আমাদের বিখ্যাত সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব সৈয়দ আবুল হোসেন এর মন্ত্রী হাওয়ার সেই "দৌড় কাহিনী" নিশ্চয় সবাই জানেন। আজ আমি আপনাদের দেখাচ্ছি, দৌড় মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার কৌশল। বিশ্ব ব্যাংকের বার বার অভিযোগ, মিডিয়ার এত লেখালেখির পরে ও তিনি বহাল তবিয়তে মন্ত্রী !!! রহস্য কি ??
উপরের ছবি টি আজকের দৈনিক প্রথম আলো ( ২৮ মে, ২০১২) থেকে নেওয়া। সকাল বেলা পত্রিকা হাতে নিয়ে দেখি প্রথম পাতার অর্ধেকই বিজ্ঞাপন, মেজাজ একটু খারাপই হল। প্রথম পাতাতে এত এড কেন !!!
বিজ্ঞাপনে চোখ পড়তেই দেখলাম , মাদারীপুর জেলার কাল্কিনি উপজেলার ডাঁসার গ্রামে অবস্থিত একটি কলেজের ভর্তি বিজ্ঞাপন বেশ বড় করে।
কলেজের নামটি বড়ই চিত্তাকর্ষক "শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজ"। আগ্রহ আর ও বেড়ে গেল। ভিতরের লেখা পড়ে দেখলাম এটির প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন "বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব আবুল হোসেন"। বুঝতে বাকি রইল না ইনি সেই "আবুল"। আমাদের মন্ত্রী "জনাব আবুল"।
নিজের মন্ত্রী পদবীটা কৌশলে লুকিয়ে রেখেছেন, চক্ষুলজ্জা বলে কথা।
মেলা কথা বলে ফেললাম, আবার আসল কথায় আসি। জীবনে কিছু হাসিল করতে চান, উপরে উঠতে চান, তাইলে "খাঁটি তেল" মারেন। আপনার উন্নতি কেউ ঠেকাইতে পারবো না।
আমাগো মন্ত্রী আবুল কেমন তেল মারতে পারেন, এই বিজ্ঞাপন তা তারই নমুনা।
দেশে এত নামকরা( বেসরকারী) কলেজ আছে, যেগুলাতে ভর্তি হইতে ছেলে পুলেরা মাথা ফাটাফাটি করে ওই কলেজ গুলার নাম বা বিজ্ঞাপন এমন বহুল প্রচারিত দৈনিকের প্রত্থম পাতায় এত বড় বিজ্ঞাপনে আসে না। আসে জনাব আবুলের ডাঁসার গ্রামের কলেজ "শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজ" এর। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা করে ও কেন আবুল সাহেবের মন্ত্রিত্ব যায় না, বুঝে নিন।
যদিও শুনি অনেকেই জনাব আবুল কে সরকারের কমিশন এজেন্ট বা কালেক্টর বলে থাকেন এবং বলেন এটাই নাকি তার মন্ত্রিত্ব তিকে ত্থাকার কারন। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, ইনি খাঁটি "তেলবাজ"।
ইনার সকল শক্তির উৎসই "তেল"। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।