোখে পরে না??? নাকি তারা কোনো মহিলা পীরের মুরিদ হয়েছে?তার মাজারের নামে কথা বললেই জাহান্নাম!! এইগুলার চেহারা আর দেখতে চাই না। এগুলা একটা জিনিস নিয়ে কথা বলতে জানে- স্বাধীনতার চেতনা। তোমাদের বলি-- স্বাধীনতার চেতনা কি সেটা এখনকার তরুনদের তোমাদের কাছ থেকে শিখতে হবে না।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমরা তোমাদের থেকে ভালো লালন করতে জানি। গত চল্লিশ বছর এই পবিত্র ধারণা দিয়ে কি করেছো ভালো মতো দেখেছি,এখনো দেখছি। ওই যুদ্ধআপরাধি বিচার কে ঢাল বানাই কি করছ তা দেখার জন্য মাইক্রোস্কোপ লাগে না, খালি চোখে স্পট দেখা যায়। আবার ক্ষমতায় আসার জন্য কে কার সাথে কি করে তাও আমাদের ভালো মতোই জানা আছে। নজরুলের দুরন্ত পথিক আমাদের সবার পড়া আছে, তোমাদের মতো বুড়ো গুলোকে সরাই কিভাবে সব বুঝে নিতে হয়, সামনে যেতে হয় তা আমাদের ভালোই জানা আছে।

মুক্তিযুদ্ধ তোমারা করোনি, করেছে তোমাদের বাবারা-মা'রা, আর আমার রিক্সাচালানো চাচারা, গ্রামের ক্ষেতে কাজ করা চাচারা। খবরদার মিথ্যা বলবা না!! এক মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীন দেশে আরেক মুক্তিযোদ্ধাকে রিক্সাচলাতে দেখে এসি গাড়িতে চড়তে পারেনা, পুলিশের হাতে মার খেয়ে মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষকের মৃত্যু দেখে শিক্ষিত যোদ্ধা কখনো চুপ করে থাকতে পারে না। অনেক মিথ্যা হয়েছে, পটর-পটড় হয়েছে, আর না । এবার করে চুপ কর। আমার অতি প্রিয় একজন মানুষ কিছুদিন আগে বলেছেন যুদ্ধাপরাধিদের বিচার করতে পারলে তিনি বাল কে এ প্লাস দিয়ে দেবেন!!! সত্যি ধাক্কা খেয়েছি।

কি বলেন তিনি এসব?? রীতিমতো ভয়ংকর। বাল যে এই বিচার কে নিয়ে রাজনৈতিক ব্যাবসা করছে তা তার মতো শিক্ষিত মানুষ বুঝতে পারলো না?? নাইলে কিভাবে এতো প্রমাণ থাকা সত্ত্বেয় এই কাজ শেষ করতে এতো বছর লাগছে!!কিভাবে বাল ক্ষমতায় আসার পরও গোলাম আজম অবাধে ঘুরে বেরিয়েছে!!! কিভাবে সালাউদ্দিন এতো বড় বড় কথা বলেছে?? স্যার যদি এসি গাড়ি ছেড়ে ডবল ভাড়া দিয়ে পাব্লিক বাসে চড়তেন, আমাদের বুয়ার মতো মাসে ২০০০ টাকা আয় করে ৫০০০ টাকার চাল-ডাল কিনতেন,এসি-আইপিএস বিহীন ঘরে গরমের দিনে যদি ঘরের বুড়ো অসুস্থ মানুষ গুলো কষ্ট পেতো, তার মুরব্বি কেউ যদি শিক্ষক হয়ার পরও রাস্তায় পুলিশের লাথি খেতো, মেঘের মতো যদি এই বয়সে মা-বাবা দুজনকেই হারাতে হতো তাহলে আর এই কথা তিনি বলতে পারতেন না। আমি এখনো বিশ্বাস করি এই কথা তিনি আবেগের বশে বলেছেন। তিনি সত্য জানেন, বুঝেন। তিনি সত্যিকার অর্থে এই কথা বলতে পারেন ন।

সব শেষে বলবো - আসেন, আমরা এইসব কিছু দেখার পরেও অনেক গুলা ললিপপ কিনি আর টিভিতে মন্ত্রী নামের ঐ মানুষ গুলার কথা শুনতে শুনতে ললিপপ খাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।